নয়াদিল্লি: প্রয়াত সুশান্ত সিংহ রাজপুতের দিল বেচারা আর অমিতাভ বচ্চনের গুলাবো সিতাবো-কে নিয়ে এক অন্যরকম তথ্য সামনে এসেছে। নেলসন অ্যান্ড ব্রডকাস্ট অডিয়েন্স রিসার্চ কাউন্সিল (বিএআরসি)-র প্রধান সুনীল লুল্লা একটি সমীক্ষা রিপোর্ট পেশ করেছেন, তাতে দেখা যাচ্ছে, অ্যামাজন প্রাইম ভিডিওতে গুলাবো সিতাবো আর ডিজনি প্লাস হট স্টারে মুক্তি পাওয়া দিল বেচারা ৬ জুন থেকে ৩ জুলাই ও ১ জুলাই থেকে ২০ অগাস্ট পর্যন্ত সমানভাবে পছন্দ হয়েছে দর্শকদের।

মৃত্যুর আগে সুশান্ত সুপারস্টার ছিলেন না। কিন্তু মৃত্যুর পর দর্শকরা ভালবাসায় ভরিয়ে দিয়েছেন তাঁকে। সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, ভারতে ৩৩ শতাংশ দর্শক সপ্তাহে ৪ ঘণ্টা ১৭ মিনিট টিভি দেখেন। অর্থাৎ রোজ ৩৬ মিনিট করে। কিন্তু আনলকের তৃতীয় পর্যায়ে গড়ে ৩ জন প্রতিদিন স্মার্টফোনে ৩ ঘণ্টা ১৪ মিনিট করে সময় কাটিয়েছেন, টিভির তুলনায় ৫ গুণ বেশি।

অর্থাৎ বাজার ধরার লড়াই এখন পুরোদমে চলছে স্মার্টফোন আর টিভির মধ্যে। দর্শক দুটোই দেখছেন। স্মার্টফোনে শুধু ছবি নয়, হোয়াটসঅ্যাপ, টুইটার এসবও দেখছেন তাঁরা, করছেন নিয়মমাফিক ফোনও।
স্মার্টফোনে দিনে গড়ে ১৯৪ মিনিটের হিসেবে কীসে কতটা সময় কাটানো হচ্ছে, তারও হিসেব ধরা পড়েছে এই সমীক্ষায়। ফোন করা ও ধরার চিরাচরিত ব্যবহার মোট সময়ের মাত্র ১০ শতাংশ। চ্যাট ও ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রটোকলে আগে যা সময় বরাদ্দ ছিল তার থেকে ২০ শতাংশ বেড়েছে। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিংয়ে সময় যাচ্ছে ১০ শতাংশ। ব্রাউজিং, অফলাইন মিডিয়া, ই কমার্স, ট্রেডিং সংক্রান্ত সময় ১৫ শতাংশ। ইউটিলিটি ও ফোন ফিচার্সে ১৯ শতাংশ সময় দেওয়া হয়েছে। সব কিছুর পর স্মার্টফোনে ভিডিও স্ট্রিমিং ও গেমের জন্য বাঁচছে ২২ শতাংশ সময়। যা মিনিটের হিসেবে ৪০ মিনিট।

অর্থাৎ রোজ টিভিতে যতটা সময় দেওয়া হত সেই ৩৬ মিনিট থেকে ১০ শতাংশ সময় বেড়েছে। একটা ব্যাপার পরিষ্কার, নির্মাতারা দুধরনের স্ক্রিনে নিজেদের কন্টেন্ট বিক্রি করতে পারছেন না। তাই দর্শকদের ওপর নির্ভর করছে, তাঁরা টিভিতে সিরিয়াল, সিনেমা দেখবেন না অনলাইন স্ট্রিমিংয়ে। ওটিটি প্ল্যাটফর্মে অ্যামাজন প্রাইম এক দিকে বাজি মেরে দিয়েছে, তো ডিজনি প্লাস হটস্টারে আর এক দিকে। আর টেলিকম কোম্পানিগুলির মধ্যে সব থেকে এগিয়ে রয়েছে জিও আর এয়ারটেল। ২০২০-২১ অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে জিও ১৪.২ এক্সবাইটস ডেটা ব্যয় করেছে। অর্থাৎ খরচ হয়েছে ১,৪২০ কোটি জিবি, মাসে ৪,৭০০-৪,৮০০ কোটি জিবি। প্রায় ৩৯৮ মিলিয়ন অর্থাৎ ৩৯.৮ কোটি গ্রাহকের জন্য প্রতি মাসে প্রতি গ্রাহক পিছু ১২.১ জিবি ডেটা।

এয়ারটেলের হিসেবও মোটামুটি এক। ১৩৮ মিলিয়ন অর্থাৎ ১৩.৮ কোটি গ্রাহক, গ্রাহক পিছু ১৬.৩ জিবি খরচ করেছে তারা। অর্থাৎ প্রতিদিন ৭৪.০৯ পেটাবাইটস।