NPS Vatsalya Scheme: এখনকার দিনে সন্তানের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করার জন্য বাবা-মায়েরা খুবই চিন্তায় থাকেন। আর এই পরিসরেই কেন্দ্র সরকার নিয়ে এসেছে এমন এক স্কিম যা সন্তানদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে সহায়তা করবে। এই স্কিমে (NPS Investment) মাসে ৮৩৪ টাকা করে জমালেই আপনার সন্তান তাঁর ৬০ বছর বয়সে (NPS Vatsalya) পেয়ে যাবে ১১ কোটি টাকা। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কেন্দ্র সরকার নিয়ে এসেছিল এই এনপিএস বাৎসল্য স্কিম।

এই স্কিমের অধীনে বাবা-মা তাঁর সন্তানের নামে প্রতি মাসে বিনিয়োগ করতে পারেন মাত্র ৮৩৪ টাকা অর্থাৎ বছরে ১০ হাজার টাকা। আর যদি এই বিনিয়োগ চালানো হয় সন্তানের ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত তাহলে এই ফান্ডের মোট মূল্য হবে ১১ কোটি টাকা। কম্পাউন্ডিং-এর আশ্চর্য ক্ষমতায় বছরে মাত্র ১১ হাজার টাকা জমিয়েই ১১ কোটি টাকা পেতে পারেন আপনার সন্তান। এনপিএসের অ্যাগ্রেসিভ ইনভেস্টমেন্ট বিকল্পের মাধ্যমে বার্ষিক ১২.৮৬ শতাংশ হারে রিটার্ন এসেছে ধরে নেওয়া যেতে পারে এই ক্ষেত্রে।

মূলত ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেমের একটি বর্ধিত স্কিম হল এই এনপিএস বাৎসল্য। যে সমস্ত ব্যক্তিদের ১৮ বছর কম বয়সী সন্তান রয়েছে, তাদের জন্য এই স্কিম উপলব্ধ্য থাকবে। কেবলমাত্র সেই শিশুর নামে বা আপনার সন্তানের নামে প্যান কার্ড থাকতে হবে আর থাকতে হবে আধার জরুরি নথি হিসেবে। সন্তানের বয়স ১৮ হয়ে গেলে বাৎসল্য অ্যাকাউন্ট স্বয়ংক্রিয়ভাবেই এনপিএস টায়ার ১ অ্যাকাউন্টে বদলে যাবে। আর এর মাধ্যমেই নিয়মিত পেনশন কাঠামো শুরু হয়ে যাবে।

এই স্কিমে ন্যূনতম ১ হাজার টাকা থেকে বিনিয়োগ শুরু করা যায়। তবে এক্ষেত্রে বিনিয়োগের কোনও সর্বোচ্চ সীমা নেই। আপনার পছন্দ মত বিনিয়োগের মাধ্যম বা প্রক্রিয়া ঝুঁকি অনুযায়ী ঠিক করে নেওয়া যায়।

অ্যাগ্রেসিভ – ৭৫ শতাংশ ইকুইটিতে, উচ্চ ঝুঁকি, বেশি রিটার্ন

মডারেট – ৫০ শতাংশ ইকুইটিতে, ভারসাম্যযুক্ত ঝুঁকি ও রিটার্ন

কনজারভেটিভ – ২৫ শতাংশ ইকুইটিতে, কম ঝুঁকি, যথাযথ স্থিতিশীল রিটার্ন

মাসে ৮৩৪ টাকা করে জমালে অ্যাগ্রেসিভ মোডে ১২.৮৬ শতাংশ সুদের হারে ৬০ বছর বয়সে পাবেন ১১ কোটি টাকা।

মডারেট মোডে ১১.৫৯ শতাংশ হারে ৬০ বছর বয়সে পাবেন ৫.৯৭ কোটি টাকা।

কনজারভেটিভ মোডে ১০ শতাংশ হারে ৬০ বছর বয়সে পাবেন ২.৭৫ কোটি টাকা।

সন্তানের ১৮ বছর হলে জমা করা টাকার অঙ্ক যদি ২.৫ লাখের বেশি হয়, তাহলে এর ৮০ শতাংশ থাকতে হবে অ্যানুইটি প্ল্যানে এবং ২০ শতাংশ একবারে তুলে নেওয়া যেতে পারে। আর এই ফান্ডের মূল্য ২.৫ লাখের কম হলে পুরো টাকাটাই একবার তুলে নেওয়া যেতে পারে।