Jeep Wrangler Rubicon: জনপ্রিয়তার ক্ষেত্রে কম্পাস এগিয়ে থাকলেও জিপের সবথেকে আইকনিক কার র‍্যাংলার। ভারত ছাড়াও বিশ্বের বাজারে প্রতিষ্ঠিত ব্র্যান্ড এটি। দুবাইয়ে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে গাড়িটি কাস্টমাইজ করে ব্যবহার করে মালিকরা। টপ-এন্ড এই র‍্যাংলারের দাম ৬০ লক্ষ টাকা। আজ আমরা এর রুবিকন ভ্যারিয়েন্টের রিভিউ করব। 


Jeep Wrangler Rubicon Review: মূলত, অফরোডের কথা মাথায় রেখেই তৈরি করা হয়েছে এই গাড়ি। রুবিকনে দেওয়া হয়েছে বিশেষ অফ-রোড টায়ার। পাশাপাশি অফরোডারের বৈশিষ্ট্য ও চেহারা দেওয়া হয়েছে নতুন সংস্করণে। অফরোডের সঙ্গে জঙ্গলেও চলতে পারে এই গাড়ি। প্রথমে রাস্তায় ট্র্যাফিকের মধ্যে চালালে আশ্চর্যজনকভাবে আরামদায়ক পরফরম্যান্স দেয় এই কার। আমরা র‍্যাংলার রুবিকনের  8-স্পিড অটোমেটিক গিয়ারবক্স অপশন চালিয়েছি। যার হালকা স্টিয়ারিং ও দারুণ পাওয়ার ডেলিভারি আপনার ভাল লাগবেই। 


Jeep Wrangler Rubicon Review: একটা সময় আপনার মনে হবে, আপনি একটি ট্যাঙ্ক চালাচ্ছেন। ট্রাফিকে সবার নজর কাড়ে এই গাড়ি। অনেকেই মোবাইলে গাড়ির ছবি তুলে রাখে। গাড়ি চালানোর সময় আপনার মনে হবে, আপনি রাস্তা থেকে অনেক উঁচুতে বসে আছেন।যা আপনার মনে রাজার মতো একটা অনুভূতি দেবে। তবে সবকিছু এই গাড়িতে ভাল নয়। বাউন্সি রাইডের মান খুব একটা আরামদায়ক নয়। সঙ্গে টায়ারের আওয়াজ শোনা যায় রুবিকনে। তবে অসাধারণ গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্সের কারণে রাস্তার সব বাধা সহজেই অতিক্রম করে এই গাড়ি। 


Jeep Wrangler Rubicon Review: আমরা এই গাড়ির 2.0l টার্বো ইউনিট সহ একটি সিঙ্গল পেট্রল ইঞ্জিন চালিয়েছি। যা 268hp/400Nm টর্ক দিয়ে থাকে। একটা বিশাল গাড়ি হলেও র‍্যাংলার রাস্তায় পিছিয়ে পড়ে না। যখন খুশি গাড়িতে পিক আপ নিতে পারেন আপনি। কম গতিতে গাড়িতে কিছুটা ল্যাগ অনুভব হতে পারে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্র ভাল টর্ক তৈরি করার সাথে সাথে গিয়ার শিফট অনেক সহজ হয়ে যায়।আপনি কোনও সমস্যা ছাড়াই সারাদিন অনেক দূরত্ব পর্যন্ত চালাতে পারেন এই গাড়ি। তবে এর পেডেলের তল পেতে আপনাকে একটু অভ্যস্ত হতে হবে। ডেড পেডেল না থাকার কারণেই এটা হয়। একবার অভ্যেস হয়ে গেলে আর কোনও সমস্যা নেই।


Jeep Wrangler Rubicon Review: চামড়ায় ঢাকা ড্যাশবোর্ড ও আরামদায়ক আসনগুলি আপনাকে কেবিনে স্বস্তি দেবে। টাচস্ক্রিন যথেষ্ট বড় ও দুর্দান্ত প্রতিক্রিয়া দেয়। আপনি অ্যাপল কারপ্লে ও অ্যান্ড্রয়েড অটো, ডুয়াল জোন ক্লাইমেট কন্ট্রোল ছাড়া ও জিপের লোগো থাকছে কেবিনে। যা গাড়ির আভিজাত্য বাড়িয়ে দেয়।


Jeep Wrangler Rubicon Review: আপনি চাইলেই গাড়ির দরজা, ছাদও সরিয়ে ফেলতে পারেন। এর পাওয়ার উইন্ডোর সুইচ মাঝখানে দেওয়া হয়েছে। কংক্রিটের পাশাপাশি জঙ্গলেও রুবিকনের অভিজ্ঞতা রয়েছে আমাদের। যেখানে এর হার্ডকোর রক-ট্র্যাক 4x4 সিস্টেম দারুণ কাজে আসে। যার মধ্যে ডানা 44 সামনে ও পিছনের অ্যাক্সেল সহ 4:1 অনুপাতের "4LO"রয়েছে। এর অর্থ হল র‍্যাংলার রুবিকনে রয়েছে একটি কার্যকরী অফ-রোড ভিত্তিক 4x4 সিস্টেম। স্ট্যান্ডার্ড র‍্যাংলারের থেকে রুবিকন আরও বেশি অ্যাক্সেল আর্টিকুলেশন পায়। যার ফলে পাথরের উপর আরোহণের ক্ষমতা এই গাড়ির বেশি। এতে বৈদ্যুতিকভাবে গাড়ি বন্ধ করার সুবিধে রয়েছে। রুবিকনে বড় টায়ার সহ ছোট রিম রয়েছে। 17-ইঞ্চির BF Goodrich সব রাস্তায় চলার টায়ার দেওয়া হয়েছে গাড়িতে। 


Jeep Wrangler Rubicon Review: রুবিকন নিয়ে আমরা গর্ত, ময়লা পাথরের ওপর দিয়ে চালিয়েছি। আমরা এই গাড়ি চালিয়ে বেশ মজা পেয়েছি। তবে অফ রোডিংয়ের ক্ষেত্রে ভাল হলেও অনরোডে সেরকম ভাল নাও লাগতে পারে এই গাড়ি। আমাদের এই গাড়ির চেহারা, অফ-রোড পারফরম্যান্স, অভ্যন্তরীণ বৈশিষ্ট্য, পেট্রল ইঞ্জিন পছন্দ হয়েছে। তবে গাড়ির দক্ষতা, রাইডের মান কিছু ক্ষেত্রে আমাদের পছন্দ হয়নি।