মুম্বই: গোড়ালির অস্ত্রোপচারের পর হাঁটুতেও চোট ছিল। সব চোট সারিয়ে সদ্য ক্রিকেট মাঠে প্রত্যাবর্তন ঘটিয়েছেন মহম্মদ শামি (Mohammed Shami)। বাংলার হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলছেন। একটি রঞ্জি ম্যাচ খেলার পাশাপাশি সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-২০ টুর্নামেন্টে তিনটি ম্যাচ খেলে ফেলেছেন ডানহাতি পেসার। ক্রিকেটপ্রেমীরা মুখিয়ে রয়েছেন, ফের কবে জাতীয় দলের জার্সিতে মাঠে দেখা যাবে ফাস্টবোলারকে?
তবে জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তন ঘটাতে এখনও বেশ কাঠখড় পোড়াতে হতে পারে মহম্মদ শামিকে (Mohammed Shami)। কারণ, সূত্রের খবর, বাংলার তারকা পেসারকে জাতীয় দলে ফেরার জন্য একগুচ্ছ শর্ত দেওয়া হয়েছে। সেগুলো পূরণ করতে পারলে তবেই ফের দেশের জার্সিতে খেলতে পারবেন শামি।
বাংলার হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে শামি কেমন খেলছেন, সেদিকে নজর রাখছেন বোর্ড কর্তা ও নির্বাচকেরা। জানা গিয়েছে, প্রত্যেক স্পেলে বল করার পরেই শামির শারীরিক অবস্থা জরিপ করছেন বোর্ডের স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগের প্রধান নীতিন পটেল ও জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির ট্রেনার নিশান্ত বরদলৈ। শামির রিহ্যাবের তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে রয়েছেন এই দুজনই। শামির সঙ্গেই থাকছেন তাঁরা। প্রত্যেক মুহূর্তের আপডেট দিচ্ছেন বোর্ড কর্তা ও নির্বাচকদের।
যদিও বোর্ড সূত্রে খবর, ফিটনেসের ব্যাপারে শামি এখনও দুই ট্রেনারের উপর বেশ নির্ভরশীল হয়ে রয়েছেন। কত তাড়াতাড়ি শামি এই নির্ভরশীলতা কাটাতে পারছেন, তার ওপরই তাঁকে জাতীয় দলে ফেরানো নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে খবর। সম্পূর্ণ ফিট হওয়ার পাশাপাশি শামিকে ওজন কমানোরও শর্ত দিয়েছে বোর্ড, খবর সূত্রের। ঘরোয়া ক্রিকেটে তারকা পেসার লম্বা স্পেলে বল করলেও, ওজনের কারণে তাঁকে এখনও পূর্ণ ছন্দে দেখা যাচ্ছে না বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।
যদিও ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যত ম্যাচ খেলবেন, ফিটনেস বাড়বে শামির। কমবে ওজনও। কেন ওজন কমানোর ওপর এত জোর দেওয়া হচ্ছে? কারণ, ওজন কমলে শামির চোট পাওয়ার ঝুঁকিও কমতে পারে বলে মত।
আরও পড়ুন: নিলাম থেকে কিনেছে চেন্নাই, এক ওভারে চার ছক্কায় সেই তরুণকেই দুঃস্বপ্ন উপহার দিলেন হার্দিক
সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-২০ টুর্নামেন্টের ম্যাচগুলি শামির জন্য অগ্নিপরীক্ষা হতে চলেছে বলে বোর্ড সূত্রে খবর। তবে শামিকে নিয়ে তাড়াহুড়ো করতে রাজি নয় বোর্ড। ফেব্রুয়ারি মাসে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি রয়েছে। সেখানে ফিট শামিকে খেলাতে চাইছে বোর্ড। সঙ্গে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কর্তা ও নির্বাচকেরা মনে করছেন যে, সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফি টি-২০ ফর্ম্যাটের টুর্নামেন্ট হওয়ায় এমনিতেই সর্বোচ্চ ৪ ওভার বল করার সুযোগ পান বোলাররা। তাও সেটা দুটি এমনকী, তিনটি স্পেলেও করানো হয়। দু'ওভারের স্পেল দেখে বোঝা যাবে না যে, শামি টেস্ট ক্রিকেটের ধকল নিতে কতটা তৈরি।
আরও পড়ুন: বন্ধুর প্রেমের প্রস্তাবে রাজি, স্নেহাশিস-কন্যার নতুন ইনিংস, খুশির হাওয়া সৌরভের পরিবারে