নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় রাসায়নিক ও সার প্রতিমন্ত্রী অনুপ্রিয়া পটেল মঙ্গলবার জানিয়েছেন যে সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন সংক্ষেপে সিডিএসও ভারতে সাধারণভাবে ব্যবহৃত প্যারাসিটামল ওষুধ নিষিদ্ধ করেনি। সংসদের বাদল অধিবেশনে এক উত্তরে অনুপ্রিয়া পটেল বলেন, ‘স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক জানিয়েছে সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন প্যারাসিটামল নিষিদ্ধ করেনি। এই প্রসঙ্গে গুজব সম্পর্কেও কোনও তথ্য পায়নি।’ দেশে প্যারাসিটামল নিষিদ্ধ নয় উল্লেখ করে অনুপ্রিয়া পটেল জানান দেশে বিভিন্ন ডোজের সংমিশ্রণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে যার মধ্যে অন্যান্য ওষুধের সঙ্গে প্যারাসিটামলও রয়েছে।
এছাড়াও কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী উল্লেখ করেছেন যে সরকার জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের অধীনে বিনামূল্যে ওষুধ পরিষেবা উদ্যোগ চালু করেছে। এর লক্ষ্য হল প্রয়োজনীয় ওষুধের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা এবং সরকারি হাসপাতাল ও গ্রামীণ প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র সহ জনস্বাস্থ্য সুযোগ-সুবিধেগুলিতে রোগীদের খরচ কমানো। সরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলিতে বিনামূল্যে প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহের জন্য রাজ্যগুলিকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।
ওষুধ সংগ্রহ, কেনা, গুণমান নিশ্চিতকরণ, সাপ্লাই চেন ব্যবস্থাপনা, গুদামজাতকরণ, প্রেসক্রিপশন অডিট আর অভিযোগ নিষ্পত্তির শক্তিশালী ব্যবস্থা আরও মজবুত করার মাধ্যমে মানসম্মত চিকিৎসা নির্দেশিকা প্রচার আর ড্রাগস ও ভ্যাকসিন ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম নামক তথ্য-প্রযুক্তি সম্বলিত প্ল্যাটফর্ম প্রতিষ্ঠার জন্য সহায়তা পাওয়া যায়। এই প্ল্যাটফর্ম প্রয়োজনীয় ওষুধ সংগ্রহের প্রকৃত অবস্থা, প্রাপ্যতা পর্যবেক্ষণের জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
পটেল বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সরকারি হাসপাতাল ও গ্রামীণ প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র সহ সরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলিতে সুবিধেভিত্তিক প্রয়োজনীয় ওষুধের তালিকা উপলব্ধ করার সুপারিশ করেছে। এর আগে জুলাই মাসে কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগ গুণমান যাচাইয়ের পরীক্ষায় ফেল করা ১৯০টি ওষুধের তালিকা প্রকাশ করেছিল। এই সব ওষুধের নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পরীক্ষার পর রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগ। কোথাও দেখা গিয়েছে ইঞ্জেকশনের ভায়ালে ভাসছে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া। আবার কিছু ওষুধ নামী সংস্থার ব্র্যান্ড নেম জাল করে বানানো। কোনও কোনও ওষুধ আবার পরিশোধিত জল দিয়ে বানানো হয়নি।
কয়েকদিন আগেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুপ্রিয়া পটেল জানান যে দেশজুড়ে ৩০ জুন ২০২৫ পর্যন্ত দেশজুড়ে ১৬,১১২টি জনৌষধি কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এই প্রকল্পের ফলে গত ১১ বছরে ব্র্যান্ডেড ওষুধের দামের তুলনায় নাগরিকদের প্রায় ৩৮ হাজার কোটি টাকার আনুমানিক সাশ্রয় হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুপ্রিয়া পটেল বলেন এই আউটলেটগুলিতে ২১১০টি ওষুধ, ৩১৫টি অস্ত্রোপচার ও চিকিৎসা পণ্য সরঞ্জাম পাওয়া যায় যা সমস্ত প্রধান চিকিৎসা গ্রুপের অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।