US Economy : আর কোনও রাখঢাক নয়। এবার ট্রাম্পের শুল্ক নীতি (Donald Trump Tariff) নিয়ে প্রকাশ্যেই সমালোচনার ঝড় উঠল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে (US Economy)। আমেরিকার শেয়ার বাজারে (Indian Stock Market) ধস নামার পরই মুখ খুলেছেন বিশিষ্টজনেরা। পাল্টা সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) জবাব দিয়েছে ট্রাম্প সমর্থকরা। 

মার্কিন শেয়ার বাজারে কত ক্ষতিমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক ঘোষণার পর শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারেও ব্যাপক পতন হয়েছে। বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামী দিনে ওয়াল স্ট্রিট আরও ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে, কারণ চিন 4 এপ্রিল আমেরিকার পণ্যের আমদানিতে 34 শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছে। ট্রাম্পের 2 এপ্রিল পারস্পরিক শুল্ক আরোপ করার পরে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেজিং। S&P 500 কোম্পানির মূল্যায়ন 2.4 ট্রিলিয়ন ডলার কমে গেছে।

ভারতের শেয়ারবাজারও খারাপ করছেভারতে, NSE নিফটি 50 এবং BSE সেনসেক্সও পতন দেখেছে, কারণ বিনিয়োগকারীরা বাণিজ্য যুদ্ধের ভয়ে নার্ভাস ছিলেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে এই নিয়ে নানা আলোচনা। একদিকে ট্রাম্পের নীতির সমালোচনা হচ্ছে, অন্যদিকে 'মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন' (MAGA) সমর্থকরাও ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন।

শেয়ার বাজারের অভিজ্ঞতা সবচেয়ে খারাপহার্ভার্ডের অধ্যাপক লরেন্স এইচ যিনি হিলারি ক্লিনটন এবং বারাক ওবামার সঙ্গে কাজ করেছেন, তিনি বলেন- শেয়ারবাজারে আজকের এই পতন সম্ভবত গত পাঁচ বছরের সবচেয়ে বাজে অভিজ্ঞতা। তিনি X-এ লিখেছেন, "আজ শেয়ার বাজারের অভিজ্ঞতা গত পাঁচ বছরে সবচেয়ে খারাপ। সাধারণত এই ধরনের ঘটনা তখনই ঘটে, যখন একটি ব্যাঙ্ক দেউলিয়া হয়ে যায় বা একটি মহামারী দেখা দেয়। অনেক সময় কোনও দেশ কিছু করলে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। আমেরিকার রাষ্ট্রপতি যে নীতিগুলি নিয়ে গর্বিত, শেয়ারবাজার সেই নীতি দেখে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দিচ্ছে না৷ এটা জঘন্য, অত্যন্ত বিপজ্জনক।''

ওবামার লং আইল্যান্ড প্রচারের প্রাক্তন চেয়ারম্যান জন কুপার বলেছেন, বুধবার রাতে ট্রাম্পের ঘোষিত শুল্ক নিয়ে চিনের প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপের পর বাজার আরও কমছে। তিনি বলেন, ট্রাম্পের এই শুল্ক যতদিন কার্যকর থাকবে, আমেরিকার অর্থনীতির তত বেশি ক্ষতি হবে এবং জিনিসপত্রের দামও বাড়বে।

রিকভারি মোডে শেয়ার বাজারএই নিয়ে মুখ খুলেছেন ট্রাম্পের সমর্থক ইউর ভয়েস স্টুডিওর সিইও বিল মিচেল। তিনি বলেছেন, আমেরিকান করদাতাদের অর্থ অন্যান্য দেশকে সাহায্য করার জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল বলে শেয়ারের পতন হচ্ছে। তিনি X-এ লিখেছেন, "বাস্তব হল শেয়ারের পতন হচ্ছে কারণ তারা ইউক্রেন এবং ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (USAID) এর মাধ্যমে আমেরিকার করদাতাদের অর্থ দিয়ে সাহায্য করেছিল।

ট্রাম্প 'নিউ মানি'-এর এই সোর্সটি কেটে ফেলেছেন, তাই এটি ভেঙে পড়েছিল। মার্কিন অর্থনীতিকে আরও ভাল দেখানোর প্রয়াসে বিডেন কৃত্রিমভাবে বাজারকে ফুলিয়ে দেখিয়েছেন। এখন এটি বিশ্বব্যাপী থেরাপির কাজ করছে ও এই ক্যান্সার থেকে আমেরিকাকে মুক্ত করছে।