Gold Return : আজকাল, মানুষ বিভিন্ন উপায়ে তাদের উপার্জন বিনিয়োগ করে একটি নিরাপদ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার চেষ্টা করে। কেউ কেউ স্টক মার্কেট বেছে নেয়, আবার কেউ কেউ মিউচুয়াল ফান্ড বেছে নেয়, এবং অনেকে সোনায় বিনিয়োগ করে কারণ এটি স্থিতিশীল এবং নির্ভরযোগ্য বলে বিবেচিত হয়। সোনার সবচেয়ে বড় সুবিধা হল দীর্ঘমেয়াদে এর মূল্য সাধারণত বৃদ্ধি পায়। অনেকেই সোনার SIP-এর মতো মডেল অনুসরণ করে, প্রতি মাসে অল্প পরিমাণে সোনা কিনছেন।
এটি ওঠানামার প্রভাব কমায় এবং গড় মূল্যে সোনা জমা হতে দেয়। এখন, ধরে নিন আপনি ২০২৬ সালের জানুয়ারী থেকে শুরু করে প্রতি মাসে ১০,০০০ টাকা মূল্যের সোনা কিনছেন। ২০৩০ সালের মধ্যে আপনার বিনিয়োগের মূল্য কত হতে পারে এবং আপনি কী রিটার্ন আশা করতে পারেন? আসুন সম্পূর্ণ হিসাবটি ব্যাখ্যা করি।
প্রতি মাসে ১০,০০০ টাকা মূল্যের সোনা কিনলে কত টাকা আয় হবে?
আপনি যদি জানুয়ারী ২০২৬ থেকে ডিসেম্বর ২০২৯ পর্যন্ত প্রতি মাসে ₹১০,০০০ মূল্যের সোনা কিনেন, তাহলে মোট বিনিয়োগের সময়কাল ৪৮ মাস। প্রতি ৪৮ মাসে ₹১০,০০০ মূল্যের সোনা কিনলে, আপনার মোট বিনিয়োগের পরিমাণ হবে ₹৪.৮ লক্ষ। যেহেতু সোনার দাম সবসময় স্থির থাকে না, তাই আপনি প্রতি মাসে ₹১০,০০০ মূল্যের সোনা কিনবেন এবং আপনি তা বিভিন্ন পরিমাণে পাবেন।
এর মানে হল যখন সোনার দাম কম থাকে, তখন আপনি আরও সোনা পাবেন, অন্যদিকে যখন সোনার দাম বেশি থাকে, তখন আপনি কম পাবেন। এক অর্থে, এটিকে গোল্ড এসআইপি বলা যেতে পারে। তবে, আপনি যদি সাম্প্রতিক সোনার দামের প্রবণতা দেখেন, তাহলে আপনি গড়ে বার্ষিক ৮% থেকে ১১% বৃদ্ধি দেখতে পাবেন।
২০৩০ সালের মধ্যে সোনার মূল্য কত হতে পারে?
যদি আপনি প্রতি মাসে ₹১০,০০০ মূল্যের সোনা কিনছেন এবং ২০২৬ থেকে ২০৩০ সাল পর্যন্ত সোনার দাম একই হারে বাড়তে থাকে, তাহলে ২০৩০ সালের মধ্যে আপনার ৪.৮ লক্ষ টাকার সোনায় বিনিয়োগ প্রায় ₹৬.৫ লক্ষ থেকে ₹৭.২ লক্ষে পৌঁছাতে পারে।
এই হিসাবটি গড় রিটার্নের উপর ভিত্তি করে। আপনি যে দামে সোনা কিনেছেন তা ২০৩০ সালে আপনার সোনার মূল্য নির্ধারণ করবে। যদি সোনা কেনার সময় তার দাম কম থাকে, কিন্তু ২০৩০ সালে দাম বৃদ্ধি পায়, তাহলে আপনার কেনা সোনার মূল্যও উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে।