ঠাকুরনগর: বিধানসভা উপনির্বাচনে জয়ী হয়েই তালা ভেঙে বড়মার ঘরে ঢুকলেন মধুপর্ণা ঠাকুর। ১৩ বছর পর বিধানসভা উপনির্বাচনে বাগদা দখল করল তৃণমূল। আর তার পরই বড়মার (Boro Maa) ঘর পুনর্দখল করলেন মধুপর্ণা। ঠাকুরবাড়ির সদস্যদের ভিন্ন রাজনৈতিক অবস্থানে পরিবারের অন্দরেও দেওয়াল তৈরি হয়। এ বছর এপ্রিল মাসেই বড়মার ঘর দখল করেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। শনিবার সেই ঘর পুনর্দখল করলেন মধুপর্ণা। (Madhuparna Thakur)


শনিবার বিধানসভা উপনির্বাচনে বাগদায় জয়ী হয়েছেন মধুপর্ণা। ফলাফল সামনে আসার কিছু ক্ষণ পরই ঠাকুরনগরের মতুয়াবাড়িতে বড়মা অর্থাৎ বীণাপানি দেবীর ঘরের তালা ভেঙে ফেলা হয়। মা মমতাবালা ঠাকুর এবং মতুয়াভক্তদের নিয়ে বড়মার ঘরে প্রবেশ করেন মধুপর্ণা।  এর আগে, গত ৭ এপ্রিল শান্তনু বড়মার ঘরে তালা ঝুলিয়ে ছিলেন। সেই নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়। উত্তেজনা তৈরি হয় মতুয়া ভক্তদের দুই পক্ষের মধ্যেই।


.বিষয়টি নিয়ে আদালতেরও দ্বারস্থ হন মমতাবালা। সেই আবহেই এদিন উপনির্বাচনে জয়ী হন মধুপর্ণা। এর পর আর অপেক্ষা করা হয়নি। বন্ধ ঘরের তালা ভেঙে ফেলা হয়। বড়মার ওই ঘরে ভক্তদের নিয়ে প্রবেশ করেন মমতাবালা। ওই ঘরে বসে থাকতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। বড়মার ঘরের তালা ভাঙা নিয়েও ঝামেলা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ভক্তদের অনেকে। 


আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: 'বিজেপি, এজেন্সি, চক্রান্ত...মানুষই রুখে দিচ্ছেন, জয়ের কৃতিত্বও মানুষেরই', বললেন মমতা


ঠাকুরবাড়ির দুই সদস্য, শান্তনু এবং মমতাবালার মধ্যে টানাপোড়েন চলছে গত কয়েক বছর ধরেই। ২০১৯ সালে শান্তনু বিজেপি-তে যোগ দিলে, সংঘাত আরও বাড়ে। লোকসভা নির্বাচনের আগে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে ঝামেলা অন্য মাত্রা পায়। সেই সময়ই এপ্রিল মাসে তুলকালাম বাধে। হাতুড়ি দিয়ে তালা ভেঙে, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ে শান্তনু ওই ঘরে ঢুকে পড়েন বলে অভিযোগ করেন মমতাবালা। পাল্টা শান্তনুর যুক্তি ছিল, তাঁর ঠাকুমা-ঠাকুরদার ঘর দখল করে রেখেছিলেন মমতাবালারা। সেই ঘরেই ঢুকেছেন তাঁরা। 


এর পর ওই ঘরে তালা ঝুলিয়ে দেন শান্তনু। সেই নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মমতাবালা। বিষয়টি পৌঁছয় আদালতেও।  মমতা জানান, গায়ের জোরে ঘর দখল করেছেন শান্তনু। বড়মা বেঁচে থাকাকালীন কেন শান্তনু ওই ঘরে আসেননি, প্রশ্ন তোলেন তিনি। যদিও শান্তনু জানান, তিনি ঘর দখল করেননি, তাঁর অধিকার বুঝে নিয়েছেন মাত্র।