পীযূষ পাণ্ডে, মুম্বই : শেষ ত্রৈমাসিকে প্রতি ঘণ্টায় ৬.৩২ কোটি টাকা করে লাভ করেছে বাজার মূলধন অনুযায়ী দেশের সর্ববৃহৎ সংস্থা রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ। আর এর হাত ধরে সংস্থার অর্থ উপার্জনের গতি ত্বরান্বিত হয়েছে প্রায় ৬৭ শতাংশ।
জুনে শেষ হওয়া শেষ ত্রৈমাসিকে দৈনন্দিন ১৫১.৭১ কোটি টাকা করে লাভ করেছে RIL। গত বছরে যা ছিল ঘণ্টায় ৯১ কোটি টাকা। আয় বেড়েছে সংস্থার চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানিরও। সংস্থার ৪২ শতাংশ রয়েছে আম্বানির নিয়ন্ত্রণে। চলতি বছরের শুরু থেকে তাঁর আয় বেড়েছে ৬০৮ মিলিয়ন ডলার(ভারতীয় মুদ্রায় ৪৫১৯.৬ কোটি টাকা)। গড়ে বলতে গেলে ২.৮৬ মিলিয়ন ডলার(২১২.৬কোটি) বা ঘণ্টায় ৮.৮৫।
এই ত্রৈমাসিকে দৈনন্দিন ১৭৪৫.৭ কোটি টাকা আয়ের ভিত্তিতে লাভের হিসেব তুলে ধরা হয়েছে। যা ঘণ্টার হিসেবে দাঁড়ায় ৭২.৭৪ কোটি টাকা। । অর্থাৎ বৃদ্ধির পরিমাণ ৫৭.৪ শতাংশ।
এই সময়ের মধ্যে রিলায়েন্সের রফতানির হিসেব দাঁড়িয়েছে ৫৬,১৫৬ কোটি টাকা। গড় রফতানি দৈনন্দিন ৬১৭ কোটি এবং ঘণ্টায় ২৫.৭১।
ক্রেতাদের কাছে ব্যাপক চাহিদা জিও প্ল্যাটফর্ম ও রিলায়েন্স রিটেলের। যার মাধ্যমে সংস্থার দৈনন্দিন লাভ ঢোকে যথাক্রমে ৪০.১২ কোটি ও ১০.৫৭ কোটি টাকা। দৈনন্দিন লাভের অর্ধেকের বেশি উঠে আসে এই দুই প্ল্যাটফর্ম থেকে। ঘণ্টার হিসেবে ধরতে গেলে জিও থেকে লাভ উঠে আসে ১.৬৭ কোটি টাকা। অন্যদিকে রিলায়েন্স রিটেল তোলে ৪৪ লক্ষ টাকা লাভ।
অন্যদিকে জিও প্ল্যাটফর্ম থেকে সংস্থার রোজের আয় ২৪৪.৬৯ কোটি টাকা । রিটেল অপারেশন থেকে ভাঁড়ারে লক্ষ্মী ঢোকে ৪২৩.৫৯ কোটি। এছাড়া অয়েল টু কেমিক্যাল ব্যবসায় দৈনন্দিন উঠে আসে ১১৩৪.২ কোটি টাকা রোজগার।
প্রতি ঘণ্টায় জিওর আয় ১০.১৯ কোটি, রিটেলের ১৭.৬৪ কোটি এবং O2C ব্যবসায় ৪৭.২৫ কোটি। এর উপর আবার জুনের ত্রৈমাসিকে রিলায়েন্স জিও নতুন ১.৪ কোটি গ্রাহক টেনেছে। প্রতি মাসে গড় গ্রাহক ১.৫৭ লক্ষ এবং ঘণ্টায় ৬৫৪৭। ক্রেতারা দৈনন্দিন গড়ে জিও নেটওয়ার্কে প্রায় আধ ঘণ্টা করে কথা বলেন এবং ব্যবহার করেন ৫০০ এমবি ডেটা।