নয়া দিল্লি: 'নিরাপদ' মিউচুয়াল ফান্ডের বিনিয়োগেও ক্ষতির মুখ দেখতে পারেন আপনি। সাধারণ ধারণা না থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে আপনার বিনিয়োগ। তবে কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম মানলেই আসবে ভাল রিটার্ন।


মিউচুয়াল ফান্ডের প্রকারভেদ


মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে দীর্ঘ দিনের পরিকল্পনায় যান গ্রাহকরা।মূলত, ৫ থেকে ১০ বছর বিনিয়োগ করে ১৫ শতাংশ সুদ আশা করেন তাঁরা। এই ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীর টাকা বিভিন্ন স্টকে লাগান ফান্ড ম্যানেজার। যার বিনিময়ে কমিশন আসে তাঁর ঘরে। HDFC Mutual Fund, SBI Mutual Fund, Aditya Birla Mutual Fund হল এই ধরনের অ্যাসেট 
ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি। 


আসলে বাজারে তিন ধরনের মিউচুয়াল ফান্ড রয়েছে। ইকুইটি, ডেব্ট, হাইব্রিড। বাজারে ঝুঁকি নিতে চাইলে তার জন্য ইকুইটি মিউচুয়াল ফান্ড আদর্শ। কম ঝুঁকি নিয়ে ভাল রিটার্ন পেতে চাইলে ডেব্ট মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করা উচিত গ্রাহকের। ঝুঁকি ও লাভের অঙ্ক মাঝারি চাইলে সেক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীর আদর্শ মিউচুয়াল ফান্ড হাইব্রিড।


এখানেই শেষ নয়। বিভিন্ন ক্ষেত্রে ছড়িয়ে রয়েছে মিউচুয়াল ফান্ড। প্রযুক্তি, ব্যাঙ্কিং, কৃষি ছাড়াও FMCG সেক্টরে আলাদা আলাদা মিউচুয়াল ফান্ড রয়েছে। তাই বিনিয়োগের আগে ভবিষ্যতের কথা ভেবেই ফান্ড বাছা উচিত গ্রাহকের। এর মধ্যে কিছু কর সাশ্রয়ী মিউচুয়াল ফান্ডও রয়েছে। কেউ কর বাঁচাতে চাইলে এই ধরনের ফান্ডে বিনিয়োগ করতে পারেন। সেক্ষেত্রে ৮০সি -তে রয়েছে কর ছাড়ের সুযোগ। তবে ৩ বছরের মেয়াদ পুরো করলেই এই ছাড় পাওয়া যাবে।


কীভাবে বিনিয়োগ করবেন ?


কেউ চাইলে সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান বা (SIP)করতে পারেন। অন্যথায় বড় অঙ্কের থোক টাকাও একসঙ্গে বিনিয়োগ করতে পারেন ইনভেস্টার। তবে মার্কেটে ধস নামলেই একসঙ্গে বড় অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করাটা শ্রেয়। না হলে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট টাকার SIP করা উচিত।


বিনিয়োগের পদ্ধতি কী ?


কেউ মিউচুয়াল ফান্ডে টাকা রাখতে চাইলে তাঁকে প্রথমে কেওয়াইসি ডকুমেন্ট ঠিক করতে হবে। পরে আধার কার্ড, প্যান কার্ড, বাতিল চেক মিউচুয়াল ফান্ড কোম্পানির কাছে জমা দিতে হবে। কোম্পানির কোনও স্টাফ এই নথি আপনার থেকে সংগ্রহ করবেন। অথবা অনলাইনে বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করতে পারেন আপনি।


কত টাকা লাভ করতে পারেন আপনি ?


অন্যান্য প্রচলিত বিনিয়োগের থেকে অনেক বেশি মুনাফা দেখা যায় মিউচুয়াল ফান্ডে। মাঝারি ঝুঁকিতেই ভাল রিটার্ন পাওয়া যায়। যে কোনও সময় টাকা রাখতে বা তুলে নিতে পারেন বিনিয়োগকারী। তবে মার্কেট ওঠানামা করায় সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ ঝুঁকি রয়েছে। প্রতি বছর ১৫ শতাংশ রিটার্ন পাওয়া যায় না। তবে পাঁচ বছরের গড় লাভ ১৩-১৫ শতাংশ হয়।