নয়াদিল্লি: বিধানসভা উপনির্বাচনেও জয়ের ধারা অব্যাহত তৃণমূলের। রায়গঞ্জ, রানাঘাট দক্ষিণ, বাগদা এবং মানিকতলা-চারটি আসনেই জয়ী হয়েছে জোড়াফুল শিবির। সবুজ আবির উড়িয়ে রাজ্যে জয় উদাপন করছেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা। সেই আবহেই জয়ের জন্য বাংলার মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মানুষের জন্যই এই জয় সম্ভব হয়েছে বলে জানালেন। (Mamata Banerjee)


শনিবার বিধানসভা উপনির্বাচনেও তৃণমূল বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছে। ব্যবধানের নিরিখে বিরোধী দলগুলি কার্যতই ধারেকাছে নেই। সেই নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে এদিন বাংলার মানুষকে ধন্যবাদ জানান মমতা। তিনি বলেন, "চারটি আসনেই তৃণমূল জিতেছে। আগের বার বিজেপি-র জেতা তিনটি আসনেও জয়ী হয়েছে, নিজেদের একটি আসনও ধরে রেখেছি আমরা। এর জন্য বাংলার সমস্ত মানুষকে কৃতজ্ঞতা, সেলাম জানাই।" (West Bengal Assembly By Elections)


মমতা জানান, আজকের এই জয় মানুষের জয়। এই জয়ে আবারও সামাজিক দায়বদ্ধতা তৈরি হল তৃণমূলের বিজয়ী প্রার্থীদের। সমাজ সংস্কার, সমাজের জাগরণ, বাংলার অস্তিত্ব রক্ষা এবং বাংলায় বসবাসকারী মানুষের অস্তিত্ব রক্ষায় দায়বদ্ধতা তৈরি হল। শান্তি, সম্প্রীতি এবং সংহতি বজায় রেখেই কাজ করতে হবে সকলকে। 'নো আই ডি, নো ভোট'-এর জন্য যাঁরা প্রাণ দিয়েছিলেন, ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে তাঁদের এই জয় উৎসর্গ করা হবে বলেও জানান মমতা। 


আরও পড়ুন: West Bengal By Election Results: তৃণমূল-৪, বিজেপি-০, উপনির্বাচনে মতুয়াগড়ও হাতছাড়া পদ্মের, আরও শক্তি বাড়ল জোড়াফুলের


লোকসভা নির্বাচনে বিপুল সাফল্যের পর উপনির্বাচনের এই সাফল্য নিয়ে মমতার বক্তব্য, "অনেক চক্রান্ত সত্ত্বেও মানুষ ভোট দিয়েছেন। অনেক বাধা-বিপত্তি...একদিকে বিজেপি, অন্য দিকে এজেন্সি...মানুষই রুখে দিচ্ছেন। এই জয়ের কৃতিত্ব মানুষের। আমি এখনও বলব, আমরা রাজনৈতিক দল। সমাজসেবা করাই আমাদের কাজ। এর থেকে কেউ যদি বিচ্যুত হন, তাহলে তাঁকেই নিজেরটা বুঝে নিতে হবে। যত বেশি করে মানুষের কাছে পৌঁছনো যাবে, যত বেশি বিপদে পাশে দাঁড়ানো যাবে, তত বেশি ভালবাসবেন মানুষ। আরও ভাল কাজ করতে হবে আমাকে।"


বাংলার বাইরে গোটা দেশেও বিধানসভা উপনির্বাচনে বিজেপি-র ফল খারাপ হয়েছে। তুলনায় ভাল ফল করেছে বিরোধী শিবির I.N.D.I.A. সেই নিয়েও শরিকদের শুভেচ্ছা জানান মমতা। তাঁর দাবি, গোটা দেশেই পর্যুদস্ত হচ্ছে বিজেপি। দেশের হাওয়া বিজেপি-র বিরুদ্ধে। এদিন মুকুটমণি অধিকারী এবং মধুপর্ণা ঠাকুরকে আলাদা করে অভিনন্দন জানান মমতা। ঠাকুরবাড়ির সদস্যা, মমতাবালা ঠাকুরের কন্যা, তৃণমূলের কনিষ্ঠতম প্রার্থী মধুপর্ণা মতুয়াগড়ে বিজেপি-র বিরুদ্ধে ভাল লড়াই করেছেন বলে জানান।