CEO Salary vs Employee Salary: দেশের বেসরকারি ব্যাঙ্ক (CEO Salary) বা আরও সমস্ত বড় বড় আইটি কোম্পানির সিইওদের বেতন নিয়ে এখন বিতর্ক চরমে। আইটি সেক্টরের (IT Company) সংস্থাগুলিতে এখন দেখা যাচ্ছে সংস্থার সাধারণ কর্মীদের বেতনের (Salary Gap) তুলনায় প্রায় ১০০০ গুণ বেশি বেতন নিচ্ছেন সংস্থার সিইওরা। আর এই বিস্তর বেতনের অসামঞ্জস্য বা ব্যবধান নিয়েই বিতর্ক দানা বেঁধেছে, ক্ষোভ কর্মীদের মনেও।


একটি আইটি সংস্থা তাদের ফ্রেশার (IT Company) বা সাধারণ কোনও কর্মীকে যে বেতন দেয় তাঁর ৩০০ গুণ থেকে ১০০০ গুণ পর্যন্ত বেশি বেতন দেয় সিইওদের। এই তালিকায় রয়েছে বড় বড় জনপ্রিয় সব আইটি সংস্থার নাম। ইনফোসিস, কগনিজ্যান্ট, উইপ্রো, এইচসিএল টেকনোলজিস, অ্যাক্সেঞ্চার ইত্যাদি ছাড়াও টাটা গ্রুপের টিসিএস সংস্থার সিইওদের নিয়ে ক্ষোভ দেখা গিয়েছে কর্মীদের মনে।


এর আগে একটি সাক্ষাৎকারে ইনফোসিসের নারায়ণ মূর্তি (Narayan Murthy) জানিয়েছেন, কোনও সংস্থার সিইওদের বেতন কখনও কর্মীদের বেতনের ২৫-৪০ শতাংশের বেশি হওয়া উচিত নয়। কিন্তু পরিহাসের বিষয় এটাই যে ইনফোসিসের এখনকার সিইও সলিল পারেখের বেতন কর্মীদের বেতনের প্রায় ৭০০ গুণ বেশি। ২০১৯ সাল থেকে ক্রমেই এই কর্মী-সিইও বেতন ব্যবধানের হার বেড়ে চলেছে।


২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে উইপ্রোর (Wipro) সিইও থিয়েরি ডেলাপোর্টের বেতন ছিল ২০ মিলিয়ন ডলার যা কিনা ঐ বছরের হিসেবে কর্মীদের ন্যূনতম বেতনের ১৭০২ গুণ বেশি। তারপর নতুন সিইও শ্রীনি পালিয়ার এখনকার বেতন ৫৮.৫ কোটি টাকা। মাত্র এক বছরের মধ্যেই এইচসিএল টেকনোলজিস (HCL Technologies) সংস্থার সিইও সি বিজয়কুমারের বেতন সংস্থার কর্মীদের গড় বেতনের তুলনায় ৭০৭ গুণ বেড়ে গিয়েছে। অন্যদিকে অ্যাক্সেঞ্চারের (Accenture) সিইও জুলি সুইটের বেতন কর্মীদের গড় বেতনের ৬০০ গুণ বেশি। ২০২২-২৩ সালে তাঁর বেতন ছিল ৩১.৫ মিলিয়ন ডলার। টিসিএসও (TCS) বাদ যায় না এই তালিকা থেকে। টিসিএসের প্রাক্তন সিইও এবং বর্তমান সিইও কে কীর্তিবাসন কর্মীদের গড় বেতনের ৪২৭ গুণ বেশি বেতন নেন।  


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে। 


আরও পড়ুন: Car Discount: ৬ লাখের গাড়িতে ১.৫ লাখ টাকার ছাড় ! এই সুযোগে কিনে ফেলবেন ?