নয়াদিল্লি: দেশের অভ্যন্তরীণ মোট উৎপাদন বা GDP বৃদ্ধির হার ৮.২ শতাংশ দেখিয়েছে কেন্দ্র। সেই নিয়ে একযোগে সরব বিরোধীরা। তথ্যে হেরফের ঘটানো হয়েছে বলে দাবি তাদের। আর সেই আবহে বিতর্ক আরও উস্কে দিল  আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার (IMF). GDP-সহ ভারতের অন্যান্য জাতীয় হিসেব সংক্রান্ত পরিসংখ্যানকে ‘C’ গ্রেড ধরিয়েছে তারা। আর তাতেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। (IMF on India's GDP)

Continues below advertisement

হিসেব এবং পরিসংখ্যান কতটা নির্ভুল, তার উপর ভিত্তি করেই প্রত্যেক দেশের ‘গ্রেড’ নির্ধারণ করে IMF. এই ‘গ্রেড’যত নীচের দিকে যাবে, তার অর্থ জনগণের সামনে যে তথ্য তুলে ধরা হচ্ছে, তা ‘ত্রুটিপূর্ণ এবং নজরদারিতে বাধা সৃষ্টি করে’। ভারতের অর্থনৈতিক পরিকাঠামোর বার্ষিক পর্যালোচনায় এমনটাই জানিয়েছে IMF. (GDP of India)

IMF জানিয়েছে, অর্থনীতি সংক্রান্ত যে তথ্য় প্রকাশ করেছে কেন্দ্র, তা পর্যাপ্ত নয়। ওই তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের পদ্ধতি ত্রুটিপূর্ণ। উৎপাদন সংক্রান্ত পরিকাঠামো, মানুষের খরচের অভ্যাস বদলে গেলেও, GDP হিসেব করতে এখনও কেন ২০১১-’১২ সালকে ভিত্তি হিসেবে ধরা হচ্ছে, প্রশ্ন উস্কে দিয়েছে IMF. GDP নির্ধারণে উৎপাদন এবং খরচের হিসেবে অসঙ্গতি রয়েছে বলেও দাবি করেছে তারা। অসংগঠিত ক্ষেত্রের উপর গুরুত্ব আরোপের কথাও বলা হয়েছে।

Continues below advertisement

সরকার, মানুষ ও বিভিন্ন সংস্থার আয়ের নিরিখে গোড়া থেকেই GDP নির্ধারণ করে আসছে সরকার। পাশাপাশি, খরচের হিসেবেও তুলে ধরা হয়। যদিও তথ্যের উৎস এবং নজরদারিতে ফারাক থাকায় GDP-র হিসেবও ভিন্ন হয়, যা নিয়ে লাগাতার প্রশ্ন তুলে আসছেন অর্থনীতিবিদরা। IMF-ও এবার তা তুলে ধরল।

যে ক্রেতা মূল্য সূচকের নিরিখে ভারত মুদ্রাস্ফীতি নির্ধারণ করে, সেটিকে ‘B’ গ্রেডের আওতায় রেখেছে IMF. অর্থাৎ যে তথ্য তুলে রা হয়েছে, তাতে ত্রুটি রয়েছে। তবে নজরদারি চালানো সম্ভব তা দিয়ে। 

GDP-র হার বৃদ্ধির যে তথ্য সম্প্রতি তুলে ধরেছে কেন্দ্র, তাতে ৮.২ শতাংশ বৃদ্ধি দেখানো হয়েছে। GST ছাড় দেওয়ায় মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে বলে দাবি করা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। যদিও বিরোধী দলগুলি এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। IMF প্রশ্ন তোলার পর পরই সাত তাড়াতাড়ি GDP-র হার বৃদ্ধির পরিসংখ্যান প্রকাশ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ।