Gold Rate: সোনার সঙ্গে জড়়িয়ে থাকে বাঙালির আবেগ। যে কোনও শুভ অনুষ্ঠানের আগে, শুভ সময়ে, পুজোর সময়ে অল্প হলেও সোনায় নজর থাকেই। উৎসবের মরসুমের জন্য অনেকে আগে থেকেই সোনা কিনে রাখেন। কিন্তু রোজই বদলায় সোনার দাম, বুঝবেন কীভাবে আজ বাজারে সোনা-রুপোর (Gold Silver Price) সঠিক দাম কত? দোকানে যাওয়ার আগে যাচাই করে নেবেন কীভাবে, দাম ঠিক না ভুল? মুশকিল আসান এবিপি লাইভ বাংলায়। প্রতিদিন সোনা-রুপোর দাম (Gold Silver Rate) কেমন চলছে, এক ক্লিকেই জেনে নিতে পারবেন । জানাচ্ছে, স্বর্ণশিল্প বাঁচাও কমিটি (SSBC)*
Gold Price in Kolkata: আজকের দর (৩১ অগাস্ট, ২০২৩)
বৃহস্পতিবার কলকাতায় ২৪ ক্যারেটের সোনার দাম (Fine Gold 995) রয়েছে প্রতি গ্রাম ৫৯২২ টাকা।
২২ ক্যারেট:
এদিন ২২ ক্যারেটের সোনা কিনতে গেলে প্রতি ১ গ্রামের জন্য দাম পড়বে ৫৭২১ টাকা।
এদিন ২২ ক্যারেটের সোনা বেচতে গেলে প্রতি ১ গ্রামের জন্য দাম পাওয়া যাবে ৫৩৮৯ টাকা।
১৮ ক্যারেট:
এদিন ১৮ ক্যারেটের সোনার দাম প্রতি ১ গ্রামে ৪৭১৪ টাকা
Siver Rate : রূপার দাম
এদিন প্রতি ১ কেজি রূপা (৯৯৯)-এর দাম ৭৪৫২৪ টাকা
সোনা ও রূপো কেনার সময়ে উপরে উল্লিখিত দামের সঙ্গে আরও ৩ শতাংশ GST যুক্ত হবে। অর্থাৎ উপরে যে দামগুলি উল্লেখ করা হয়েছে তার সঙ্গে জিএসটি যুক্ত করা নেই।
তথ্যসূত্র: স্বর্ণশিল্প বাঁচাও কমিটি (SSBC)*
সোনা কতটা খাঁটি তা ক্যারাটের উপর নির্ভর করে। সবচেয়ে খাঁটি সোনা ২৪ ক্যারাটের হয়। এর অর্থ ওই সোনায় অন্য কোনও ধাতু মেশানো নেই। সোনার ক্যারেট যত কমবে সেই সোনায় তত বেশি খাদ মেশানো হয়। যেমন ১৮ ক্যারেটের সোনায় ৭৫ শতাংশ সোনা থাকে এবং ২৫ শতাংশ অন্য ধাতু থাকে।
এছাড়াও fineness দিয়েও সোনা কতটা খাঁটি তা দেখা হয়। যেমন যদি 24 carats (995) লেখা থাকে তাহলে সেই সোনায় প্রতি হাজার ভাগে ৯৯৫ ভাগ সোনা এবং বাকি ভাগ অন্য ধাতু। 24 carats (999) লেখা হলে সেটি সবচেয়ে খাঁটি সোনা। এছাড়াও রয়েছে ২২ ক্যারেটের সোনা, তার fineness ৯১৬, (916 gold rate today)২২ ক্যারেটের সোনা দিয়েই গয়না তৈরি হয়। পাথর সেটিং, হিরের গয়না তৈরিতে সাধারণত ১৮ ক্যারেটের সোনা ব্যবহার করা হয়।
একেবারে খাঁটি সোনা এতটাই নরম হয় যে তা দিয়ে গয়না বানানো যায় না। ফলে গয়নার সোনা পুরোপুরি খাঁটি হয় না। সোনার সঙ্গে অন্য কী ধাতু মেশানো হচ্ছে তার উপর নির্ভর করেই সোনার রং বদলে যায়। যেমন White Gold-এর ক্ষেত্রে সাধারণত রূপো বা প্যালাডিয়াম ব্যবহার করা হয়। রোজ গোল্ড তৈরিতে ব্যবহার হয় তামা।
*১৯৯৩ সালে তৈরি হয় স্বর্ণশিল্প বাঁচাও কমিটি। গোটা রাজ্যেই কার্যকর এই সংগঠন। স্বর্ণশিল্পী এবং স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের নিয়ে এই সংগঠনের কার্যকলাপ। বর্তমানে এর কার্যনির্বাহী সভাপতি সমর কুমার দে।
আরও পড়ুন: ফের 'বিদ্ধ' আদানি! পাল্টা কড়া বিবৃতি জারি সংস্থার