Baba Ramdev: সাধারণ চিকিৎসা ব্যবস্থার পাশপাশি মানুষ এখন আয়ুর্বেদ চিকিৎসার ওপর ভরসা রাখেছে। যে কারণে দেশে প্রয়োজন এই ধরনের প্রচুর চিকিৎসক। আজকের দ্রুতগতির জীবনে মানুষ কেবল রোগের চিকিৎসাই খুঁজছে না, বরং তাদের সমগ্র জীবনকে সুস্থ ও ভারসাম্যপূর্ণ রাখার উপায়ও খুঁজছে। এই ক্ষেত্রে পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ কলেজ আয়ুর্বেদিক শিক্ষাকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে। অন্তত তেমনই দাবি করছে সংস্থা। 

কোথায় আলাদা পতঞ্জলির কলেজপতঞ্জলির দাবি, সংস্থার এই কলেজ কেবল প্রাচীন ভারতীয় জ্ঞানের ভান্ডার নয়, বরং আধুনিক বিজ্ঞানের সঙ্গে যুক্ত হয়ে সামগ্রিক শিক্ষার নেতৃত্ব দিচ্ছে। ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান উত্তরাখণ্ড আয়ুর্বেদ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে অনুমোদিত ও National Commission for Indian System of Medicine (NCISM) দ্বারা স্বীকৃত। এখানে, শিক্ষা কেবল বইয়ের মতো নয়, বরং জীবনের একটি অংশ হয়ে ওঠে।

কী দাবি করেছে কর্তৃপক্ষসংস্থা দাবি, “এই আয়ুর্বেদ কলেজের বিশেষত্ব হল, এর সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি। এখানে BAMS (আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা ও সার্জারি স্নাতক) থেকে MD/MS পর্যন্ত ডিগ্রি কোর্স পড়ানো হয়। কিন্তু শিক্ষার ভিত্তি চারটি স্তরের উপর দাঁড়িয়ে আছে – অধ্যাতি (বিষয় শেখা), বোধ (অর্থ বোঝা), আচরণ (নিজে-অনুশীলন) ও প্রচারণ (অন্যদের শেখানো)।

পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ হাসপাতালে শিক্ষার্থীরা কেবল তত্ত্ব অধ্যয়ন করে না, বরং ব্যবহারিক প্রশিক্ষণও পায়, সংস্থা এখন বিশ্বের বৃহত্তম ওপিডি পরিচালনা করে। এই হাসপাতাল শিক্ষার্থীদের প্রকৃত রোগীদের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ দেয়, তাদের দৈনন্দিন জীবনে আয়ুর্বেদিক নীতি প্রয়োগ করতে সহায়তা করে।”

কলেজ ক্যাম্পাস হরিদ্বারের পবিত্র উপত্যকা জুড়ে বিস্তৃতসংস্থার তরফে জানানো হয়েছে , “কলেজ ক্যাম্পাস হরিদ্বারের পবিত্র উপত্যকা জুড়ে বিস্তৃত, যা একটি শান্ত ও প্রাকৃতিক পরিবেশ প্রদান করে। এখানে আধুনিক পরীক্ষাগার, ডিজিটাল শ্রেণীকক্ষ, একটি যোগ কেন্দ্র এবং একটি ভেষজ উদ্যান রয়েছে।

শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন যোগব্যায়াম, ধ্যান অনুশীলন করে ও আয়ুর্বেদিক খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ করে। যা তাদের শারীরিক, মানসিক ও আধ্যাত্মিক বিকাশ বৃদ্ধি করে। পতঞ্জলি রিসার্চ ফাউন্ডেশনের সঙ্গে এর সহযোগিতায় শিক্ষার্থীরা প্লান্ট ট্যাক্সোনমি , এথনোবটানি ও ওষুধের গবেষণায়ও প্রশিক্ষণ লাভ করে। এটি এক মাসের ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং পরিচালনা করে যা শিক্ষার্থীদের শিল্পের সঙ্গে পরিচিত করে তোলে।”

যোগগুরু রামদেবের দৃষ্টিভঙ্গিএই কলেজে আসার কারণ নিয়ে সংস্থা বলেছে, “ এখানে আসার সবচেয়ে বড় কারণ হল এর গুরুকুল প্যাটার্ন, যা বৈদিক ঐতিহ্যকে আধুনিক আইটি শিক্ষার সঙ্গে জুড়ে দেয়। স্বামী রামদেবের দৃষ্টিভঙ্গি হল, একটি রোগমুক্ত বিশ্ব তৈরি করা। এখানে পড়াশোনা করা শিক্ষার্থীরা কেবল চিকিৎসকই নয়, সমাজ সংস্কারকও হয়ে ওঠে।

প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা আয়ুর্বেদিক ক্লিনিক, গবেষণা কেন্দ্র ও পতঞ্জলির নিজস্ব কেন্দ্রগুলিতে নেতৃত্বের ভূমিকা পালন করছে। ফিও সাশ্রয়ী মূল্যের - BAMS-এর জন্য বার্ষিক প্রায় 50,000 থেকে 60,000 টাকা। ভর্তি NEET-এর উপর ভিত্তি করে করা হয়, মেধার ক্ষেত্রে সমঝোতা করা হয় না ।”

শিক্ষা যা আত্মনির্ভরশীল করে তোলেপতঞ্জলি সংস্থার দাবি, “এখানকার শিক্ষা শিক্ষার্থীদের আত্মনির্ভরশীল করে তোলে। এখানে শেখানো হয়, আয়ুর্বেদ কেবল চিকিৎসা নয় বরং একটি জীবনধারা। যোগব্যায়াম ও আয়ুর্বেদের সমন্বয় শিক্ষার্থীদের চাপমুক্ত ও উজ্জীবিত রাখে।

যখন বিশ্ব সামগ্রিক স্বাস্থ্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন পতঞ্জলি এই ক্ষেত্রে ভারতের মুখ হয়ে উঠেছে। ভবিষ্যতে, এটি বিশ্বব্যাপী আরও প্রসারিত হবে যাতে সবাই আয়ুর্বেদ থেকে উপকৃত হতে পারে। আপনি যদি স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে ক্যারিয়ার গড়তে চান, তাহলে পতঞ্জলি একটি চমৎকার বিকল্প। এটি কেবল শিক্ষা নয়, এটি জীবনের একটি রূপান্তর।”