নয়াদিল্লি: লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রভিডেন্ড ফান্ডে সুদের হার বৃদ্ধির প্রস্তাব। ২০২৩-'২৪ অর্থবর্ষে সুদের হার বাড়িয়ে ৮.২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব দিয়েছে Employees' Provident Fund Organisation (EPFO). সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, গত তিন বছরে এই নিয়ে সর্বোচ্চ সুদের হারের প্রস্তাব দিল EPFO. লোকসভা নির্বাচনের আগে সুদের হারে এই বৃদ্ধির প্রস্তাব গৃহীত হলে ২৯ কোটি গ্রাহক উপকৃত হবেন, যাঁদের মধ্যে ৬.৮ কোটি EPFO-র সক্রিয় গ্রাহক। (EPFO Interest Rate)


এর আগে, ২০২৩ সালের মার্চ মাসে EPFO সুদের হার বাড়িয়ে ৮.১৫ শতাংশ করে। ২০২২-'২৩ অর্থবর্ষের জন্য সিদের হার বাড়িয়ে ওই পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয়। তার আগে, ২০২১-'২২ অর্থবর্ষে PF-এর সুদের হার ছিল ৮.১০ শতাংশ। ২০২২ সালের মার্চ মাসে যদিও, সুদের হার কমিয়ে ৮.১ শতাংশ করা হয় ২০২১-'২২ অর্থবর্ষের জন্য, যা ১৯৭৭-'৭৮ অর্থবর্ষের পর সর্বনিম্ন ছিল। কারণ ১৯৭৭-'৭৮ অর্থবর্ষেই ৮ শতাংশ হারে সুদ মিলত PF-এ (EPFO).


২০২৩-'২৪ অর্থবর্ষে PF-এ সুদের হার বাড়িয়ে ৮.২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে EPFO-র সর্বোচ্চ স্তর থেকে, যা সেন্ট্রাল বোর্ড অউ ট্রাস্টিজ (CBT) নামে পরিচিত। শনিবার এ নিয়ে বৈঠক হয় তাদের। সেখানেই সর্বসম্মতিতে প্রস্তাব দেওয়া হয় বলে খবর। তবে CBT-র বৈঠকে সিদ্ধান্ত গৃহীত হলেও, কেন্দ্র সরকার তাতে সিলমোহর দেবে। 


আরও পড়ুন: Bandhan Bank: ১৭ শতাংশ বৃদ্ধি,বন্ধন ব্যাঙ্কের মোট ব্যবসা দাঁড়াল ২.৩৩ লক্ষ কোটি টাকা


শনিবার CBT-র বৈঠকে সুদের হার বৃদ্ধি করার যে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে, তা কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমোদন মিললে, CBT-র প্রস্তাবিত ৮.২৫ শতাংশ হারে সুদ জমা পড়বে ৬ কোটি সক্রিয় EPFO গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে। যদিও লোকসভা নির্বাচনের আগে সুদের হারের এই বৃদ্ধি সরকারের জনমোহিনী প্রকল্পেরই অংশ বলে মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ। 


এ ব্যাপারে যে যুক্তি উঠে এসেছে, তা হল, লাগাতার PF-এর সুদের হারে ওঠাপড়া অব্যাহত থেকেছে। ২০২০ সালের মার্চ মাসে সুদের হার কমিয়ে ৮.৫ শতাংশ করা হয়, যা সাত বছরে সর্বনিম্ন ছিল। তার আগে, ২০১৮-'১৯ সালে সুদের হার ছিল ৮.৬৫ শতাংশ, ২০১৭-'১৮ সালে ৮.৫৫ শতাংশ, ২০১৬-'১৭ সালে ৮.৬৫ শতাংশ ছিল সুদের হার। ২০১৫-'১৬ সালে PF-এ সুদের হার ছিল ৮.৮ শতাংশ। কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর, ২০১৩-'১৪ এবং ২০১৪-'১৫ সালেই PF-এ সর্বোচ্চ সুদ পান গ্রাহকরা, ৮.৭৫ শতাংশ হারে।