Union Budget 2023 Live: এই বাজেট শুধু এক শ্রেণির মানুষের লাভের জন্য, বললেন মমতা
Union Budget 2023 India Live Updates: অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন সংসদে বাজেট পেশ করতে চলেছেন। জেনে নিন প্রতি মুহূর্তের আপডেট।
মুখ্যমন্ত্রী ঠিকই বলেছেন পশ্চিমবঙ্গের জন্য অন্ধকার অমাবস্যাই আছে। কারণ পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস নামক শাসক দল রাজ করছে। যতক্ষণ পর্যন্ত এই রাহুর গ্রাস পশ্চিমবঙ্গে থাকবে, ততক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণিমা আসার সম্ভাবনা নেই। কারণ গ্রহণ হলে অন্ধকারই থাকে। বাজেট প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়ায় পর এই মন্তব্যই করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
এটা ছদ্মবেশী রাবণের বাজেট, ঘুরপথে কেড়ে নেওয়া হবে টাকা। যে টাকা দেন না, দিতে হবে না জানেন, সেটা বাজেটের দিনে ঘোষণা করতে তো কোনও অসুবিধা নেই। এটা তো নতুন স্টাইল। বাজেট প্রসঙ্গে মন্তব্য তৃণমূলের মুখপাত্র এবং সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের।
বাজেট নিয়ে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, 'মুদ্রাস্ফীতি কমানোর জন্য কী করা হবে সেই বিষয়ে কোনও আলোকপাত করা হয়নি। মুদ্রাস্ফীতি যদি এইভাবে হতে থাকে তাহলে এই করের ছাড় দিয়েও মানুষের লাভ হবে না কোনও। নতুন কর কাঠামো হলেও কোনও লাভ হবে না।
বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎ প্রকাশ নাড্ডা আজ অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের পেশ করা বাজেটের ভূয়সী প্রশংসা করেছে। ৭ লক্ষ টাকা বার্ষিক আয় করশূন্য- বাজেটের এই সিদ্ধান্ত মধ্যবিত্ত চাকুরিজীবীদের জন্য অত্যন্ত উপকারী হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বাজেট নিয়ে আশাহত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তাঁর কথায় আশা করা হয়েছিল পেট্রোল, ডিজেল, রান্নার গ্যাসের দাম কমিয়ে সাধারণ মানুষকে সুবিধা দেওয়া হবে। কিন্তু তার কিছুই হয়নি। এই বাজেট পেশ করার মধ্যে সাধারণ মানুষকে আর একবার মোহের মোহজালে আটকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য এবারের বাজেট প্রসঙ্গে বলেছেন, স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে হয়তো এটা আগামী যুগ একটা নতুন দিগন্তের উন্মোচন বলে মনে করবে। এই বাজেট প্রান্তিক কৃষক থেকে শুরু করে একদম উচ্চবিত্ত মানুষ, শিল্পপতি, মধ্যবিত্ত, শিল্পদ্যোগী, প্রফেশনালস সকলের কথাই ভাবা হয়েছে।
এবারের বাজেট নিয়ে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকার বলছেন, গতবছর যে খাতে যত খরচ করবে বলা হয়েছিল দেখা যাচ্ছে তা হয়নি। দেশের অবস্থা দেখে ধনকুবেরদের জন্য আয়করের পরিমাণ বাড়ানো হবে ভাবা হয়েছিল। কিন্তু তা হয়নি।
নির্মলাজি যা বলেছেন তার ফলে সমাজের সমস্ত মানুষ খুশি হবেন। ব্যক্তিগত ইনকামে ছাড় আছে। অর্থনীতিকে গতিশীল রাখার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার জনকল্যাণের জন্য যা যা ব্যবস্থা নিয়েছে তাও বজায় থাকছে। সার্বিক ভাবে খুশি মানুষ। বাজেট পেশের পর মন্তব্য বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
' এই বাজেট শুধু এক শ্রেণির মানুষের লাভের জন্য। ১০০ দিনের কাজে বরাদ্দ কমেছে বাজেটে', বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
'বাজেটের জন্য কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ও তাঁর টিমকে অভিনন্দন। মধ্যবিত্তদের মনস্কামনা পূরণের জন্য এই বাজেট। বাজেটে বঞ্চিতদের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। এই বাজেটে গ্রাম, গরিব ও কৃষকদের দিকে নজর দেওয়া হয়েছে। এই বাজেট মহিলাদের জন্য নির্দিষ্ট, বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
সিনিয়র সিটিজেন স্কিমে ১৫ লক্ষের বদলে প্রবীণরা রাখতে পারবেন ৩০ লক্ষ টাকা। এমআইএসে সিঙ্গল অ্যাকাউন্টে রাখা যাবে ৯ লক্ষ, জয়েন্ট অ্যাকাউন্টে রাখা যাবে ১৫ লক্ষ।
নতুন কর ব্যবস্থায় করদাতাদের ৯ থেকে ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দিতে হবে ১৫ শতাংশ হারে আয়কর। ১২ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ২০ শতাংশ হারে। ১৫ লক্ষের বেশি টাকা আয়ে ৩০ শতাংশ। সর্বোচ্চ করদাতাদের ক্ষেত্রে কমেছে সারচার্জও
নতুন কর ব্যবস্থায় বাড়ল আয়করের ঊর্ধ্বসীমা। ৭লক্ষ টাকা পর্যন্ত কোনও আয়কর দিতে হবে না। তার ওপরে ৩ থেকে ৬ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দিতে হবে ৫ শতাংশ আয়কর। ৬ থেকে ৯ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ১০ শতাংশ আয়কর।
বাড়ল আয়করের ঊর্ধ্বসীমা
জয়েন্ট অ্যাকাউন্টে এখন থেকে ১৫ লক্ষ টাকা রাখা যাবে। এতদিন রাখা যেত ৯ লক্ষ টাকা।
শুল্ক কমানোর ঘোষণা কেন্দ্রের। বায়োগ্যাসের উপর থেকে হটল জিএসটি। ব্যাটারির উপর থেকে কমল জিএসটি। মোবাইল ফোনের উৎপাদন বেড়েছে। তাতে উৎসাহ দিতে, যন্ত্রাংশের উপর কমল শুল্ক। টেলিভিশনের যন্ত্রাংশের উপরও কমল শুল্ক। বৈদ্যুতিক চিমনির উপর বাড়ল শুল্ক।
এমএসএমই-র ক্ষেত্রে ঋণ নিশ্চিতকরণে জোর। ব্যাঙ্কিং পরিষেবার মান উন্নত করার ওপর জোর দেওয়া হবে। ডিজিটাল পেমেন্টে বাড়ানোতে আরও বেশি জোর দেওয়া হবে।
আগামী ৩ বছরে ১ কোটি কৃষককে স্বাভাবিক কৃষিকাজে সাহায্য দেব। তটরেখা জুড়ে ম্যানগ্রোভ অরণ্য তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হবে: নির্মলা
৩৮ হাজার ৮০০ শিক্ষক নিয়োগ করা হবে মডেল আবাসিক স্কুলের জন্য, যেখানে সাড়ে তিন লক্ষ জনজাতি পড়ুয়া পড়াশোনা করবে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ৭৯ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ। ১ লক্ষ প্রাচীন লিপির ডিজিটালকরণ।
স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণে জোর। ১৫৭টি নার্সিং কলেজ, চার জায়গায় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে ২০১৪ সাল থেকে। ওষুধ নিয়ে যাতে নতুন গবেষণা হয়, কেন্দ্র উৎসাহ দেবে। নতুন চিকিৎসা সরঞ্জাম আনা হবে। শিক্ষকদের নতুন করে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এর জন্য একাধিক পদক্ষেপ করছি। শিশু এবং কিশোরদের জন্য জাতীয় ডিজিটাল লাইব্রেরি তৈরি করা হবে। তাতে উন্নতমানের বই থাকবে। সকলের নাগালের মধ্যে থাকবে। রাজ্যগুলিকে লাইব্রেরি তৈরিতে উৎসাহ। ইংরেজি এবং স্থানীয় ভাষায় বই প্রকাশে জোর।
পশুপালন, মৎস্যচাষের উপর বিশেষ নজর। ৬ হাজার কোটি টাকার নতুন বিনিয়োগ বরাদ্দ করা হচ্ছে। ছোট এবং মাঝারি কৃষকদের জন্য সমবায় অর্থনৈতিক মডেলের কথা ভাবছে সরকার। ৬৩ হাজার প্রাথমিক কৃষি সোসাইটিকে কম্পিউটারাইজড করা হবে। জাতীয় সমবায় তথ্য ভাণ্ডার তৈরি করা হবে। তাকে কাজে লাগিয়ে ফসল মজুতের ব্যবস্থা করা হবে, যাতে উপযুক্ত সময়ে, ন্যায্য মূল্যে ফসল বিক্রি করতে পারেন কৃষকরা। সমবায়গুলি দেখবে কৃষকরা যাতে শস্য ঠিক মতো বাজারে পৌঁছে দিতে পারেন।
'কৃষকদের জন্য ডিজিটাল পরিকাঠামো তৈরি করা হবে। এর ফলে কৃষকদের বহু সমস্যার সমাধান হবে। ঋণ, বিমা এবং বাজার সংক্রান্ত তথ্য কৃষকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া যাবে। কৃষির উন্নয়নের জন্য টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। কৃষকরা যাতে উৎপাদন বাড়াতে পারেন। পাবলিক এবং প্রাইভেট পার্টনারশিপের মাধ্যমে সংযোগ স্থাপন করা হবে। হর্টিকালচারাল শস্য, যার দাম বেশি, তার জন্য ২ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ। খাদ্যের নিরাপত্তা, কৃষকদের কল্যাণে জোর।'
'এই বাজেটের সাতটি বিষয়কে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে, সপ্তঋষি বলছি। সকলকে উন্নয়নে শামিল করা, পরিকাঠামোর উন্নয়ন, কম বয়সিদের বৃদ্ধিতে জোর। কৃষক, মহিলা, অনগ্রসর শ্রেণি, তফসিলি জাতি, উপজাতি, অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে পড়া সকলকে বৃদ্ধির আওতায় নিয়ে আসতে হবে। লাদাখ, জম্মু-কাশ্মীর এবং পূর্বাঞ্চলের উপর বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে।'
কর্মসংস্থান তৈরি আমাদের প্রধান লক্ষ্য। অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রাখতে হবে আমাদের। মেয়েদের ক্ষমতায়নে সাফল্য পেয়েছে ভারত। স্বনির্ভর হয়েছেন মেয়েরা। হস্তশিল্পীরা ভারতের মাথা উঁচুতে ধরে রেখেছেন। তাঁদের স্বনির্ভর করতে নতুন প্রকল্প আসছে। এঁদেরকে ক্ষুদ্র, ছোট এবং মাঝারি শিল্পের সঙ্গে যুক্ত করা হবে। নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে এঁদের। শেখানো হবে ডিজিটাল লেনদেন। এর ফলে পিছিয়ে পড়া মানুষদের উপকার হবে: নির্মলা সীতারামন।
করোনায় কোনও ভারতীয় অভুক্ত থাকেননি। বিনামূল্যে রেশন পৌঁছে দিয়েছে কেন্দ্র। ২০১৪ সাল থেকে নাগরিকদের উন্নত জীবনযাত্রার অধিকার নিশ্চিত করেছি আমরা। নাগরিকদের আয় দ্বিগুণ করায় জোর দিয়েছি।এই ন'বছরে ভারত বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি হয়েছে ভারত। উন্নয়নের লক্ষ্যে পৌঁছে যাচ্ছে ভারত: নির্মলা সীতারামন।
অর্থনৈতিক মন্দা, সঙ্কটে জর্জরিত গোটা বিশ্ব। সেখানে সুবিধাজনক জায়গায় ভারত। ভারতকে উজ্জ্বল নক্ষত্র হিসেবে দেখছে গোটা বিশ্ব। আমাদের বৃদ্ধি ৭ শতাংশ রয়েছে: নির্মলা সীতারামন।
২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে আজ কেন্দ্রীয় সরকারের পূর্ণাঙ্গ বাজেট। সংসদে বাজেট পেশ করছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।
রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর অনুমতি মিলেছে। সাক্ষাৎ সেরে সংসদে পৌঁছলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর বাজেট পেশ করবেন সংসদে।
আজ সংসদে বাজেট পেশ কেন্দ্রের। রাষ্ট্রপতি ভবন পৌঁছলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে দেখা করে বৈঠক করবেন মন্ত্রিসভার সঙ্গে। তার পর সংসদে বাজেট পেশ।
আজ সংসদে বাজেট পেশ। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকে পৌঁছলেন নির্মলা সীতারামন। সংসদে আজ বাজেট পেশ করবেন তিনিই।
করছাড়ের ঊর্ধসীমা বাড়বে কি? আশায় বুক বাঁধছেন মধ্যবিত্তরা। গত বছর কোনও পরিবর্তন ঘটেনি কর পরিকাঠামোয়। কিন্তু মুদ্রাস্ফীতিতে মানুষের পকেটে হাত পড়েছে। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে তাতে পরিবর্তন হতে পারে বলে জল্পনা।
অর্থনৈতিক সমীক্ষা বলছে, চলতি অর্থবছরে ভারতের বৃদ্ধির হার ৭ শতাংশ থাকবে। আগামী অর্থবর্ষে তা কমে ৬ থেকে ৬.৬৮ শতাংশ হতে পারে।
সংসদে বাজেট পেশের আগে কিছুটা স্বস্তির খবর। আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার (IMF) জানাল, বিশ্ব জুড়ে মন্দার আশঙ্কা দেখা দিলেও, ভারত সুবিধাজনক জায়গায় থাকবে। বরং অন্য দেশের তুলনায় ভারতের বৃদ্ধির হার বেশি থাকবে, ৬.১ শতাংশ। সেই নিরিখে বিশ্ব অর্থনীতির বৃদ্ধির হার থাকবে ২.৯ শতাংশ। ২০২৪ সালে বেড়ে ৩.১ শতাংশ হবে।
প্রেক্ষাপট
অতিমারির ধাক্কা সামলানো গিয়েছে। তবে কাটেনি নড়বড়ে অবস্থা। তার উপর এগিয়ে আসছে পরবর্তী লোকসভা নির্বাচনও (Lok Sabha Elections 2024)। সেই আবহে বুধবার বড় পরীক্ষা কেন্দ্রের সামনে। দ্বিতীয় দফায় সংসদে শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করছে নরেন্দ্র মোদি সরকার (Narendra Modi Gocernment)। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman) সংসদে বাজেট পেশ করতে চলেছে (Union Budget 2023)। এই মুহূর্তে সে দিকেই তাকিয়ে গোটা দেশ। লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের তরফে একাধিক জনমোহিনী ঘোষণা থাকবে বলে আঁচ করছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তবে তাতে গলায় কাঁটা হয়ে বিঁধছে প্রাক বাজেট অর্থনৈতিক সমীক্ষা। কারণ সমীক্ষা বলছে। ২০২৩-’২৪ অর্থবর্ষে দেশের অভ্যন্তরীণ উৎপাদন হার কমে ৬.৫ শতাংশ হতে পারে, যা বিগত তিন বছরের নিরিখে সর্বনিম্ন (Union Budget 2023 India)।
অতিমারির জেরে গত তিন বছরে বিশ্ব অর্থনীতির গতি শ্লথ হয়েছে। তার উপর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে বিশ্ব অর্থনীতিতে। মুদ্রাস্ফীতি, বেকারত্বের খাঁড়া নেমে এসেছে ভারতের উপরও। আগামী একবছর অন্তত অর্থনীতির গতি আগের অবস্থায় ফেরার কোনও সম্ভাবনা নেই বলে ইতিমধ্যেই মিলেছে ইঙ্গিত। কিন্তু সরকারি হিসেব বলছে, এই সঙ্কটের সময়ও উপচে পড়েছে সরকারি কোষাগার। পণ্য এবং পরিষেবা করবাবদ প্রায় প্রতি মাসেই রেকর্ড আয় করেছে সরকার। কিন্তু বিভিন্ন রাজ্যের কোষাগার থেকে যে পরিমাণ টাকা খরচ হয়েছে, তা যোগ করলে দেখা যাচ্ছে, কেন্দ্রীয় সরকারের কোষাগার থেকে তার চেয়ে ঢের কম পরিমাণ টাকা খরচ হয়েছে।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পরিসংখ্যান বলছে, ১৯৯৯-২০০০ অর্থবর্ষে কেন্দ্রীয় সরকারের কোষাগার থেকে খরচের পরিমাণ ৫০ শতাংশের নিচে নেমে যায় প্রথম বার। ২০০২-’০৩ অর্থবর্ষে তা ৫০ শতাংশের উপরে ওঠে ফের। তার পর থেকে ২০০৮-’০৯, ২০১০-’১১ এবং ২০২০-’২১ অর্থবর্ষে ফের তা ৫০ শতাংশের নিচে চলে যায়। ২০২০-’২১ সালে যাও বা খরচ কিছু বেড়েছিল কেন্দ্রের, সেটা অতিমারির জন্য। তার পর থেকে বিগত দু’বছর কেন্দ্রীয় কোষাগার থেকে খরচ কমই থেকেছে। তাতেও কেন্দ্রের রাজস্বে ঘাটতি বরং বেড়েছে (২০২০-’২১ অর্থবর্ষে ৯.২ শতাংশ), প্রাক অতিমারি অবস্থায় আসেনি এখনও। সেই তুলনায় রাজ্যগুলির ঘাটতি সে ভাবে বাড়েনি। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে যাও বা বেড়ে ৪.১ শতাংশ হয়েছিল, ২০২১-’২২ সালে তা কমে ২.৮ শতাংশে এসে ঠেকে। এখনও পর্যন্ত প্রাপ্ত হিসেব অনুযায়ী, ২০২২-’২৩ অর্থবর্ষে রাজ্যগুলির রাজস্ব ঘাটতি ৩.৪ শতাংশে রয়েছে বলে অনুমেয়। চলতি অর্থবর্ষ শেষ হতে হতে, তা আরও কম হতে পারে।
কোভিড উত্তর পর্বে সরকার হাত চেপে খরচ করেছে, এমন যুক্তিও উঠে আসছে। সরকারি সম্পত্তির বেসরকারিকরণ ঘটিয়ে, ভর্তুকি বন্ধ করে, তা থেকে আয়ের সূত্র বের করে কেন্দ্র রাজস্ব ঘাটতি কমিয়ে আনতে চাইছে বলেও দাবি উঠছে। কিন্তু সম্পদ পুনর্বণ্টন অর্থা কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি বা বাজারের প্রসার ঘটানোর কোনও লক্ষণ দেখা যায়নি বিগত কয়েক বছরে। তাই পরবর্তী লোকসভা নির্বাচনের আগে এ বারের বাজেট তৈরিকে ঘিরে চাপ বাড়ছে সরকারের উপর। তাই এ বারের বাজেটে জনকল্যাণকে প্রাধান্য দেওয়া হতে পারে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। এর মধ্যে করছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা বাড়ানো হতে পারে। বাড়ানো হতে পারে প্রতিরক্ষা খাতের বরাদ্দও। পেনশন খাতেও বরাদ্দ বাড়ানো হতে পারে।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -