নয়াদিল্লি: GST-র আওতায় আনা হল না পেট্রেল-ডিজেল। মহার্ঘ্ জ্বালানির নিয়ন্ত্রণে পথ দেখাল না কাউন্সিল। শুক্রবার পরিষদের বৈঠকে কোভিডের ওষুধে ছাড় জারি রাখলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। দীর্ঘদিন পর ফের সরাসরি GST কাউন্সিলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হল।


এদিন ৪৫তম GST কাউন্সিলের বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন বলেন, ''আমরা জনগণের সুবিধার্থে কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। এবারও কোভিডের ওষুধে ছাড় বজায় রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কাউন্সিল। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে বাড়িয়ে ৩১ ডিসেম্বর পর্য্ন্ত কোভিডের ওষুধে আগের মতোই ছাড় বজায় থাকবে।''


অর্থমন্ত্রী আরও জানান, কেউ ব্যক্তিগত কারণে মাসকুলার অ্যাটরফির মতো রোগের ওষুধ আমদানি করলে করে ছাড় দেবে সরকার। ক্যান্সার রোগের ওযুধের ক্ষেত্রে কর ১২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশে আনা হয়েছে। এ ছাড়াও কিছু উল্লেখযোগ্য সিদ্ধান্ত নিয়েছে জিএসটি কাউন্সিল। শুক্রবার পরিষদের এই বৈঠক ঘিরে সকাল থেকেই আলোচ্য বিষয় ছিল পেট্রল, ডিজেল। যদিও এবারও মহার্ঘ জ্বালানিকে GST-র অধীনে আনার কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি কাউন্সিল।


এ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী জানান, বর্তমানে কাউন্সিলের বেশিরভাগ সদস্য পেট্রোলিয়াম প্রোডাক্টকে GST-র অন্তর্ভুক্ত করতে রাজি নন। সীতারমন উল্লেখ করেন, এদিন পেট্রলিয়াম প্রোডাক্টকে জিএসটির আওতায় আনা নিয়ে আলোচনা হয়। কেরল হাইকোর্টের নির্দেশের কারণেই শেষ মুহূর্তে ওঠে এই প্রসঙ্গ। যদিও কাউন্সিলের সদস্যরা জানিয়েছেন, এই সময় পেট্রল-ডিজেলকে GST-র আওতায় আনা ঠিক হবে না।


এদিনের বৈঠকে কর ছাড় নিয়ে আরও বেশকিছু সিদ্ধান্ত নেয় কাউন্সিল। যেখানে আমদানি করা ভাড়ার বিমানে IGST ছাড়ের কথা বলেছে পরিষদ। এ ছাড়াও জাহাজ বা নৌকায় কোনও জিনিস রফতানিতে কর ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কাউন্সিল। এই নিয়ম জারি হয়েছে বিমানে পণ্য রফতানির ক্ষেত্রেও। ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জারি থাকবে এই কর ছাড়ের নির্দেশিকা। যদিও রেলের যন্ত্রাংশের ওপর GST ১২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৮ শতাংশ করেছে সরকার।