ITR Return Deadline: ৩১ জুলাই পেরিয়ে গিয়েছে সময়সীমা। এখনও যারা ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন জমা দিতে পারেননি এবার ভুগতে হবে তাদের। তবে এরপরও আছে উপায়। এবার ITR ফাইল করতে কী করতে হবে আপনাদের।


৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত জমা দেওয়া যাবে ITR
ITR ফাইলিংয়ের শেষ দিন ছিল ৩১ জলাই।  গতকাল সন্ধ্যে পর্যন্ত ৬.৫০ কোটিরও বেশি আয়কর রিটার্ন (ITR) দাখিল হয়েছে দেশে।LocalCircles-এর সাম্প্রতিক সমীক্ষায় গিয়েছে , মোট করদাতার প্রায় ১৪ শতাংশ শেষ তারিখ পর্যন্ত তাদের ITR জমা দেননি। আয়করের নিয়ম অনুসারে, এই ধরনের করদাতারা এখন লেট ফি ও সুদের জরিমানা সহ ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত লেট আইটিআর ফাইল করতে পারবেন। এছাড়াও, ট্যাক্স ছাড় দাবি করার পাশাপাশি লোকসানের টাকা পরবর্তী অর্থবর্ষের হিসেবে দেখানো যায় না।


Tax Return: এখন আইটিআর ফাইল করলে কত টাকা জরিমানা, লেট ফি কত ?
আপনি যদি ৩১ জুলাই আইটিআর ফাইলিংয়ের সময়সীমা মিস করেন, তাহলে আগামী ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত এই কাজ করতে পারবেন। তবে সেই ক্ষেত্রে দেরিতে জমার ফি ছাড়াও প্রতি মাসে করের উপর ১ শতাংশ জরিমানা বাবদ সুদ দিতে হবে। 


এই বিষয়ে Pasricha & Co-এর মানিত পাল সিং বলেছেন, “ যদি কোনও করদাতা নির্ধারিত তারিখের (৩১ জুলাই) মধ্যে ITR ফাইল করতে ব্যর্থ হন, তাহলে তিনি ২০২৩-২৪ সালের অ্যাসেসেমন্ট ইয়ার বা মূল্যায়ন বছরের জন্য ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত লেট ITR ফাইল করতে পারবেন। ধারা 234F-এর অধীনে ফি সহ ১০০০ (৫ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় আছে) এবং ৫০০০ টাকা (আয় ৫ লাখ টাকার বেশি)।"


তিনি আরও জানান, আয়কর আইন 1961-এর ধারা 234A, B এবং C-এর অধীনে সুদের জরিমানাও দেরিতে কর পরিশোধের জন্য ধার্য করা হবে।  যদি মূল্যায়নকারী NIL ITR দাখিল করে থাকেন তাহলে তিনি ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কোনও লেট ফি বা জরিমানা ছাড়াই এটি সংশোধন করতে পারবেন। দেরিতে ট্যাক্স পেমেন্টের জন্য সুদের হার প্রতি মাসে ১ শতাংশ রাখা হয়েছে।


আপনি যদি ৩১ জুলাই পর্যন্ত আপনার আইটিআর ফাইল করেন , তবে আপনি ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত কোনও লেট ফি ছাড়াই এটি সংশোধন করতে পারেন।


Income Tax Return: আপনি কি ৩১ জুলাইয়ের পরে আপনার আইটিআর ই-ভেরিফাই করতে পারেন?


আপনি যদি ৩১ জুলাই,২০২৩ পর্যন্ত আপনার আইটিআর জমা দিয়ে থাকেন, তাহলে কোনও জরিমানা ছাড়াই ৩০ দিনের মধ্যে এটি ই-ভেরিফাই করতে পারেন। সেই ক্ষেত্রে এই কাজে ব্যর্থ হলে এটি আপনার আয়কর রিটার্ন ফিরিয়ে দেবে না।


করদাতারা এখানে তাদের আইটিআর ই-ভেরিফাই করতে পারেন। এটি আধার ওটিপি, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, এটিএম, নেট ব্যাঙ্কিং এবং ডিম্যাট অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে করা যেতে পারে।