আচার্য বালকৃষ্ণ স্বামী রামদেবের সঙ্গে অংশীদারিত্বে আয়ুর্বেদ ও যোগব্যায়ামকে বিশ্বব্যাপী তুলে ধরার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। দেশীয় পণ্যের প্রচারের মাধ্যমে তিনি একটি ভারতীয় সুস্থতার উদ্যোগকে দেশের শীর্ষস্থানীয় কনজিউমার পণ্য আন্দোলনের একটিতে রূপান্তরিত করতে সহায়তা করেছেন।

পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ এমনই একটি ভারতীয় কোম্পানি যা আয়ুর্বেদ ও যোগব্যায়ামকে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি দিতে সফল হয়েছে। সংস্থার মতে ব্র্যান্ডের উল্লেখযোগ্য সমৃদ্ধি মূলত আচার্য বালকৃষ্ণের নেতৃত্বের দ্বারা পরিচালিত হয়েছে। তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি, অকালন্ত প্রচেষ্টা, ভারতীয় সংস্কৃতির প্রতি অটল প্রতিশ্রুতি এই সংস্থাকে শুরু থেকেই ভোগ্যপণ্যের বাজারে একটি চিরপরিচিত নাম করে তুলেছে।

সংস্থা জানিয়েছে, ‘আচার্য বালকৃষ্ণ আধুনিক বিশ্বে আয়ুর্বেদ ও যোগব্যায়ামে নতুন প্রাণ সঞ্চার করেছেন। ১৯৯৫ সালে তিনি স্বামী রামদেবের সঙ্গে দিব্য যোগ মন্দির ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করেন, ২০০৬ সালে পতঞ্জলি আয়ুর্বেদের ভিত্তি স্থাপিত হয় তারই নেতৃত্বে।

তিনি বিশ্বাস করেন, স্বাস্থ্য, সমৃদ্ধি ও মানসিক শান্তি একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত। এই দর্শন ব্র্যান্ডের প্রাকৃতিক ও রাসায়নিকমুক্ত পণ্যের পরিসরে নিহিত রয়েছে। তারই নেতৃত্বে ভোক্তাদের চাহিদা পূরণ করার জন্য সাবান, তেল থেকে শুরু করে খাদ্যদ্রব্য এবং ভেষজ ওষুধ পর্যন্ত ৪০০টিরও বেশি পণ্য চালু করা হয়েছে।

দেশীয় পণ্যও যে কোনও আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের সঙ্গে তাল মেলাতে পারে

সংস্থা জানিয়েছে, ‘আচার্য বালকৃষ্ণ স্বদেশি, ও মেক ইন ইন্ডিয়া নীতিগুলিকে আমাদের কৌশলের মূল বিষয় করে তুলেছিলেন। তিনি ভারতে তৈরি পণ্যগুলিকে বিশ্বব্যাপী ব্র্যান্ডের বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিযোগী হিসেবে স্থাপন করেছিলেন এবং ভোক্তাদের মধ্যে এই বিশ্বাস জাগিয়ে তুলেছিলেন যে ভারতীয় পণ্যগুলিও মানের দিক থেকে অতুলনীয়। তাঁর বিপণন পদ্ধতি ঐতিহ্যবাহী রীতিকে অস্বীকার করে বহিরাগত বাজার গবেষণা ছাড়াই একাধিক বিভাগে পণ্য বাজারে আনে। এই কৌশল ব্র্যান্ডটিকে একটি স্বতন্ত্র পরিচয় এনে দেয়। এতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ‘আচার্য বালকৃষ্ণের কর্মনীতি এবং নিষ্ঠা তাঁর সাফল্যের প্রধান কারণ। তিনি কোনও ছুটি না নিয়ে দিনে ১৫ ঘণ্টা কাজ করেন। ৯৪ শতাংশ শেয়ার থাকা সত্ত্বেও তিনি কোনও বেতন নেন না। তাঁর সরল জীবনধারা ও সুশৃঙ্খল ভাব কর্মীদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস।

শিক্ষা ও গবেষণায় চালিকাশক্তি

সংস্থার দাবি ‘আচার্য বালকৃষ্ণ কেবল ব্যবসায় নয়, শিক্ষা ও গবেষণাতেও অবদান রেখেছেন। তিনি পতঞ্জলি বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং ৩৩০টিরও বেশি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছেন। তাঁর ‘ওয়ার্ল্ড হার্বাল এনসাইক্লোপিডিয়া’ ৫০ হাজার ওষধি গাছ নথিভুক্ত করেছে আর বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি পেয়েছে। এটি আয়ুর্বেদের প্রতি তাঁর জ্ঞান ও নিষ্ঠার প্রমাণ।’

এতে আরও বলা হয়েছে যে আচার্য বালকৃষ্ণের নেতৃত্বে সংস্থাটি কেবল ভারতের মধ্যেই নয়, বিশ্ববাজারেও বিস্তৃত হয়েছে। আমাজন ও বিগ বাস্কেটের মত ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে সহযোগিতা করে অনলাইন সেলকে বাড়িয়ে তুলেছে সংস্থা।