নয়াদিল্লি: অর্থনীতির হাল ফেরাতে সরকার ২০ লক্ষ কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। কিন্তু কর্মসংস্থানের হারের রেখচিত্র পড়তির দিকেই। কর্মসংস্থান পুণরুদ্ধারের হার খুবই মন্থর হয়ে পড়েছে। গত জুনে এই হার ছিল ৬.৭ শতাংশ। জুলাই মাসে তা কমে হয়েছে ১.৭ শতাংশ। সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকনমি (সিএমআইই)-র সাপ্তাহিক রিপোর্টে বলা হয়েছে, জুলাইতে বেকারত্বের হার বেশি ছিল। ২ অগাস্টে শেষ হওয়া সপ্তাহের তথ্য অনুযায়ী, জুলাইতে কর্মসংস্থানের হার ছিল ৩৭.৬ শতাংশ। গত বছর এই সময়ে এক্ষেত্রে হার ছিল ৩৯ শতাংশ। কোভিড পর্বের আগে কর্মসংস্থানের হার ছিল ৩৯ শতাংশ।
সিএমআইই জানিয়েছে, জুনে কর্মসংস্থান রিকভারির গতি বেড়েছিল। জুলাইতেও তেমনই চলছিল, কিন্তু তা সম্পূর্ণ হয়নি। এজন্য কর্মসংস্থান তৈরির হার মন্থর হয়েছে।
গত এপ্রিলে লকডাউনের প্রথম মাসে কর্মসংস্থানের হার কমে হয়েছিল ১১.৯ শতাংশে। জানুয়ারি থেকে মার্চে কর্মসংস্থানের গড় হার ৩৯.১ শতাংশ থেকে তা প্রায় ২৭.২ শতাংশ কমে গিয়েছিল।
সিএমআইই-র তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জুলাইতে শ্রমশক্তি ২০১৯-২০ শ্রমশক্তির তুলনায় এখনও ৩ শতাংশ কম, কর্মরত ব্যক্তিদের সংখ্যাও একই রকম। সিএমআইই জানিয়েছে, তাল মেলাতে এখনও অনেক বাকি, কেননা, সম্ভাব্য তরুণ জনগোষ্ঠীর শ্রম বাজারে প্রবেশ ক্রমবর্দ্ধমান।
ইতিবাচক দিক বলতে জুলাইতে কর্মসংস্থানহীনতার হার ছিল ৭.৪ শতাংশ, যা লকডাউন পর্বের পর্যায়ে। তা ২০১৯-২০-র কর্মসংস্থানহীনতার গড় হার ৭.৬ শতাংশের চেয়ে সামান্য কম, যদিও ২০১৯-র জুলাইয়ের ৭.৩ শতাংশের তুলনায় সামান্য বেশি। ফেব্রুয়ারি ও মার্চে কর্মসংস্থানহীনতার হার ছিল যথাক্রমে ৭.৮ ও ৮.৮ শতাংশ।
শ্রমিক অংশগ্রহণের হার জুলাইতে গত জুনের ৪০.৩ শতাংশ থেকে সামান্য বেড়ে হয়েছে ৪০.৭ শতাংশ। যদিও তা ২০১৯-২০-র গড় হার ৪২.৭ শতাংশ বা জানুয়ারি-মার্চের ৪২.৫ শতাংশের তুলনায় অনেকটাই কম।
সিএমআইই-র রিপোর্টে বলা হয়েছে, কর্মসংস্থানহীনতার হার শুধরে লকডাউন-পূ্র্বের সময়ের পর্যায়ে পৌঁছলেও শ্রমিক অংশগ্রহণের হার এখনও শুধরোয়নি।