Byju Employee Salary: এডটেক সংস্থা বাইজু'সের সঙ্কট কাটার কোনও লক্ষণ নেই এখনই। বরঞ্চ সঙ্কট আরও বাড়তে চলেছে বলেই ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। জুলাই মাসে বেতনই (Byju Employee Salary) পাননি এই সংস্থার কর্মীরা। এর আগেও বেশ কয়েক মাস ধরে দেরিতে হলেও বেতন মিটিয়ে এসেছে বাইজু, কিন্তু জুলাইতে সেই ধারায় ছেদ পড়ল। কিন্তু এবার হাল ছেড়ে দিলেন সংস্থার সিইও বাইজু রবীন্দ্রন (Byju Raveendran)। কর্মীদের উদ্দেশে পাঠানো চিঠিতে বাইজু রবীন্দ্রন জানিয়েছেন, সংস্থার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি তাঁর। আর এই সময়ে কোনও আশা নেই যে সময়মত বেতন মিলবে কর্মীদের।


NCLAT নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট


সম্প্রতি বাইজু সংস্থা আরেকটি সমস্যার মুখে। ন্যাশনাল কোম্পানি ল অ্যাপেলেট ট্রাইব্যুনালের পক্ষ থেকে বিসিসিআই মামলায় টাকা দেওয়ার ব্যাপারে অনুমোদন পেয়েছিল বাইজু। কিন্তু গ্লাস ট্রাস্ট কোম্পানির অভিযোগের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্ট NCLAT-এর নির্দেশে স্থগিতাদেশ জারি করেছে। বাইজুর প্যারেন্ট কোম্পানি থিঙ্ক অ্যান্ড লার্ন এখনও জুলাই মাসের বেতন দিতে পারেননি কর্মীদের। সংস্থার একজন উচ্চতর আধিকারিক জানিয়েছেন যে NCLAT-র সিদ্ধান্তের উপর সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশ জারির কারণেই ফের সংস্থায় বেতন নিয়ে এই সঙ্কট দেখা দিয়েছে।


কর্মীদের একটি ইমেল পাঠিয়েছেন বাইজু রবীন্দ্রন


সম্প্রতি সংস্থার সিইও বাইজু রবীন্দ্রন একটি ইমেলের মাধ্যমে জানিয়েছেন যে আইনি ঝুট-ঝামেলার কারণেই সংস্থার রিকভারিতে দেরি হচ্ছে। বিগত ২ বছর ধরে এই আইনি সমস্যায় জর্জরিত সংস্থা। বাইজু রবীন্দ্রন জানাচ্ছেন যে তিনি তাঁর কর্মীদের নিয়ে খুবই চিন্তিত। তাদের জুলাই মাসের বেতন এখনও অ্যাকাউন্টে জমা করতে পারেননি তিনি। বিসিসিআই মামলার কারণে তাদের সংস্থাকে দেউলিয়া ঘোষণার দিকেই নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আর তারা সেই টাকা দেবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, সম্মত হয়েছেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও সুপ্রিম কোর্ট সেই সিদ্ধান্তে সাময়িক স্থগিতাদেশ জারি করেছেন। আর এই কারণে সংস্থার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি সংস্থার সিইও বাইজু রবীন্দ্রনের।


আরও টাকা তুলতে ব্যর্থ হয়েছে সংস্থা যাতে কর্মীদের বেতন দেওয়া যায়


বাইজু রবীন্দ্রন জানিয়েছেন যে, সংস্থার কর্মীদের বেতন দেওয়ার জন্য অতিরিক্ত টাকা তুলতে পারেনি সংস্থা। বেশ কয়েক মাস ধরে সময়ে না হলেও বেতন দিতে সমস্যা হয়নি বাইজুর। রবীন্দ্রন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এবং আশ্বাস দিয়েছেন যে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে নিয়ন্ত্রণ আসার পরেই সময়ে আবার বেতন পাবেন কর্মীরা। আর এর জন্য সংস্থার পক্ষ থেকে পার্সোনাল লোন নিতেও রাজি আছেন বাইজু রবীন্দ্রন। এমনকী ঋজু রবীন্দ্রন নিজের পকেট থেকেই বিসিসিআইকে ১৫৮ কোটি টাকা দেওয়ার কথা জানিয়েছে।



আরও পড়ুন: Petrol Price: ৬ জেলায় সস্তা হল পেট্রোল ডিজেল, বুধবারে আপনার শহরে দাম কমল জ্বালানি তেলের ?