Gautam Adani: মার্কিনি শর্টসেলার ফার্ম হিন্ডেনবার্গের নতুন রিপোর্ট নিয়ে ফের একবার তোলপাড় গোটা দেশ। এই নতুন রিপোর্টে আদানির সঙ্গে সেবির চেয়ারপার্সন মাধবী পুরি বুচ এবং তাঁর স্বামী ধবল বুচের প্রত্যক্ষ যোগাযোগের দাবি করা হয়েছে। আর এই প্রথম হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট (Hindenburg Research) নিয়ে মুখ খুললেন স্বয়ং গৌতম আদানি। শনিবার সন্ধ্যায় এই রিপোর্ট প্রকাশের পরে রবিবার এই দাবি সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেন গৌতম আদানি (Gautam Adani)। তিনি স্পষ্টই জানান যে সেবির চেয়ারপার্সনের সঙ্গে তাঁর কোনও রকম প্রত্যক্ষ বাণিজ্যিক সম্পর্ক নেই। ফলে হিন্ডেনবার্গের এই দাবি ভুয়ো।
রিপোর্টে উল্লিখিত ব্যক্তির সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই
গতকাল শনিবার রিপোর্ট প্রকাশ করেছে হিন্ডেনবার্গ আর তারপরেই আজ রবিবার ১১ অগাস্ট এই রিপোর্টের দাবিকে নস্যাৎ করেছেন গৌতম আদানি স্বয়ং। তিনি জানিয়েছেন যে রিপোর্টে উল্লিখিত ব্যক্তির সঙ্গে বা ঘটনার সঙ্গে কোনও রকম বাণিজ্যিক উপায়েই তিনি জড়িত নন। হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট নিয়ে এই প্রথম মুখ খুললেন গৌতম আদানি। রিপোর্টে এও দাবি করা হয়েছে যে বিনোদ আদানি, সেবি চেয়ারপার্সন মাধবী পুরি বুচ এবং তাঁর নিকটস্থানীয় কিছু ব্যক্তি বৈদেশিক কিছু ফান্ডে বিনিয়োগ করে রেখেছেন।
বিদেশি বাজারে বিনিয়োগের পরিসংখ্যান স্পষ্ট
আদানি গ্রুপ এই অভিযোগকে অস্বীকার করেছে। বিবৃতিতে জানিয়েছে আদানি গ্রুপ, হিন্ডেনবার্গের এই দাবিকে সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করা হল এবং আদানি গ্রুপের বিদেশি বাজারে বিনিয়োগের সব তথ্যই প্রকাশ্যে রয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছিল আদানি নাকি বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ফান্ড স্থানান্তর করতেন।
গত বছর জানুয়ারিতে শুরু এই মামলা
আদানি গ্রুপ নিয়ে হিন্ডেনবার্গের এই অভিযোগ নতুন নয়। আজ থেকে দেড় বছর আগে ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে শুরু হয়েছিল এই মামলা। এই প্রথম রিপোর্টে হিন্ডেনবার্গ দাবি করেছিল যে আদানি গ্রুপ শেয়ারের দাম ও ফান্ডে প্রভাব বিস্তার করে হেরফের ঘটিয়েছেন আদানি। হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টে এটিকে কর্পোরেট জগতের একটি বড় জালিয়াতি হিসেবে দেখানো হয়েছে। এর জন্য আদানি গ্রুপের প্রভূত ক্ষতি হয়, কোম্পানির বাজার মূলধন প্রায় ৮০ বিলিয়ন ডলার কমে যায়।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: Cafe Coffee Day: গলা অবধি দেনায় ডুবে 'ক্যাফে কফি ডে', বন্ধ হবে ব্যবসা ?