নয়াদিল্লি: ভারতে তাদের নয়া প্রধানের নাম ঘোষণা করল ফেসবুক (Facebook)-এর মূল সংস্থা মেটা (Meta)। এখন ভারতে মেটার (Meta) প্রধান সন্ধ্যা দেবনাথন (Sandhya Devanathan)। তিনি মেটা ইন্ডিয়া (Meta India)-র ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োজিত হয়েছেন।
কোন দায়িত্বে?
এখন থেকে ভারতে ফেসবুকের ব্যবসা দেখবেন সন্ধ্যা। পাশাপাশি ভারতের প্রথম সারির সংস্থা, ব্র্যান্ড, বিজ্ঞাপনদাতা এবং কনটেন্ট ক্রিয়েটারদের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক তৈরির মাধ্যমে মেটার আয় বৃদ্ধির বিষয়টিও দেখবেন তিনি। ২০২৩ সালের পয়লা জানুয়ারি থেকে নতুন এই দায়িত্বভার নেবেন তিনি। মেটার এশিয়া প্যাসিফিক রিজিয়নের (APAC)- ভাইস প্রেসিডেন্ট ড্যান নিয়েরি (Dan Neary)-এর কাছে রিপোর্ট করবেন তিনি। সম্প্রতি অজিত মোহন পদত্যাগ করার পরে তাঁর জায়গায় আনা হয় সন্ধ্যা দেবনাথনকে।
আগেও সামলেছেন দায়িত্ব:
সন্ধ্যা দেবনাথন ২০১৬ সালে মেটায় যোগ দেন। সিঙ্গাপুর ও ভিয়েতনামে সংস্থার ব্যবসার কাজ দেখভাল করতেন তিনি। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় মেটার ই-কমার্স সংক্রান্ত কাজকর্মও দেখভাল করতেন তিনি। ২০২০ সালে তিনি ইন্দোনেশিয়া যান। সেখানে এশিয়া প্যাসিফিক-এলাকায় গেমিং-টিম কে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য। এটি মেটার অন্যতম বড় ব্যবসা।
আগেও নানা সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ পদে:
সন্ধ্যা দেবনাথন-এর লিঙ্কডিন প্রোফাইল (Linkedin Profice) থেকে জানা যাচ্ছে। মেটার আগেও দীর্ঘদিন ধরে একাধিক বহুজাতিক সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে কাজ করেছেন তিনি। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাঙ্কে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন উচ্চপদে থেকে কাজ সামলেছেন। তার আগে সিটি ব্যাঙ্কে প্রায় দশ বছর ধরে বিভিন্ন দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। লিঙ্কডিন প্রোফাইল থেকে জানা গিয়েছে। কাজের জন্য একাধিক পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি। UN-এর একটি প্রজেক্টেও কাজ করেছেন সন্ধ্যা দেবনাথন Sandhya Devanathan)।
মেটার চিফ বিজনেস অফিসার মারনে লেভাইন (Marne Levine) বলেছেন, 'ভারতে আমাদের নতুন নেতা হিসেবে সন্ধ্যাকে স্বাগত জানাচ্ছি। ব্যবসাকে আরও বাড়িয়ে নেওয়ার বিষয়ে সন্ধ্যা আগেই দক্ষতা দেখিয়েছে।'
মেটার অধীনেই রয়েছে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইন্সটাগ্রামের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। সম্প্রতি ভারতে হোয়াটসঅ্যাপ-এর প্রধান অভিজিৎ বসু এবং ভারতে মেটার পাবলিক পলিসি ডিরেক্টর রাজীব আগরওয়াল পদত্যাগ করেছেন। টুইটারের মতো মেটাতেও সম্প্রতি ছাঁটাইপর্ব ঘটেছে।
সন্ধ্যা দেবনাথন এই পদে এমন সময় এলেন যখন ভারতে নানা কারণে প্রশ্নের মুখে পড়েছে ফেসবুক। ভুল খবর এবং ঘৃণা ছড়ানো রুখতে ফেসবুক কিছু করছে না বলেও অভিযোগ উঠছে বারবার।
আরও পড়ুন: হোয়াটসঅ্যাপে চালু 'পোল' ফিচার, অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস ভার্সানে পাওয়া যাবে সুবিধা