নয়াদিল্লি: কোভিড-১৯ দেশের অর্থনীতির ওপর মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে চলেছে, এমন আশঙ্কার মধ্যেই কর্মীবাহিনীর প্রায় ১৩ শতাংশকে লে অফের সিদ্ধান্ত নিল অনলাইনে খাবার সরবরাহ ব্যবসার অন্যতম শীর্ষ সংস্থা জোম্যাটো। সংস্থায় প্রায় ৪ হাজার লোক বিভিন্ন কাজ করে।
এক ব্লগ পোস্টে জোম্যাটো প্রতিষ্ঠাতা তথা সিইও দীপিন্দর গোয়েল জানিয়েছেন, গত কয়েক মাসে কোম্পানির ব্যবসার একাধিক দিক নাটকীয়ভাবে বদলে গিয়েছে এবং এইসব বদলের অনেকগুলিই স্থায়ী হতে পারে। তিনি বলেছেন, আমরা জোম্যাটোকে আরও বেশি ফোকাস করে এগিয়ে চলব, কিন্তু আমাদের সব কর্মীর জন্য যথেষ্ট কাজের ব্যবস্থা হবে, এমনটা দেখতে পাচ্ছি না। সব কর্মীর সামনে চ্যালেঞ্জিং কাজের পরিবেশ থাকবে, কিন্তু আগামী দিনে প্রায় ১৩ শতাংশ কর্মীকে সেই সুযোগ দিতে পারব না। যাঁরা এর মধ্যে পড়ছেন, ২৪ ঘন্টার মধ্যে লিডারশিপ টিমের সঙ্গে জুম কলে যোগাযোগের আমন্ত্রণ পাবেন।
তবে লে অফের আওতায় পড়া কর্মীদের যত দ্রুত সম্ভব নতুন কাজ খুঁজে পেতে সাহায্য করতে ও পরবর্তী পদক্ষেপগুলির ব্যাপারে বোঝাতে তাঁদের সঙ্গে তিনি ও সিওও তথা সহ প্রতিষ্ঠাতা গৌরব গুপ্তা ও সিইও ফুড ডেলিভারি মোহিত গুপ্তা ভিডিও কলে কথা বলবেন।
পাশাপাশি এই কর্মীদের আর্থিক সহায়তার ব্যাপারে তিনি বলেন, জোম্যাটোয় আর কোনও কাজ থাকবে না, আমাদের এমন সব কর্মী আগামী ৬ মাস ৫০ শতাংশ বেতন পাবেন, আমাদের সঙ্গেই থাকবেন। হ্যান্ডওভারের জন্য ১-২ সপ্তাহ বাদে এই সময়কালে জোম্যাটোর বাইরে কাজ খুঁজে নেওয়ার ব্যাপারে তাঁরা ১০০ শতাংশ সময়, উদ্যম ঢালবেন বলে আশা করছি।
এছাড়া এই ৬ মাস বা নতুন কাজ খুঁজে পাওয়া পর্যন্ত কোম্পানি তাঁদের স্বাস্থ্যবিমা, আউটপ্লেসমেন্ট সাপোর্ট দেবে বলেও জানান তিনি। এই ৬ মাস আগে থেকে বরাদ্দ কর্মী স্টক ওনারশিপ প্ল্যানও (ইএসওপি) বহাল থাকবে।
গোয়েল আরও বলেন, আমি জুন থেকে গোটা প্রতিষ্ঠানের বেতন সাময়িক হ্রাসের প্রস্তাব দিচ্ছি। স্বল্প বেতনের লোকজনের ক্ষেত্রে কম ছাঁটা হবে, বেশি মাইনের লোকজনের ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত হ্রাস হবে।