Honda Shine 100: নামেই নয়, পারফরমেন্সেও শাইন করে এই বাইক। ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় দু-চাকার কথা বললে উঠে আসে এর নাম। জাপানের এই টু-হুইলারের নাম হন্ডা শাইন হান্ড্রেড।
এই সেগমেন্টে সবার নজর
বড় বাইক, বেশি সিসির ইঞ্জিন নজর কাড়লেও জনপ্রিয়তার নিরিখে এই সেগমেন্টকে হারাতে পারে না কেউ। দেশে সেই কারণে সবাইকে পিছনে ফেলে দেয় কমিউটার বাইক সেগমেন্ট। যেখানে রাজ করে ১০০ থেকে ১১০ সিসির বাইক। পরিসংখান বলছে, ভারতের ৩৩ শতাংশ মার্কেট শেয়ার রয়েছে এই কমিউটার বাইক সেগমেন্টের হাতে। যার মধ্যে ২৮ শতাংশ বাইক সেগম্নেটের শেয়ার রয়েছে ১০০ সিসির বাইকের।
বিশ্বাসযোগ্যতাই শেষ কথাদেশের এই সেগমেন্টের বাজার ধরতে সম্প্রতি শাইন হান্ড্রেড নিয়ে এসেছে হন্ডা। সম্প্রতি অ্যাম্বে ভ্যালিতে দেখানো হয়েছে এই মডেল। ১০০ সিসির বাইকে হলেও নজর কাড়বে এর রং। এমনিতেই এই কম সিসির বাইক নিয়ে খুব বেশি প্রত্যাশা রাখেন না ক্রেতারা। ভাল মাইলেজ, ঠিকঠাক লুকের সঙ্গে কোম্পানির বিশ্বাসযোগ্যতাই ক্রেতাদের অন্যতম চাহিদা হয়।
ডিজাইন ও লুকবাইকের সামনের দিকে তাকালে ভদ্রস্থ চেহারা নজর কাড়বে আপনার। এলইডি না হলেও হ্যালোজেন হেডলাইট দেওয়া হয়েছে বাইকে। সাইড ইন্ডিকেটরেও পাবেন হ্যালোজেট সেটআপ। সামনের মাডগার্ডে দেওয়া হয়েছে ম্যাট ফিনিস। সঙ্গে রয়েছে টেলস্কোপিক ফর্ক। সবথেকে বড় বিষয়ে এর ৫ স্পোকের অ্যালোয় হুইল ও এর সাইড গ্রাফিক্স। গ্রিন ও সিলভারের এই গ্রাফি্স বাইকে একটা সোবার লুক দিচ্ছে।
আরামদায়ক বসার জায়গা১০০ সিসির বাইক হওয়ায় মাইলেজের বিষয়ে এমনিতেই ভাবতে হবে না আপনাকে। পকেটে যাতে টান না পড়ে তাই ৯ লিটারের তেলের ট্যাঙ্ক দিয়েছে কোম্পানি। বাইককে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে কিছু জায়গায় হালকা ক্রোমের ব্যবহার দেখতে পাবেন। দীর্ঘ সময় ধরে বাইক চালাতে সমস্যা হওয়ার কথা নয় শাইনে। সেই কারণে এখানে দু-জন ভালভাবে বসার জন্য আরামদায়ক সিট দেওয়া হয়েছে। পিছনের যাত্রীর অসুবিধা যাতে না হয়, তাইপাবেন সিলভার কালারের গ্র্যাব রেইল।
সামনের মতো বাইকের পিছনেও ভদ্রস্থ চেহারা দেওয়ার চেষ্টা করেছে কোম্পানি। এখানে হ্যালোজেন টেইল ল্যাম্পের সঙ্গে পাবেন হ্যালোজেন সাইড ব্লিংকারস। তবে ডিজিটাল নয়, এখানে অ্যানালগ ইনস্ট্রুমেন্ট ক্লাস্টার দিয়েছে কোম্পানি। যার বাঁদিকে স্পিডোমিটার ও ওডোমিটার দেখতে পাবেন আপনি। ডানদিকে পাবেন ফুয়েলগেজ। এখানে সেলফস্টার্টের সঙ্গে কিক স্টার্টও দিয়েছে কোম্পানি।
তবে এই বাইকে ইউএসবি পোর্ট দেয়নি হন্ডা। যা আজকের সময়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিশেষ করে ডেলিভারি বয়রা এই বেশিরভাগ সময় এই ইউএসবি পোর্টের চার্জিংয়ের ওপর ভরসা করে।
ইঞ্জিন ও পারফরমেন্স১০০ সিসির সিঙ্গল সিলিন্ডার ইঞ্জিনের ওপর ভত্তি করে চলে। যা আপনাকে ৭.৫ বিএইচপির পাওয়ার ও ৮.০৫ নিউটন মিটারে টর্ক দেয়। এতে পাবেন ৪স্পিড গিয়ারবক্স। এমনিতেই হন্ডার বাইকের ইঞ্জিন নিয়ে ক্রেতাদের মধ্য়ে বিশ্বাসযোগ্যতা রয়েছে। তাই পারফরমেন্সের দিক দিয়ে কোনও সমস্যা দেবে না বাইক।
কাদের জন্য বাইকআসলে নিত্যদিন অফিস বা কাজে বেরোনোর জন্যই তৈরি হয়েছে এই ধরনের বাইকে। ডেলিভারি বয়দের মধ্যে এই সেগম্নেট রবাইক কেনারপ প্রবণতা বেশি দেখা যায়। এটা কোনও সুপার বাইকের অনুভূতি আপনাকে দেবে না। বাইকে ৮০-৮৫ কিলোমিটার গতি ম্যাক্সিমাম তুলতে পারবেন আপনি। তবে ৬৫-র ওপরে গেলেই বাইকের হ্যান্ডের বার ও ফুট পেগসে কাঁপুনি অনুভর করবেন।
পাওয়ারের থ্রটলের কথা বললে বাইকে স্টার্টের পর থেকে ভাল পিকআপ নেয়। যদিও মিডরেঞ্জে আসতে আসতেই তা অনেকটা থিতু হয়ে পড়ে। সেই কারণে ফুল পিকআপে বাইক আপনাকে সেই গতির অনুভূতি দেবে না। তবে ১০০ সিসির বাইক হিসাবে রাস্তা আকড়ে চলবে এই টু-হুইলার। ফোর স্পিড গিয়ারবক্সের শিফটিংয়ের ক্ষেত্রেও আপনার কোনও অসুবিধা হবে না।
বাইক চালানোর অভিজ্ঞতাকম উচ্চতার ব্যক্তিরাও সহজেই এই বাইক নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। বিশেষ করে এর বসার প্রকৃতি একে বাকিদের থেকে আলাদা করেছে। কমিউটার বাইক হওয়ায় এর হ্যান্ডেলবার ও সিট এমন উচ্চতায় রাখা হয়েছে, যাতে ঘম্ঠার পর ঘণ্টা বাইক চালিয়েও চালকের হাত বা ঘার ব্যাথা করবে না। বিশেষ করে হ্যান্ডেলবার লাইট হওয়ায় শহরের ট্রাফিকে সহজেই এই বাইক ঘোরানো যায়। টার্নিং রেডিয়াস ছোট হওয়ায় সহজেই ছোট জায়গার মধ্য়েও ঘোরানো যায় বাইক।
সাসপেনশন কেমন বাইকে সামনে এতে টেলিস্কোপিক ফোর্ক পাবেন, পিছনে রয়েছে স্প্রিং সাসপেনশন। তাই গর্ত বা উচু-নিচু রাস্তায় বাইক চালাতে সেভাবে সমস্যা হবে না। তবে পিছনের সাসপেনশন আরও ভাল হওয়া উচিত ছিল। বাইকে এবিএস পাবেন না। তবে ব্রেকিং বাইট বেশ ভাল।
কত দাম বাইকেরএই বাইকের দাম রাখা হয়েছে ৬৪,৯০০ টাকা এক্স শোরুম। তবে রাস্তায় নামাতে এই বাইকের দাম পড়ে যাবে ৭২,০০০। ১০০ সিসির বাইক হিসাবে যা বাজারে বেশ ভাল দাম। এতে ৫টি গ্রাফিক্স কালার পাবেন আপনি। তাই দেরি না করে বেছে নিন পছন্দের রং।
Car loan Information:
Calculate Car Loan EMI