নয়া দিল্লি: এবার সম্পূর্ণ ইলেকট্রিক গাড়ি আনার পরিকল্পনা করছে মারুতি-সুজুকি। সম্প্রতি এই নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। যাতে দাবি করা হয়েছে, ২০২৫ সালের মধ্যেই অল ইলেকট্রিক কার বাজারে আনছে কোম্পানি।


'নিকেই এশিয়ার' রিপোর্ট বলছে, এই অল ইলেকট্রিক কার আনছে মারুতির পেরেন্ট কোম্পানি সুজুকি। রিপোর্ট সত্যি হলে ভারতের বুকেই প্রথম এই গাড়ি আনতে চলেছে মারুতি-সুজুকি। পরবর্তীকালে ইউরোপ ও জাপানের বাজারে আনা হবে সেই ইলেকট্রিক কার। জাপানি মুদ্রায় এই গাড়ির দাম হতে পারে ১.৫ মিলিয়ন ইয়েন। যার ভারতীয় মুদ্রায় দাম হতে পারে ১০ লক্ষ টাকার ওপর।


দেশের বাজারে ওয়াগনার ইলেকট্রিক ভেহিক্যালের পুনরাবৃত্তি হবে ওই গাড়ির মাধ্যমে। ইতিমধ্যেই ওয়াগনার ইভির বেশকিছু ছবি বিভিন্ন অটো সাইটে দেখা গিয়েছে। তবে সুজুকির এই নতুন ইভিতে একেবারে অন্য ডিজাইন ল্যাঙ্গোয়েজ দেখা যাবে বলে খবর। টেক ব্লগারদের মতে, ইতিমধ্যেই গুজরাতে একটা ব্যাটারির কারখানা গড়তে চলেছে মারুতি। তোসিবা ও ডেনসোর সঙ্গে জুটি বেঁধে এই নতুন ব্যাটারি প্ল্যান্ট তৈরি করা হবে। 


এই প্ল্যান্ট মারুতির ইলেকট্রিক ভেহিক্যাল তৈরির ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করবে। এমনিতে ইলেকট্রিক গাড়ি তৈরি করতে ব্যাটারি মূল অস্ত্র। বর্তমানে ইলেট্রিক গাড়ির ব্যাটারি বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। যার প্রভাব পড়ে গাড়ির দামে। নিকেই-এর রিপোর্ট বলছে, গুজরাতের নতুন এই প্ল্যান্ট চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের মধ্যেই চালু হয়ে যাবে। এই প্ল্যান্ট থেকে ব্যাটারি সাপোর্ট পাওয়া গেলে দাম কম হতে পারে ইলেকট্রিক গাড়িগুলির। 


দেশের ইলেকট্রিক গাড়ির চিত্র বলছে, আগেই এই বাজারে প্রবেশের কথা বলেছিল মারুতি। পরবর্তীকালে নিজেই সেই ইচ্ছে থেকে পিছিয়ে আসে কোম্পানি। যথেষ্ট পরিকাঠামোর অভাবের জন্য মারুতির এই স্টেপ ব্যাক বলে মনে করছেন অটো এক্সপার্টরা। যদিও ভারতের বাজারে এখন ইলেকট্রিক ভেহিক্যালের চাহিদা বাড়ছে। তা ভাল করেই উপলব্ধি করেছে কোম্পানি। পাশাপাশি কার্বন নির্গমন কমাতে ইলেকট্রিক গাড়ির ওপর জোর দিচ্ছে সরকার। তাই নতুন করে এই উদ্যোগ নিয়েছে মারুতি।