Flat Price Drop : ১৫ অগাস্ট লালকেল্লা থেকে দেশের জিএসটি নতুন করে সংস্কারের (GST Reforms) মাধ্যমে জিনিসপত্রের দাম কমানোর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এই বিষয়ে সম্প্রতি মুখ খুলেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman)। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট বলছে, দীপাবলির আগেই জিএসটি সংস্কার হতে চলেছে। যার ফলে কমবে ফ্ল্যাটের দাম। জেনে নিন, কতটা সস্তা হবে বাড়ি, ফ্ল্যাট ?  

কেন কমবে ফ্ল্যাটের দামদেশে কর সংস্কারের দিকে একটি বড় পদক্ষেপ নিয়ে সরকার জিএসটি হার সহজ করার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু করেছে। শীঘ্রই চারটি স্ল্যাবের পরিবর্তে কেবল দুটি স্ল্যাব থাকবে। আগামী দিনে ৫% ও ১৮% জিএসটি চলবে দেশে। এই পরিবর্তনটি কেবল সাধারণ মানুষই সরাসরি উপকৃত হবে না, রিয়েল এস্টেট খাতও উপকৃত হবে। কারণ সিমেন্ট, ইস্পাত, টাইলস ও স্যানিটারিওয়্যারের মতো নির্মাণ সামগ্রীর উপর জিএসটি হার কমানো হতে পারে। সেই কারণেই 

জিএসটির এখনও পর্যন্ত কী পরিবর্তন২০১৭: ২০১৭ সালে দেশে জিএসটি কার্যকর করা হয়েছিল। ৪৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসনের উপর মাত্র ১% কর আরোপ করা হয়েছিল, যেখানে মাঝারি ও বিলাসবহুল আবাসনের উপর ৫% জিএসটি আরোপ করা হয়েছিল। তবে, সিমেন্টের মতো নির্মাণ সামগ্রীর উপর ২৮%, ইস্পাতের উপর ১৮%, টাইলস এবং পিইটির উপর ২৮% কর আরোপ করা হয়েছিল। এটিই ছিল বাড়ির দাম বৃদ্ধির সবচেয়ে বড় কারণ।

২০১৮-১৯: এই বছর ডেভেলপাররা ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিট পাননি। তাই, ক্রেতাদের স্বস্তি দেওয়ার পরিবর্তে প্রকল্পগুলি ব্যয়বহুল হয়ে ওঠে।

২০২০-কোভিড-পরবর্তী সময়ে: এই সময়ে সরকার ছোট বাড়ির বিক্রিকে উৎসাহিত করার জন্য সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসনের উপর ১% কর অব্যাহত রেখেছে।

২০২৪-২৫: এখন সরকার করের স্ল্যাব মাত্র ৫% এবং ১৮% এ কমিয়ে আনার প্রস্তাব করেছে। এর ফলে বাড়ির নির্মাণ সামগ্রী সস্তা হবে ও বাড়ির দামের উপর সরাসরি প্রভাব পড়বে।

২ বিএইচকে ফ্ল্যাট কতটা সস্তা হবে ?রিয়েল এস্টেট বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি কোনও শহরে ২ বিএইচকে ফ্ল্যাটের দাম ৫০ লক্ষ টাকা হয়, তাহলে নতুন কর কাঠামো তার দাম ১-২ লক্ষ টাকা কমাতে পারে। এর অর্থ হল ক্রেতা সরাসরি ২ থেকে ৪ শতাংশ ছাড় পাবেন। অন্যদিকে, সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসনে কর ইতিমধ্যেই কম অর্থাৎ ৪৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত, তবে সিমেন্ট এবং স্টিলের মতো জিনিসপত্র সস্তা হওয়ার কারণে মোট খরচও কমে যাবে।

কে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবেমধ্যবিত্ত ক্রেতারা, যাদের মধ্যে ৪০ থেকে ৭০ লক্ষ টাকার মধ্যে ফ্ল্যাট কেনা ব্যক্তিরাও সবচেয়ে বেশি স্বস্তি পাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসনের ক্রেতারা পরোক্ষ সুবিধা পাবেন, কারণ নির্মাণ সামগ্রী সস্তা হবে। এছাড়াও, বিলাসবহুল আবাসনের ক্রেতাদের মূল খরচ কমবে, তবে আমদানি করা ফিনিশিং জিনিসপত্র ব্যয়বহুল হতে পারে।