Fake Notes in India: ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে ভারতে প্রায় ২ লক্ষ ১৭ হাজার জাল নোট (Fake Notes in India) উদ্ধার করা হয়েছে। আর এক বছর আগেই এই জাল নোটের সংখ্যা ছিল বাজারে ২ লক্ষ ২৩ হাজারটি। সোমবার সংসদে এই তথ্য জানিয়েছে কেন্দ্র। সংসদে এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরী বলেন যে সর্বাধিক ৫০০ টাকার নতুন সিরিজের জাল নোট (Fake Notes) বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ১ লক্ষ ১৭ হাজার ৭২২টি, এর পরে ১০০ টাকার জাল নোট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৫১ হাজার ৬৯টি আর ২০০ টাকার মোট ৩২ হাজার ৬৬০টি জাল নোট উদ্ধার করা হয়েছে।

Continues below advertisement

পঙ্কজ চৌধুরী বলেন যে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পরামর্শে ভারত সরকার সময়ে সময়ে ব্যাঙ্ক নোটের সুরক্ষা বৈশিষ্ট্যগুলির কার্যকারিতা পর্যালোচনা করে। এছাড়াও ১৯৩৪ সালের রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া আইনের ২৫ নং ধারার অধীনে নতুন সুরক্ষা ফিচার্সগুলির বাস্তুবায়নের জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

সরকার জাল নোটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে

Continues below advertisement

সরকারের তরফে এই জাল নোটের (Fake Notes in India) বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হচ্ছে। অন্য এক প্রশ্নের উত্তরে পঙ্কজ চৌধুরী বলেন যে বেসরকারি কর্পোরেট বিনিয়োগের তথ্য ব্যাঙ্ক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে সংগ্রহ করা হয়, এবং এক জায়গায় সংকলিত করা হয়। ২০২৪ সালের অগাস্ট মাসে প্রকাশিত সর্বশেষ আরবিআইয়ের বুলেটিন অনুসারে ব্যাঙ্ক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক অনুমোদিত প্রকল্পের সংখ্যা ২০২১-২২ সালের ৪০১ থেকে বেড়ে ২০২৩-২৪ সালে হয়েছে ৯৪৪টিতে। এই সময়ের মধ্যে অনুমোদিত প্রকল্পগুলির ব্যয়ও  ১.৪ লক্ষ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ৩.৯ লক্ষ কোটি টাকা হয়েছে।   

এই বছর মে মাসেই রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে দেশের জাল নোট নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছিল। এই রিপোর্ট অনুসারে ৫০০ টাকার জাল নোটের (Fake Notes in India) পরিমাণ ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে ৩৭ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের রিপোর্ট অনুসারে ১.১৮ লক্ষ ৫০০ টাকার জাল নোট উদ্ধার করেছে যার মোট মূল্য দাঁড়ায় ৫.৮৮ কোটি টাকা। এর আগে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে দেশে উদ্ধার হয়েছিল ৮৫,৭১১টি ৫০০ টাকার জাল নোট যার মোট মূল্য ছিল ৪.২৮ কোটি টাকা।

২০২৪-২৫ অর্থবর্ষ চলাকালীন ১০ টাকা, ২০ টাকা, ৫০ টাকা এবং ১০০ টাকার নোটেও জাল নমুনার হদিশ মিলেছে। এই নোটগুলির যথাক্রমে ৩২.৩ শতাংশ, ১৪ শতাংশ, ২১.৮ শতাংশ এবং ২৩ শতাংশ হারে জাল নোটের পরিমাণ বেড়েছে।