Employees Provident Fund: ভারতে বেশিরভাগ চাকরিজীবী ব্যক্তিরই প্রভিডেন্ট ফান্ড অ্যাকাউন্ট রয়েছে। এটি একটি সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থা যা নিয়ন্ত্রণ করে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন (EPFO Rules)। অবসরের পর চাকরিজীবী ব্যক্তিকে আর্থিক নিরাপত্তা দেয় এই প্রভিডেন্ট ফান্ড, প্রতি মাসে কর্মীর বেতনের ১২ শতাংশ জমা হয় এই পিএফ অ্যাকাউন্টে (PF Withdrawal)। আর এই সমপরিমাণ টাকা চাকরিজীবী ব্যক্তির নামে তাঁর সংস্থাও জমা করে এই অ্যাকাউন্টে।


আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী আপনি আপনার প্রভিডেন্ট ফান্ডে জমানো টাকা খরচ করতে পারেন। তবে আপনি যদি ১০ বছর বা তার বেশি সময় ধরে প্রভিডেন্ট ফান্ডে টাকা জমাতে থাকেন, তাহলে আপনি অবসরের পর মাসিক পেনশন পাওয়ার জন্য যোগ্য বিবেচিত হবেন। কিন্তু এই প্রভিডেন্ট ফান্ড থেকে নির্দিষ্ট সীমার বেশি টাকা তুললে আর পেনশন পাওয়া যাবে না। কী কী নিয়ম রয়েছে ? কত টাকা তোলার পরে আর পাওয়া যায় না পেনশনের সুবিধে ?


পুরো টাকা তোলার পর মেলে না পেনশনের সুবিধে


চাকরিজীবীদের বেতনের ১২ শতাংশ তাঁর প্রভিডেন্ট ফান্ড অ্যাকাউন্টে জমা হয়। আর সমপরিমাণ টাকা তাঁর সংস্থাও জমা করে সেই চাকরিজীবীর নামে। এর মধ্যে ৮.৩৩ শতাংশ জমা হয় এমপ্লয়িজ পেনশন স্কিমে। আর বাকি ৩.৬৭ শতাংশ জমা হয় প্রভিডেন্ট ফান্ড অ্যাকাউন্টে। কোনো ব্যক্তি যদি টানা ১০ বছর প্রভিডেন্ট ফান্ড অ্যাকাউন্টে জমা করেন টাকা, তাহলেই তিনি পেনশন পাওয়ার অধিকারী হবেন। এর মধ্যে তিনি যদি চাকরি ছেড়ে দেন, বা কোনও কারণে পিএফের পুরো টাকা তুলে নেন, কিন্তু ইপিএস ফান্ডে টাকা রয়ে যায়, তাহলেও তিনি পেনশন পাবেন অবসরের পরে। কিন্তু যদি তিনি ইপিএসে জমানো টাকাও একত্রে তুলে নেন, তাহলে কোনোভাবেই আর পেনশন পাওয়ার যোগ্য থাকবেন না সেই ব্যক্তি।


কোন পিএফ অ্যাকাউন্ট হোল্ডাররা পেনশন পান


এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশনের নিয়ম অনুসারে কোনো ব্যক্তি যদি একটানা ১০ বছর চাকরি করে থাকেন, তাহলেই তিনি পেনশন পাওয়ার যোগ্য হবেন। ব্যক্তির বয়স ৫০ পেরোলে তবেই তিনি পেনশনের দাবি করতে পারেন।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন: Railway Recruitment: ১৮,৭৯৯ পদের জন্য ২২.৫ লক্ষ পরীক্ষার্থী ! রেলের এই নিয়োগে আবেদনকারীর ভিড় তুঙ্গে