নয়াদিল্লি: জিনিসপত্রের দাম ক্রমশ বেড়েই চলেছে। এরমধ্যে ফের ধাক্কা খেতে পারেন সাধারণ মানুষ। সূত্রের খবর অনুসারে, রান্না গ্যাসের সিলিন্ডারের (LPG Price Hike) দাম ফের বাড়তে পারে সামনের সপ্তাহেই। ইতিমধ্যেই প্রায় প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ডিজেল ও পেট্রোলের দাম। এবার মরার ওপর খাঁড়ার ঘা-এর মতো আরও এক দফা দাম বাড়তে পারে রান্নার গ্যাসের। উল্লেখ্য, এদিন লিটারে ৩৬ পয়সা বেড়ে কলকাতা ডিজেলের নতুন দাম হল ১০০ টাকা ১৪ পয়সা। লিটারে ৩৩ পয়সা বেড়েছে পেট্রোলও। আজ কলকাতায় পেট্রোলের নতুন দাম ১০৮ টাকা ৭৮ পয়সা। কলকাতা-সহ রাজ্যের ২৩টির মধ্যে ২২টি জেলাতেই সেঞ্চুরি পার করেছে ডিজেল।জ্বালানির দাম বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে বাজারেও। পরিবহণ খরচ বেড়ে যাওয়ায় মাছ থেকে সব্জি, সবকিছুরই দাম বেড়েছে। পকেটে টান পড়ছে মধ্যবিত্তের। গতকালও দাম বেড়েছিল ডিজেল ও পেট্রোলের।
সূত্রের খবর, রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারের প্রকৃত যা দাম, তার তুলনায় কম দামে বিক্রি হওয়ায় সিলিন্ডার প্রতি লোকসান ১০০ টাকায় পৌঁছে গিয়েছে। এ কারণেই বাড়তে পারে রান্নার গ্যাসের দাম। সূত্রের খবর, রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের দাম কত বাড়বে তা সরকারের অনুমতির ওপর নির্ভর করছে। এর আগে গত ৬ অক্টোবর রান্নার গ্যাসের দাম সিলিন্ডার প্রতি ১৫ টাকা বেড়েছিল । জুলাই থেকে ১৪.২ কেজি রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের দাম ৯০ টাকা বেড়েছিল।
সূত্রের খবর, রাষ্ট্রায়ত্ত পেট্রোলিয়াম বিপনন কোম্পানিগুলিতে খুচরো বিক্রয় মূল্য প্রকৃত দাম অনুযায়ী করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। এ বাবদ যে ব্যবধান রয়েছে, তা মেটানোর ক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে কোনও ভর্তুকিও দেওয়া হয়নি। সূত্রের খবর অনুসারে, আন্তর্জাতিক বাজারে এলপিজি-র বিক্রয় মূল্য বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে প্রতি সিলিন্ডারে লোকসানের পরিমাণ ১০০ টাকায় পৌঁছেছে।
সৌদি আরবে এলপিজি-র দাম এই মাসে ৬০ শতাংশ বেড়ে প্রতি টনে ৮০০ ডলারে পৌঁছে গিয়েছে। অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক বেঞ্চ মার্ক ব্রেন্ট অপরিশোধিত তেলের দাম প্রতি ব্যারেলে বেড়ে হয়েছে ৮৫.৪২ ডলার। অন্য একটি সূত্রের খবর, এলপিজি এখনও নিয়ন্ত্রিত পণ্য। এমনিতে এর খুচরো মূল্য সরকার নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। কিন্তু এমনটা করলে পেট্রোলিয়াম কোম্পানিগুলির যে লোকসান হবে, তা পূরণ করতে হবে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে দিল্লি ও মুম্বইয়ে রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারের দাম ৮৯৯.৫০ টাকা। কলকাতায় এর দাম প্রতি সিলিন্ডারে ৯২৬ টাকা। প্রতিটি পরিবার ভর্তুকিতে রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার পেয়ে থাকে। বছরে ১২ টি সিলিন্ডার ভর্তুকি মূল্যে প্রতিটি পরিবারকে দেওয়া হয়।