নয়াদিল্লি: ধনতেরাসে সোনা কেনার কথা ভাবলে এটাই বিনিয়োগের সেরা সময়। মার্কেট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামী দিনে বড় লাফ দেবে 'সোনার সূচক'। অপরিশোধিত তেল, অ্যালুমুনিয়াম, তামা, কয়লা-সহ অনেক পণ্যের দামই এখন আকাশছোঁয়া। অনুমান, শীঘ্রই সেই তালিকায় নাম লেখাবে সোনা।
সোনার বাজার বলছে, আগামী দিনে প্রতি ১০ গ্রাম সোনার দাম হবে ৮০,০০০ টাকা। অর্থাৎ বর্তমান দাম থেকে ৪০ শতাংশের বেশি বাড়বে সোনার দাম। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সোনার দামে বড় লাফ এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।
বড় লাফ দেবে সোনার দাম
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতি আউন্স ১৮০০ ডলার থেকে সোনার দাম বেড়ে দাঁড়াবে ৩০০০ ডলার প্রতি আউন্স।কানাডিয়ান খনির দুই সবচেয়ে বড় বিশেষজ্ঞ তথা গোল্ডকর্প কর্পোরেশনের প্রাক্তন প্রধান ডেভিড গারোফালো ও রব ম্যাকওয়েনের মতে, বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতি দেখা যাওয়ায় সোনার চাহিদা বাড়তে বাধ্য। প্রতি আউন্সে দাম ছোঁবে ৩,০০০ ডলার।
প্রতি ১০ গ্রাম সোনার দাম হতে পারে ৮০,০০০ টাকা-ভারতে বর্তমানে 10 গ্রাম সোনার দাম 49,600 টাকা। আগামী দিনে তা প্রতি 10 গ্রামে 80,000 টাকা অতিক্রম করতে পারে। আসুন আমরা আপনাকে হিসেব করে বিষয়টি বুঝিয়ে দিই। এক আউন্স (1 আউন্স) 28.3495 গ্রামের সমান। সোমবার বুলিয়ন বাজারে 24
ক্যারেট সোনার দাম ছিল 49610 টাকা। অর্থাৎ ভারতে বর্তমানে এক আউন্স সোনার দাম 1,40,613 টাকা। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি সোনার দাম বেড়ে যায়, তাহলে ভারতে এক আউন্স সোনার দাম 2,25,000 টাকা ছাড়িয়ে যাবে। এবার এই হিসেবকে গ্রামে পরিণত করলে দাঁড়ায় 10 গ্রাম সোনার দাম ছাড়াবে 80,000 টাকা।
মুদ্রাস্ফীতির জন্যই বাড়বে এই দাম
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সারা বিশ্বে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের ত্রাণ প্যাকেজ ও স্বল্প সুদের নীতির কারণেই বাজারে টাকার জোগান বাড়ছে। সেই কারণে মূল্যস্ফীতির হারও বাড়ছে। দীর্ঘমেয়াদে এই মুদ্রাস্ফীতি সোনার দাম বাড়াতে সাহায্য করবে। বিনিয়োগকারীরা দাম কমে যাওয়ার সুবিধা গ্রহণ করবে ও তাদের পোর্টফোলিওতে সোনার বিনিয়োগ বাড়াবে। যখনই মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পায়, তখন সোনার চাহিদাও বৃদ্ধি পায়। মানুষ তাদের মূলধন রক্ষার জন্য সোনায় বিনিয়োগ বাড়ায়।
ভারতে বেড়ে গিয়েছে সোনার চাহিদা
উৎসবের মরসুমের পাশাপাশি দেশে বিয়ের মরসুমও আসন্ন। এই পরিস্থিতিতে ভারতেও সোনার চাহিদা বাড়ছে। গত বছরের এপ্রিল-সেপ্টেম্বরের তুলনায় এ বছর এপ্রিল-সেপ্টেম্বর মাসে সোনা আমদানি ২৫২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছর এই সময়ে যেখানে ৬.৮ বিলিয়ন ডলারের সোনা আমদানি হয়েছিল, এ বছর তা বেড়ে হয়েছে ২৪ বিলিয়ন ডলারে। কেবল সেপ্টেম্বরেই ৫.১১ বিলিয়ন ডলারের সোনা আমদানি করা হয়েছে দেশে।