বার্লিন: ইকিউ লাইনআপে আরও এক সংযোজন। ফ্যামিলি ভ্যান মডেলে ইকিউটি কনসেপ্ট মডেল আনল মার্সিডিস বেঞ্জ। শোনা যাচ্ছে, আগামী ২০২২ সালেই এই কনসেপ্টের প্রোডাকশন মডেল আনবে জার্মান কার ম্যানুফ্যাকচারার।


রেনোর সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে শুরু হচ্ছে নতুন কাজ। কোম্পানির ইলেকট্রিক ফ্যামিলি ভ্যান তৈরিতে এবার ফ্রান্সের কোম্পানি রেনোর সাহায্য নেবে মার্সিডিজ। মূলত, সেভেন সিটার আনতে চলেছে বিলাসবহুল গাড়ি প্রস্তুতকারক কোম্পানি।


ডিজাইন ল্যাঙ্গোয়েজ


এক ঝলকে দেখেই বোঝা যাবে মার্সিডিসের ইকিউ ফ্যামিলি কার সেগমেন্টে এই গাড়ি নবতম সংযোজন। গাড়ির ব্যালান্স ও রোড প্রেজেন্স সবার থেকে আলাদা। ফ্রন্ট গ্রিলের জায়গায় এখানে রয়েছে কালো রঙের প্যানেল। যার পাশে ঝকঝকে এলইডি হেডলাইটস। গাড়ির টল লুকের জন্য দেওয়া হয়েছে ২১ ইঞ্চির অ্যালোয় হুইল। সামনের ও পিছনের হেডলাইটকে জুড়ে দেবে একটা লাইটের স্ট্রিপ। যা মডেলে অন্য মাত্রা জুড়েছে। সারা গাড়িজুড়ে চকচকে কালো রং দেওয়া হয়েছে। ই-ভেহিক্যাল বুঝতে সমস্যা হবে না কারও।


নজরকাড়া অন্দরসজ্জা


ফ্যামিলি কার হওয়ার কারণে মিডল রো ও থার্ড রো একটা বড় ফ্যাক্টর। যেখানে গাড়ির ভিতরের রং অন্ধকার বা আলো খেলার অন্যতম কারণ। গাড়ির ভিতরে কালো-সাদা রঙের প্রতিফলন দেখা যাবে এবার। যার জেরে কেভিন স্পেস অনেকটাই বেশি মনে হচ্ছে। এয়ার ভেন্টসের ক্ষেত্রে গ্লসি ব্ল্যাক ব্যবহার করা হয়েছে। গাড়িতে দেওয়া হয়েছে প্যানোরামিক সানরুফ। মাল্টি ফাংশন স্টিয়ারিং হুইলে টাচ কন্ট্রোল রয়েছে গাড়িতে। 


এমবিইউএক্স ইনফোটেইনমেন্ট সিস্টেম


স্টিয়ারিং হুইল থেকেই এই ইনফোটেইনমেন্ট বটন কন্ট্রোল করা যাবে। প্রয়োজনে 'হে মার্সিডিজ' ডাকেই সাড়া দেবে সিস্টেম। সেখান থেকে নিজের মতো বাড়ানো কমানো যাবে অডিও। চেঞ্জ করা যাবে গান। বা দেওয়া যাবে ভয়েস কমান্ড। আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স থাকায় সহজেই যাত্রী বা চালকের কথা শুনবে ইনফোটেইনমেন্ট। 


অভাব নেই জায়গার


বসার জায়গা ছাড়াও মালপত্রের জন্য যথেষ্ট জায়গা রয়েছে গাড়িতে। গাড়ির পিছনের সারিতে তিনজন শিশু অনায়াসে বসতে পারবে। আপরাইট টেইল গেট থাকার ফলে সহজেই জিনিস রাখা যাবে বুট স্পেসে। প্রয়োজনে থার্ড রো গুটিয়ে রেখে আরও বুট স্পেস বাড়ানো যেতে পারে। কোম্পানি দাবি করছে, একবার চার্জ দিলে ২৬৫ কিলোমিটার রেঞ্জ কভার করতে পারবে এই গাড়ি।