নয়া দিল্লি: অচল নোট দিচ্ছে সচলের থেকেও ঢেড় বেশি দাম। পুরোনো এক টাকার নোট দিয়েই পাওয়া যাচ্ছে লাখ টাকা উপার্জনের সুযোগ। গুজব মনে হলেও এটাই বাস্তব।

Continues below advertisement

পুরোনো কয়েন বা নোট জমানোর শখ থাকলে ভাগ্য বদলাতে চলেছে আপনার। অচল টাকা ফেরাতে পারে আপনার আর্থিক অবস্থা। সম্প্রতি অনলাইনে বেড়েছে পুরোনো ভারতীয় মুদ্রার চাহিদা। সামান্য পুরোনো এক টাকা, ৫টাকা থেকে এক বা পাঁচ লক্ষ টাকা পেতে পারেন যে কেউ। তবে সব পুরোনো নোটের ক্ষেত্রে মিলবে না এই বিশাল অঙ্ক। সেই ক্ষেত্রে কিছু বিশেষত্ব থাকতে হবে নোটের।

স্পেশ্যাল সিরিজের নোট

Continues below advertisement

যদি আপনার কাছে ১,৫,১০,১০০,২০০,৫০০ ও ২০০০ টাকার পুরোনো নোট থাকে তাহলে অনলাইনে ভালো দাম পেতে পারেন এই নোটগুলির। সেই ক্ষেত্রে প্রতিটি পুরোনো নোটে থাকতে হবে ১২৩৪৫ বা ১২৩৪৫৬ সিরিয়াল নম্বর। এই অনন্য ও প্রাচীন নোটগুলির বাজার মূল্য প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা। একেবারে বিরল নোট হওয়ার কারণে এই নোটগুলি কিনতে প্রচুর টাকা খরচ করতে পারেন ক্রেতারা। অনলাইনে রয়েছে এই রেয়ার নোট কালেকশনের এক বিশেষ বাজার।

আরও একটা জনপ্রিয় নম্বরের সিরিজ

ঘরে বসেই কেবল ৭৮৬ নম্বরের পুরোনো নোট দিয়ে লাখপতি হতে পারেন যে কেউ। ১-৬ সিরিজের পর এই ৭৮৬ সিরিজের বেশ চাহিদা রয়েছে। অনলাইনে ০০০৭৮৬ নম্বরের একটা পুরোনো ১০০টাকার মূল্য উঠেছে ১৯০০টাকা। আগে এই ৭৮৬ সিরিজ নম্বরের পুরোনো নোট দিয়ে ৩ লক্ষ টাকাও উপার্জন করেছেন অনেকেই। 

পিছিয়ে নেই কয়েনও

ভারতীয় মুদ্রার ক্ষেত্রে মাতা বৈষ্ণোদেবীর ১০ টাকার কয়েনের চাহিদা প্রচুর। এই কয়েন বিক্রি করে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত পেতে পারেন আপনি। বর্তমানে পুরোনো এক টাকার নোট প্রায় দেখাই যায় না। এই বিরল নোট থেকে ৪৫,০০০ টাকা পর্যন্ত পাওয়া যায়। অর্থাৎ দুটো এক টাকার পুরোনো নোটের মালিক হলেই আপনি প্রায় লাখপতি।

অনলাইন বাজারের তথ্য বলছে, ব্রিটিশ আমলে ১৯৪৩ সালের ১০টাকার নোটের দাম উঠেছিল ২৫,০০০ টাকা। এই টাকাতেই স্বাক্ষর ছিল তৎকালীন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর সিডি দেশমুখের। রানি ভিক্টোরিয়ার মুখ বসানো কয়েনের দাম উঠেছিল দেড় লক্ষ টাকা। অনলাইন সাইট কুইকারে-এ পাওয়া যাচ্ছিল এই দাম। এই ধরনের পুরোনো নোট বা কয়েন থাকলে তা সহজেই বিক্রি করতে পারেন eBay, Quikr, CoinBazzar-এর মতো সাইটে। যার ফলে অচল টাকায় ফিরতে পারে আপনার ভবিষ্যৎ।