Donald Trump Tariff: হুমকি দিয়েছিলেন আগেই, এবার তা বাস্তবে করে দেখালেন। ফের চিনকে শুল্ক ধাক্কা (US China Trade War) দিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। এবার ৫০ শতাংশের পরিবর্তে চিন থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ১০৪ শতাংশ শুল্ক (Trump Tariff) বসাল আমেরিকা।
কী বলেছে হোয়াইট হাউসচিনের বিরুদ্ধে শুল্ক যুদ্ধে নতুন অধ্যায় শুরু করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাত ১২ টা ১ মিনিট থেকে চিনা আমদানির উপর ১০৪ শতাংশ শুল্ক বসানো হবে। কদিন আগেই ট্রাম্পের ট্যারিফের পরই আমেরিকান পণ্যের ওপর ৩৪ শতাংশ শুল্ক বসিয়েছিল চিন। এরপরই ট্রাম্প নতুন করে চিনের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করার হুমকি দেন। তিন বলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্য়ে চিন এই ট্যারিফ তুলে না নিলে পাল্টা আরও ৫০ শতাংশ শুল্ক বসানো হবে চিনের ওপর। চিন ট্রাম্পের এই কথা না শোনায় নিজের কথাতেই অনড় থাকলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
চিনের ওপর ১০৪ শতাংশ শুল্কের বোঝা
মঙ্গলবার হোয়াইট হাউস একটি বড় ঘোষণা করে বলেছে, চিন থেকে আমদানি করা পণ্যের উপর এখন ১০৪ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। ফক্স বিজনেস রিপোর্টার এডওয়ার্ড লরেন্সের মতে, হোয়াইট হাউস প্রেস সেক্রেটারি বলেছেন- ৯ এপ্রিল থেকে এই শুল্ক আরোপ করা হবে। কারণ চিন এখনও তার প্রতিশোধমূলক শুল্ক প্রত্যাহার করেনি।
চিনের সঙ্গে ট্রেড চুক্তি নিয়ে আলোচনা হবে ?
ট্রাম্প প্রশাসনের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, চিনের জবাব না আসায় আসন্ন বাণিজ্য আলোচনায় চিনকে অগ্রাধিকার দেবে না আমেরিকা। আসলে বিশ্বের অনেক দেশের ওপর পারস্পরিক শুল্ক বসিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যার ফলে রাতারাতি ক্ষতির মুখোমুখি হচ্ছে বিভিন্ন দেশের বাণিজ্য। আমেরিকাতে নতুন করে শুল্কের প্রভাবে বেশি দামে পণ্য় বিক্রি করতে হবে তাদের। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই ট্রাম্পের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করতে চাইছে ভারত ছাড়াও অনেক দেশ।
শেয়ার বাজারে ধসের পিছনে কী নেপথ্য ঘটনা
ট্রাম্প যখন ২ এপ্রিল প্রথম পারস্পরিক শুল্ক ঘোষণা করেছিলেন, তখন বিশ্ব বাজারগুলি তীব্রভাবে পড়েছিল। যে কারণে মন্দার আশঙ্কা ও বিভিন্ন বাণিজ্যে প্রভাব পড়ে। তবে এরপর বাজারগুলি কিছুটা পুনরুদ্ধার হয়েছে। ইউএস স্টকগুলি একটি অসাধারণ ঊর্ধ্বগতি দেখিয়েছে, যেখানে মাত্র এক সপ্তাহ আগে ব্যাপক বিক্রির কারণে ট্রিলিয়ন ডলার মূল্য নষ্ট হয়েছে বিনিয়োগকারীদের।
চিন ভুল করেছে
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, "চিনের পাল্টা জবাব দেওয়া একটি ভুল ছিল। কেউ আমেরিকায় আক্রমণ করলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আরও জোরে জবাব দেন। সে কারণে আজ রাত থেকে চিনের ওপর ১০৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে।" তিনি আরও বলেন, "চিন আলোচনার জন্য এগিয়ে এলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাকে খুব উদারভাবে স্বাগত জানাবেন।"
চিনও পিছপা হচ্ছে না
ট্রাম্প ইতিমধ্যে প্রায় সব দেশের আমদানির ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন । ৯ এপ্রিল থেকে এই শুল্ক কিছু ব্যবসায়িক অংশীদারের উপর ৫০ শতাংশে পৌঁছতে পারে। তবে চিনের বিষয়ে আরও কঠোর অবস্থান নিয়েছেন ট্রাম্প। যার উত্তরে চিন স্পষ্টভাবে বলেছে, এই বিষয়ে তারা পিছু হটবে না। বরং এটিকে "ব্ল্যাকমেইল" বলে অভিহিত করেছে বেজিং। চিনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমরা শেষ পর্যন্ত লড়াই করতে প্রস্তুত। ট্রাম্প সোশ্যাল মিডিয়ায় নম্রতা দেখিয়ে লিখেছেন, "চিনও একটি চুক্তি করতে চায়। কিন্তু তারা বুঝতে পারছে না কীভাবে শুরু করবে। আমরা তাদের ডাকের জন্য অপেক্ষা করছি.।"