বিবাহ, জীবনের একটি মনোমুগ্ধকর অধ্যায়। তবে, বিবাহের দায়িত্বশীলতা অপরিসীম। আর যে দায়িত্বশীলতার মধ্যে উল্লেখযোগ্য, আর্থিক পরিকল্পনা। নবদম্পতি-বিশেষ করে যাঁরা ২৬ থেকে ৩৬ বছর বয়সী এবং বেতনভুক,  আর্থিক বিষয়ে আলোচনা কখনসখনও কঠিন কিন্তু অপরিহার্য হয়ে দাঁড়ায়। সঠিক পরিকল্পনা হলে নিরাপদ এবং সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যতের একটা মঞ্চ তৈরি হয়, আর তা না হলে অহেতুক একটা চাপ তৈরি হয়ে যায়। 


আর্থিক বিষয়ে খোলামেলা আলোচনার গুরুত্ব


বিবাহ বিষয়ে কোনও সফল আর্থিক পরিকল্পনার প্রথম ধাপই হল খোলামেলা এবং স্বচ্ছ আলোচনা। টাকাপয়সার বিষয় অবশ্যই সংবেদনশীল, তবে একে এড়িয়ে চললে বিপদ, তৈরি হতে পারে বিভ্রান্তি এবং ভুল বোঝাবুঝি। দম্পতিকে অবশ্যই তাদের আয়, ঋণ, খরচের পরিকল্পনা ও অভ্যাস, সঞ্চয় দীর্ঘ-মেয়াদি আর্থিক লক্ষ্য ইত্যাদি আলোচনা করা উচিত। পারস্পরিক আর্থিক দূরদর্শিতা দুজনের আশাপ্রত্যাশাকে তুলে ধরতে সহায়তা করে এবং এটা বুঝতে সাহায্য করে যে, তাদের ওই বিষয়ে দৃষ্টিভঙ্গি একই। 


যৌথ আর্থিক লক্ষ্যমাত্রা স্থির


দম্পতিরা একবার তাদের বর্তমান আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে গেলে, যৌথ আর্থিক লক্ষ্যমাত্রা পূরণও গুরুত্বপূর্ণ তখন। তা হতে পারে স্বল্পমেয়াদি যেমন, কোনও ভ্রমণের জন্য সঞ্চয় পরিকল্পনা বা কোনও আপৎকালীন ফান্ড তৈরির বিষয়। হতে পারে দীর্ঘমেয়াদিও, যেমন বাড়ি কেনা, সন্তানদের জন্য আর্থিক পরিকল্পনা বা অবসরকালীন বিনিয়োগের বিষয়। 


এই লক্ষ্যমাত্রাগুলিকে অগ্রাধিকার দেওয়ার বিষয়টি ভীষণই গুরুত্বপূর্ণ। সুনিপুণ একটি আর্থিক পরিকল্পনা দম্পতিদের তাদের আয়ের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে প্রয়োজনগুলি মেটাতে সাহায্য করে এবং ভবিষ্যতের জন্য তাঁদের তৈরি করতে পারে।     


অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির জন্য পরিকল্পনা


জীবন অনিশ্চিত। তাই, জীবনের অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি ও ঘটনার জন্য তৈরি থাকতে আর্থিক পরিকল্পনার অন্যতম  একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ধাপ এটি। আপৎকালীন যেমন চিকিৎসাজনিত পরিস্থিতি, চাকরিচ্যুতি, অথবা  কখনও অপ্রত্যাশিতভাবে ব্যয় বেড়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটলে সযত্নে লালিত আমাদের বাজেটের পর চাপ পড়ে। আর এখানেই আর্থিক সুরক্ষা-জালের প্রয়োজনীয়তা।


আপৎকালীন ফান্ডের ব্যবস্থা রাখা হল প্রথম ধাপ। ৩ থেকে ৬ মাসের একটা ব্যয়ের লক্ষ্য়মাত্রা ধরে এই সঞ্চয়ের কার্যকারিতা হবে এবং প্রয়োজনের সময় যা উপলব্ধ হবে। সঞ্চয়ের পাশাপাশি, বিমার বিষয়টিও এখানে সুরক্ষিত থাকা উচিত। জীবন বিমা, স্বাস্থ্য বিমা এবং অন্যান্য সুরক্ষা-জাল যে কোনও রকম অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে সাহায্য করবে। আপনার পরিবারের আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্য থাকবে নিরাপদ।


জীবন বিমার গুরুত্ব কেন


ভবিষ্যতের জন্য পরিকল্পনায়, আর্থিক সুরক্ষার ভিত্তি হল জীবন বিমা। নবদম্পতির কাছে এটাই যে প্রাথমিকভাবে গুরুত্ব পাবে তাই নয়, জীবন বিমা থাকলে আপনার জীবনসঙ্গী ও পরিবারকে কখনোই কোনওরকম অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতিতে আর্থিক ঝুঁকির সম্মুখীন হতে হবে না। 


জীবনের প্রতি ধাপে নানা আর্থিক প্রয়োজনীয়তায় পছন্দমতো বিকল্পের ব্যবস্থা রয়েছে HDFC Life Click 2 Protect Super-এ।  যেমন, প্রিমিয়ামের ফেরত বিকল্প। এতে গ্রাহক বিমার-মেয়াদ পর্যন্ত জীবিত থাকলে সমস্ত প্রিমিয়ামই ফেরত পান, যাতে তিনি এতেও নিশ্চিত হন যে, টাকাটা জলে পড়ে যায়নি। পাশাপাশি, এই প্রকল্পে বর্ধিত মৃত্যুকালীন সুবিধাও পান গ্রাহক, যাতে কোনও দম্পতি নিজেদের ইচ্ছেমতো বর্ধিত কভারেজ পেতে পারেন। এতে তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী বর্ধিত দায়িত্বও সুরক্ষিত থাকে। 


উপসংহার


সবশেষে এটা বলা, আর্থিক পরিকল্পনা শুধুমাত্র সংখ্যা নয় বরং একসঙ্গে একটা গোটা জীবন গড়ে তোলা। খোলামেলা আলোচনা, লক্ষ্যমাত্রা স্থাপন এবং অনিশ্চয়তার জন্য তৈরি হওয়ার মাধ্যমে নবদম্পতিরা ভবিষ্যতের জন্য দৃঢ় এক ভিত্তি নিশ্চিত করতে পারেন। HDFC Life Click 2 Protect Super-এর সুচিন্তিত বিকল্প পছন্দের মাধ্যমে, তাঁরা নিরাপত্তার এক অতিরিক্ত স্তর বেছে নিতে পারেন। স্বপ্ন হয় সুরক্ষিত এবং তাঁদের একসঙ্গে এগিয়ে চলা জীবন হয় আরও নিরাপদ। 


 


এই সার্ভেটিতে অংশ নিন


 



(ডিসক্লেমার: এই নিবন্ধটি একটি ফিচার্ড প্রতিবেদন। ABP অথবা ABP LIVE এখানে প্রকাশিত মতামতকে সমর্থন/সাবস্ক্রাইব করে না। উল্লিখিত অনুচ্ছেদে বর্ণিত সব কিছুর জন্য অথবা উল্লিখিত নিবন্ধে বর্ণিত/নির্দিষ্ট ভাবনা, মতামত, ঘোষণা, ডিক্লেয়ারেশন, যাচাইকরণ ইত্যাদির জন্য আমরা কোনওভাবেই দায়ী থাকব না। সেই অনুসারে পাঠকদের কোনও বিষয়ে বিবেচনা বা সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়ে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।)