উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, আশাবুল হোসেন, আশিস বাগচী, কলকাতা : কালিয়াগঞ্জ ও ময়নায় নিহত দুই বিজেপি (BJP) কর্মীর পরিবারের সদস্যদের নিজের কোটায় গ্রুপ ডি অ্যাটেনড্যান্ট পদে চাকরির ব্যবস্থা করে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। রাজ্য সরকার নিজের দায়িত্ব পালন করেনি, অভিযোগ বিরোধী দলনেতার। পাল্টা খোঁচা দিতে ছাড়েনি তৃণমূলও (TMC)।  


সম্প্রতি রাজ্যের দুই প্রান্তে দুই বিজেপি কর্মীর মৃত্যু ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় শুরু হয়েছিল। বনধ থেকে প্রতিবাদ মিছিল বাদ যায়নি কিছুই। কালিয়াগঞ্জ (Kaliagung) ও ময়নায় (Moyna) নিহত দুই পরিবারের দু'জন সদস্যের চাকরির ব্যবস্থা করলেন শুভেন্দু অধিকারী। 


এক নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ ঘিরে গত মাসে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur) কালিয়াগঞ্জ । সেই আবহে গত ২৬ এপ্রিল পুলিশের বিরুদ্ধে কালিয়াগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির বিজেপি সদস্য বিষ্ণু বর্মনের খুড়তুতো ভাই মৃত্যুঞ্জয় বর্মনকে গুলি করে খুনের অভিযোগ ওঠে। নিহত বছর ৩৩-এর মৃত্যুঞ্জয়ের স্ত্রী গৌরী বর্মনের চাকরির ব্যবস্থা করেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা। 


অন্যদিকে পয়লা মে পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipore) ময়নায় খুন হন বিজেপির বুথ সভাপতি বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়া। নিহতের ছেলে প্রশান্ত ভুইয়াও বিরোধী দলনেতার কোটায় গ্রুপ ডি অ্যাটেনডেন্ট পদে চাকরি পেলেন সোমবার।


যা নিয়েও অবশ্য একে অপরকে খোঁচা দিতে ছাড়েনি তৃণমূল ও বিজেপি। শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, 'এটা করা উচিত ছিল রাজ্য সরকারের। কিন্তু রাজ্য সরকার সেই দায়িত্ব পালন করল না। তাই আমাদের এই দায়িত্ব পালন করতে হল। তবে আমার খুব ভাল লাগছে'। পাল্টা তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেছেন, 'শুভেন্দুর রাজনৈতিক জীবন শুরু মমতার কাছে প্রশিক্ষণ নিয়ে। মমতা তো অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান, সেটা থেকে শিক্ষা নিয়ে এসব করছে'।


নিয়ম অনুযায়ী, বিধানসভার অধ্যক্ষ, রাজ্যের প্রত্যেক মন্ত্রী এবং বিরোধী দলনেতা নিজেদের কোটায় বছরে দু'জনকে গ্রুপ ডি অ্যাটেনডেন্ট পদে চাকরি দিতে পারেন।


আরও পড়ুন- বঙ্গে বৈধ-বাজি কী ? কোন কোন নিয়ম মেনে চলার কথা গাইডলাইনে ?


নিহত পরিবারের দুই সদস্যকে সেই পদেই নিয়োগ করা হয়েছে।                                 


আরও পড়ুন, আপনিও স্বাক্ষরের সময় এমন ভুল করেন, সাবধান, জেনে নিন সঠিক উপায়?