নয়া দিল্লি: আগের নোটবন্দির পরিস্থিতির সাড়ে ছ'বছরের মাথায় ফের 'মিনি' নোটবন্দি পরিস্থিতি ভারতে। এ বার ২ হাজার টাকার নোট বাজার থেকে তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় সরকারের। কারও কাছে এই ২ হাজার টাকার নোট থাকলে, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তা জমা দিতে হবে নিকটবর্তী ব্যাঙ্কে গিয়ে।



কারও কাছে এই ২ হাজার টাকার নোট থাকলে, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তা জমা দিতে হবে নিকটবর্তী ব্যাঙ্কে গিয়ে। বলা হয়েছিল, ২০ হাজার টাকা মূল্যের ২ হাজার টাকার নোট ব্যাঙ্ক জমা দিতে গেলে কোনও রকম ফর্ম, স্লিপ বা পরিচয়পত্র লাগবে না। বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দিল স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। 



শুক্রবার সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে, বাজার থেকে সব ২০০০ টাকার নোট তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। তারপরই, টাকা জমা দিতে গেলে নানা নথি লাগবে বলে সোশাল মিডিয়ায় গুজব ছড়াতে থাকে। সাধারণ মানুষের মধ্যে তৈরি হয় বিভ্রান্তি। এই প্রেক্ষিতে দেশের সব থেকে বড় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক জানিয়ে দিল, ২০০০ টাকার নোট জমা দিতে গেলে কোনও ফর্ম বা নথি লাগবে বলে RBI বা কোনও ব্যাঙ্কের তরফে বলা হয়নি। কোনও নথি ও ফর্ম ছাড়াই ব্যাঙ্কে জমা দেওয়া যাবে ওই নোট। এক লপ্তে মোট দশটি ২০০০ টাকার নোট অর্থাৎ ২০ হাজার টাকা জমা দেওয়া যাবে কিংবা বদলানো যাবে বলে জানিয়েছে স্টেট ব্যাঙ্ক।


এই পরিস্থিতিতে পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের তরফে বলা হয়েছে, ২০০০ এর নোট বদলের ক্ষেত্রে কোনো আধার কার্ডের দরকার নেই, কোনও অফিসিয়াল ভেরিফাইড ডকুমেন্টস (OVD) এর প্রয়োজন নেই, কোনো ফর্ম পূরণ করার প্রয়োজন নেই। অনলাইনে বেশ কিছু পুরনো ফর্মের খবর ভাইরাল হচ্ছে, যার কোনও সত্যতাও নেই বলে জানান হয়েছে। 


২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর, হঠাৎ পুরনো ৫০০-র নোট ও ১ হাজার টাকার নোট বাতিল করে মোদি সরকার। তারপর নোটবন্দি নিয়ে গোটা দেশ জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। RBI-এর দাবি, সেই পরিস্থিতিতে দেশীয় বাজারে নোটের যোগান সামাল দেওয়ার জন্যই ২০১৬ সালের নভেম্বরে বাজারে ২ হাজার টাকার নোট এনেছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। 


বাজারে যত পরিমাণ ২ হাজার টাকার নোট রয়েছে, তার ৮৯ শতাংশ নোটই ২০১৭-র মার্চের আগে ছাপা হয়। কিন্তু নোটবন্দি করে আদৌ কি কোনও লাভ হয়েছে? কালো টাকার খেলা বন্ধ হয়েছে? নোটবন্দি করে কি কত কালো টাকা সরকারের ঘরে ফিরে এসেছে?


গত প্রায় ৭ বছর ধরে এই সব প্রশ্ন ঘিরে বিস্তর আলোচনা-বিতর্ক হয়েছে। এমনকি ২ হাজার টাকার নোট চালু ঘিরেও প্রশ্ন উঠেছে নানা মহলে। ২ হাজার টাকার নোট থাকলে, কালো টাকা জমাতে সুবিধা হবে, এমনটাও মনে করেছেন অনেকে।