কলকাতা : পৌষ পেরিয়ে মাঘ। ভরপুর বিয়ের মরসুম। এই সময় সোনার দোকানে ভিড় থাকে ভালরকমই। আজ সোনার দান কত চলছে, জানতে চোখ রাখুন এবিপি লাইভে। 



দোকানে যাওয়ার আগে দেখুন

যে কোনও অনুষ্ঠানে উপহার হোক বা পছন্দের বিনিয়োগ। সোনাই (Gold Price) বেশিরভাগের প্রথম পছন্দ। এমন বাঙালি খুঁজে পাওয়া ভার দিনের শুরুতে সোনা-রুপোর দামের দিকে চোখ যায় না যাঁর। দেশের এক এক জায়গায় এক একদিন এক একরকম থাকে সোনা-রূপার দর। প্রায় প্রতিদিনই ওঠানামা করে তা কিন্তু বুঝবেন কীভাবে আজ বাজারে সোনা-রুপোর সঠিক দাম কত চলছে? দোকানে যাওয়ার আগে যাচাই করে নেবেন কীভাবে? দাম ঠিক না ভুল? মুশকিল আসান এবিপি লাইভ বাংলায়। প্রতিদিন সোনা-রুপোর (Silver Price in Kolkata) দাম কেমন চলছে, এক ক্লিকেই জেনে নিতে পারবেন তা।

আজকের সোনার দর ( ২৩ জানুয়ারি, ২০২৪):

সোনা ও রুপো কেনার সময়ে উপরে উল্লিখিত দামের সঙ্গে আরও ৩ শতাংশ GST যুক্ত হবে। অর্থাৎ উপরে যে দামগুলি উল্লেখ করা হয়েছে তার সঙ্গে জিএসটি যুক্ত করা নেই।

সোনা ওজন দাম (টাকায়)
২৪ ক্যারেট (Fine Gold 995)  ১ গ্রাম ৬২৩২
২২ ক্যারেট (কিনতে গেলে) ১ গ্রাম ৬০২০
২২ ক্যারেট (বেচতে গেলে)  ১ গ্রাম ৫৬৭১
১৮ ক্যারেট  ১ গ্রাম ৪৯৬১

 

রুপো (৯৯৯) ১ কেজি ৭০৮৫৪

তথ্যসূত্র: স্বর্ণশিল্প বাঁচাও কমিটি (SSBC)*

কীসের ওপর নির্ভর করে সোনার বিশুদ্ধতা

সোনা কতটা খাঁটি তা ক্যারাটের উপর নির্ভর করে। সবচেয়ে খাঁটি সোনা ২৪ ক্যারাটের হয়। এর অর্থ ওই সোনায় অন্য কোনও ধাতু মেশানো নেই। সোনার ক্যারেট যত কমবে সেই সোনায় তত বেশি খাদ মেশানো হয়। যেমন ১৮ ক্যারেটের সোনায় ৭৫ শতাংশ সোনা থাকে এবং ২৫ শতাংশ অন্য ধাতু থাকে।

কোথায় কত শতাংশ

এছাড়াও fineness দিয়েও সোনা কতটা খাঁটি তা দেখা হয়। যেমন যদি 24 carats (995) লেখা থাকে তাহলে সেই সোনায় প্রতি হাজার ভাগে ৯৯৫ ভাগ সোনা এবং বাকি ভাগ অন্য ধাতু। 24 carats (999) লেখা হলে সেটি সবচেয়ে খাঁটি সোনা। এছাড়াও রয়েছে ২২ ক্যারেটের সোনা, তার fineness ৯১৬, ২২ ক্যারেটের সোনা দিয়েই গয়না তৈরি হয়। পাথর সেটিং, হিরের গয়না তৈরিতে সাধারণত ১৮ ক্যারেটের সোনা ব্যবহার করা হয়। একেবারে খাঁটি সোনা এতটাই নরম হয় যে তা দিয়ে গয়না বানানো যায় না। ফলে গয়নার সোনা পুরোপুরি খাঁটি হয় না। সোনার সঙ্গে অন্য কী ধাতু মেশানো হচ্ছে তার উপর নির্ভর করেই সোনার রং বদলে যায়। যেমন White Gold-এর ক্ষেত্রে সাধারণত রূপো বা প্যালাডিয়াম ব্যবহার করা হয়। রোজ গোল্ড তৈরিতে ব্যবহার হয় তামা।

*১৯৯৩ সালে তৈরি হয় স্বর্ণশিল্প বাঁচাও কমিটি। গোটা রাজ্যেই কার্যকর এই সংগঠন। স্বর্ণশিল্পী এবং স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের নিয়ে এই সংগঠনের কার্যকলাপ। বর্তমানে এর কার্যনির্বাহী সভাপতি সমর কুমার দে। 

আরও পড়ুন: Diabetic Retinopathy: ডায়াবেটিস ডেকে আনতে পারে চোখের বিপদ! কখন, কীভাবে সতর্ক হবেন ?