Maharashtra FDA: বিদেশের পর এবার দেশেও  জনসনের পণ্য নিয়ে উঠল প্রশ্ন। বেবি পাওডারে মাত্রাতিরিক্ত পিএইচ ব্যালেন্স থাকায় বাতিল করা হল জনসন অ্যান্ড জনসন কোম্পানির বেবি পাওডারের লাইসেন্স। সম্প্রতি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে মহারাষ্ট্র ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন।  


Johnson & Johnson licence: কেন এই সিদ্ধান্তের পথে মহারাষ্ট্র ?
সাবধান ! আপনার শিশুর জন্য জনসনের পাওডার ব্যবহার করলে হতে পারে মারাত্মক ক্ষতি। কোম্পানির বেবি পাওডারের গুণমান নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় জনসন অ্যান্ড জনসন বেবি পাউডারের লাইসেন্স বাতিল করেছে  মহারাষ্ট্র এফডিএ। রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, শিশুদের ওই পাউডারে পিএইচ-এর মান বাধ্যতামূলক সীমার উপরে রয়েছে। মান যাচাইয়ের পর এই তথ্য় ইতিমধ্য়েই  প্রমাণিত হয়েছে। যার ফলস্বরূপ রাজ্যে পণ্যটির উত্পাদন ও বিক্রয় বন্ধ করে দিয়েছে রাজ্য সরকার।


Maharashtra FDA: সিদ্ধান্ত নিয়ে এই বলেছে রাজ্য
মহারাষ্ট্র এফডিএ সূত্রে খবর, ইতিমধ্য়েই কোম্পানির কাছে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেছে রাজ্য সরকার। কেন জনসন অ্য়ান্ড জনসনের লাইসেন্স বাতিল করা হবে না, তা ব্যাখ্যা করতে বলেছে কোম্পানি। যা নিয়ে উঠেছে বহু প্রশ্ন। জানা গিয়েছে, FDA জনসন অ্যান্ড জনসন বেবি পাউডারের দুটি নমুনা সংগ্রহ করেছে।  পুনে ও নাসিক থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে এই নমুনা। শিশুদের পাউডার নিয়ে পরীক্ষার পর বলা হয়েছে, এটি ত্বকের পিএইচ ব্যালেন্সের মান মেনে চলে না। যা ক্ষতি করবে শিশু ত্বকের। 


Johnson & Johnson licence: ত্রুটিপূর্ণ পণ্য বাজার থেকে ফিরিয়ে নিতে নির্দেশ
গত মাসেই বিশ্বব্যাপী ২০২৩ সালের মধ্য়ে ট্যালক-ভিত্তিক বেবি পাওডার বন্ধ করার কথা বলেছিল জনসন অ্যান্ড জনসন। কোম্পানির তরফে জানানো হয়েছিল, আগামী দিনে কর্নস্টার্চ-ভিত্তিক বেবি পাউডার তৈরির পথে হাঁটবে তারা। ইতিমধ্যেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় বিক্রি বন্ধ করেছে জনসন অ্য়ান্ড জনসন। মূলত, কোম্পানির প্রোডাক্ট নিয়ে মামলা ও চাহিদা হ্রাসের কারণে দু-বছর পর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানি। 


Baby Powder: আগামী বছর থেকে বদলে যাবে কোম্পানির বেবি পাউডারের উপকরণ। এবার থেকে ভুট্টার মাড় ব্যবহার করা হবে ফার্মা কোম্পানি জনসন অ্যান্ড জনসনের (Johnson And Johnson) বেবি পাউডারে (Baby Powder)। শীঘ্রই বাজারেও পাওয়া যাবে এই প্রোডাক্ট। মূলত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডায় এই পাউডার বিক্রি বন্ধ করার দু-বছর পর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই ফার্মা জায়ান্ট। যদিও একে কেবল ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত বলেছে কোম্পানি।


Johnson Powder: মহিলাদের সমস্যা থেকে এই সিদ্ধান্ত ?


ইতিমধ্যেই জনসন অ্যান্ড জনসনের বিরুদ্ধে ৩৮,০০০ মামলা করেছেন মহিলারা। তাঁদের অভিযোগ, জনসনের প্রোডাক্টে অ্যাসবেস্টস নামের ক্ষতিকারক উপকরণ রয়েছে। যে কারণে মহিলারা ডিম্বাশয়ের ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন। যদিও এই অভিযোগে আমল দিতে নারাজ কোম্পানি। জনসনের তরফে জানানো হয়েছে, কয়েক দশকের গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এই পণ্যগুলি ব্যবহার করা নিরাপদ।


আরও পড়ুন : Forbes Real Time Billionaires: বিশ্বের ধনীদের তালিকায় এবার দ্বিতীয় গৌতম আদানি, প্রথম স্থানে কে ?