Digital Arrest:  ডিজিটাল দুনিয়ায় (Digital India) এখন সাধারণ বিষয় হয়ে গেছে সাইবার প্রতারণার (Cyber Fraud)  মতো ঘটনা। নিত্য়দিন দেশের কোথাও না কোথাও এই জালিয়াতির শিকার হচ্ছে দেশবাসী। দেশের সাম্প্রতিক ডিজিটাল জালিয়াতির অতীত বলছে, এই ১৪ উপায়ে আপনার ব্যাঙ্ক অ্য়াকাউন্ট (Bank Account) খালি করতে পারে স্ক্যামাররা (Scammers Attack)।


ডিজিটাল অ্যারেস্ট
মানুষ লুটপাটের এই পদ্ধতিটাই আজকাল সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করছে প্রতারকরা। প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন শহর থেকে ডিজিটাল মাধ্যমে প্রতারণার খবর আসছে। সাইবার ঠগরা ডিজিটাল পদ্ধতিতে অসংখ্য মানুষকে গ্রেফতার করে লাখ লাখ কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।


লোন স্ক্যাম
আজকের যুগে মানুষের প্রায়ই টাকার প্রয়োজন হয়। কোনও কারণে পরিচিতদের কাছ থেকে টাকা জোগাড় করতে না পারলে সাইবার ঠগরা এসব লোককে কাগজপত্র ছাড়াই ঋণ দেওয়ার টোপ দেয়। কেউ তাদের ফাঁদে পা দিলেই তারা তাকে ঋণ দেওয়ার নামে ফি দাবি করে। ফি পাওয়ার সাথে সাথে সাইবার ঠগরা সেই ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।


লাকি ড্র জালিয়াতি
এই জালিয়াতিতে ঠগরা আপনি লটারি জিতেছেন বলে সবার কাছে মেসেজ পাঠায়। পরে প্রাইজমানির প্রলোভন দেখিয়ে মানুষকে ফাঁদে ফেলে ঠগরা। পরে প্রাইজমানির জন্য আগে কর দিতে বলে তারা। আপনি একবার কর দিলেই আর তাদের হদিশ পাওয়া যাবে না। 


বিনিয়োগ কেলেঙ্কারি
বর্তমান সময়ে বিনিয়োগ করা সবার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাইবার ঠগরাও এর সুযোগ নেয়। তারা পঞ্জি স্কিমগুলিতে বিনিয়োগের জন্য বিপুল আয়ের জন্য লোকেদের প্রলুব্ধ করে। তারা 2 লাখের জন্য 10 লাখ এবং 10 লাখের জন্য 50 লাখ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু কেউ এতে বিনিয়োগ করার সাথে সাথেই ঠগরা কোম্পানি বন্ধ করে উধাও হয়ে যায়।


KYC স্ক্যাম
মানুষ ঠকানোর জন্যও এই পদ্ধতি অনেক ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে সাইবার ঠগরা বড় বড় কোম্পানি ও সরকারি দফতরের অফিসার হিসেবে বার্তা পাঠায়। তারা লোকেদের কেওয়াইসি করাতে বলে, অন্যথায় তাদের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেয়। এই মেসেজে ক্লিক করার সাথে সাথেই তারা প্রতারিত হয়।


চাকরি প্রতারণার ফাঁদ
চাকরির নামে প্রতারিত হওয়ার অনেক ঘটনা রয়েছে। সাইবার হামলাকারীরা বেকার যুবকদের ভুয়ো চাকরির নিয়োগের লিঙ্ক পাঠায় ও তাদের আবেদন করতে বলে। এরপর কেউ আবেদন করলে কিট ও প্রশিক্ষণে যোগদানের নামে তার কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে।


বিয়ের সাইটে প্রতারণা
এই কেলেঙ্কারিও আজকাল প্রচুর দেখা যাচ্ছে। এখানে প্রতারকরা ম্যাট্রিমোনিয়াল সাইটগুলিতে ভুয়ো প্রোফাইল তৈরি করে মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করে। বিয়ের বিষয়ে যোগাযোগ করায় স্ক্যামাররা মানুষের বিশ্বাস অর্জন করে। সিরিয়াসলি দেখায়। সেই ক্ষেত্রে কোনও ব্যক্তি অন্যের বিষয়ে আগ্রহ দেখাতেই ফাঁদে ফেলা হয় তাদের। সেই ক্ষেত্রে বাড়িতে কেউ অসুস্থ আছে বলে টাকা চাওয়া হয় মেয়ে বা ছেলের কাছে। কেউ স্ক্যামারদের বিশ্বাস করলেই হারাবেন টাকা।


পার্সেল কেলেঙ্কারি
এই কেলেঙ্কারিতে প্রতারকরা লোকজনকে ফোন করে জানায়, তাদের নামে একটি পার্সেল আসছে। এতে মাদক পাওয়া গেছে ও তা বাজেয়াপ্ত করেছে সংস্থা। এর জন্য জরিমানা দিতে হবে নয়তো জেলে যেতে হবে। এই পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে প্রতারকদের কাছে ভুল করে টাকা দিয়ে বসেন অনেকে।


চ্যারিটি স্ক্যাম
এই কেলেঙ্কারিতে যারা প্রতারিত হয়েছেন তারা বুঝতেও পারবেন না যে তারা প্রতারিত হয়েছেন। এতে প্রতারকরা প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং এনজিওতে অর্থায়নের জন্য মানুষের কাছে টাকা চায়। কখনো দরিদ্র ব্যক্তির চিকিৎসার নামে আবার কখনো এ ধরনের কাজের জন্য টাকা চায় প্রতারকরা।


ক্যাশ অন ডেলিভারি কেলেঙ্কারি
এই স্ক্যামে প্রতারকরা ভুয়ো ওয়েবসাইট তৈরি করে। প্রতারকরা আসল ওয়েবসাইটগুলির মতো দেখতে নকল ওয়েবসাইট তৈরি করে। তারপর যারা এই ওয়েবসাইট ভিজিট করে ক্রয় করে, তারা লোকেদের একটি নকল অন্য় পণ্য পাঠায় বা আসল পণ্যের জায়গায় অন্য কিছু পাঠায়।


দুর্ঘটনাজনিত ক্যাশ ট্রান্সফার প্রতারণা
এই স্ক্যামে ঠগরা আপনার মোবাইলে একটি বার্তা পাঠায়। যেখানে তারা বলে, ভুলবশত আপনার অ্যাকাউন্টে টাকা ট্রান্সফার হয়ে গেছে। দয়া করে আমার টাকা ফেরত দিন এবং লোকেরা মেসেজ দেখার পরেই টাকা ফেরত দেয়। কিন্তু দেখা যায়, এরকম কোনও টাকা তাদের অ্যাকাউন্টে জমা পড়েইনি।


কেওয়াইসি কেলেঙ্কারি
আজকের দিনে দেশবাসীকে যেকোনও সাধারণ আর্থিক কাজের জন্য কেওয়াইসি করাতে হয়। এর সুযোগ নেয় প্রতারকরা। কেওয়াইসির নামে প্রতারকরা সরকারি আধিকারিক পরিচয় দিয়ে নথি জমা দিতে বলে৷ এমন পরিস্থিতিতে লোকেরা তাদের নথি পাঠায়। যে কারণে প্রতারকরা তাদের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা ট্রান্সফার করে।


টেকনিক্যাল ফ্রড
এই প্রতারণায় স্ক্য়ামাররা তাদের সিস্টেমে ভাইরাসের নামে মানুষকে প্রতারিত করে। তারা ফোন করে বলে, আপনার সিস্টেমে একটি ভাইরাস আছে। আমরা আপনাকে এটি সরাতে একটি লিঙ্ক পাঠাচ্ছি। কেউ সেই লিঙ্কে ক্লিক করার সঙ্গে সঙ্গে পুরো সিস্টেমের তথ্য তাদের কাছে পৌঁছে যায়। যার ওপর ভিত্তি করে তারা আর্থিক প্রতারণা করে।


Aadhaar Card : আপনার আধার কার্ডে একের বেশি মোবাইল সিম তুলেছেন ! কী হতে পারে জানেন ?