নয়াদিল্লি: প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বৃদ্ধির আশ্বাসের পরই চাঙ্গা শেয়ার বাজার। জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুতে তোলপাড় আমেরিকা। যার জেরে পড়ল মার্কিন ডলার। উল্টোদিকে টাকার দর ওঠায় পড়ল সোনা-রুপোর দরও।


দেশের আর্থিক বৃদ্ধির ভবিষ্যৎ নিয়ে গতকালই বনিকসভার সম্মেলনে আশ্বাসের বাণী শোনান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এরপরই, আজ শেয়ার বাজার চাঙ্গা হয়ে ওঠে। বিনিয়োগকারীরা দেশের আর্থিক পুনরুজ্জীবন নিয়ে আশাবাদী হয়ে শেয়ারে মনোযোগ দেন।


যার জেরে এদিন শেয়ার মার্কেট শুরু হতেই দ্রুত বাড়তে শুরু করে সেনসেক্স ও নিফটি। বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক ৪১৭ পয়েন্ট উঠে ৩৪ হাজারের ঘরে প্রবেশ করে। অন্যদিকে, ১২৮ পযেন্ট ওপরে উঠে ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের সূচকও ১০ হাজারি লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে।


এদিকে, অর্থনৈতিক পুনরুজ্জীবনের আশায় ইক্যুইটি মার্কেটে ভাল বিনিয়োগ হওয়ায় সোনার দামেও পতন হয়। দেশের বুলিয়ন বাজারে সোনার দাম ০.২০ শতাংশ বা ৫৫৬ টাকা পড়ে প্রতি ১০ গ্রামে দাঁড়িয়েছে ৪৬ হাজার ৪৭০ টাকা। একইভাবে, রুপোর দামও ০.৫১ শতাংশ বা প্রায় ১৫০০ টাকা পড়ে হয়েছে কেজিপ্রতি ৪৮ হাজার ৮৩০ টাকা।


অন্য়দিকে, কোভিড সংক্রমণ ও কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লেয়েডের মৃত্যু-- এই দুই ইস্যুতে জেরবার মার্কিন প্রশাসন। কৃষ্ণাঙ্গ যুবকের মৃত্যুর প্রতিবাদ ও বিক্ষোভের আগুন জ্বলছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এর প্রভাব পড়েছে মার্কিন অর্থনীতিতে। পড়েছে ডলারের দাম।


দেশের শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ ও মার্কিন ডলারের পতন-- এই দুয়ের জেরে টাকা শক্তিশালী হয়। এদিন একটা সময়ে মার্কিন ডলারের তুলনায় টাকা ৭৫.০৩ হয়েছিল। পরে অবশ্য তা পড়ে ৭৫.৩৬-তে শেষ হয়।


প্রসঙ্গত, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সোনার মূল্যের সামান্য হেরফের হতে পারে। কারণ, সোনার দামের সঙ্গে যুক্ত হয় ১২.৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক ও ৩ শতাংশ জিএসটি। দীর্ঘ কোভিড-১৯ লকডাউনের পর দিল্লিতে স্পট গোল্ড মার্কেট খুলেছে। তবে, সেই স্পট গোল্ডের দামও পড়েছে।