Yog Guru Ramdev News: পতঞ্জলি জুস পার্কের কাজ শুরু হতেই চাষিরা পেল সুখবর। এবার থেকে কেজি প্রতি ছোট কমলায় ২২ টাকা পাবেন কৃষকরা। সম্প্রতি যোগ গুরু রামদেবের পতঞ্জলি মেগা ফুড অ্যান্ড হারবাল পার্ক নাগপুরের মিহান (মাল্টি-মডেল ইন্টারন্যাশনাল কার্গো হাব এবং নাগপুর এয়ারপোর্ট) নাগপুরে কাজ শুরু করেছে। সেখানে স্থানীয় কৃষকদের থেকে কমলা কিনছে কোম্পানি।
কোন ধরনের কমলার জন্য কত টাকা দেওয়া হচ্ছে
এই প্রজেক্টের কাজ চালু হওয়ার দু'দিনের মধ্যে বিদর্ভ অঞ্চলের কৃষকরা 'বি' এবং 'সি' গ্রেড কমলার জন্য প্রতি কেজি 22 টাকা পেতে শুরু করেছে। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, এর ফলে অতিরিক্ত আয়ের আশার পাশাপাশি পতঞ্জলি জুস প্লান্ট এলাকায় অর্থনৈতিক স্বস্তি এনে দিয়েছে। গত ৯ মার্চ এশিয়ার বৃহত্তম খাদ্য ও ভেষজ প্রক্রিয়াকরণ প্লান্টের উদ্বোধন হয়। এতে রস প্রক্রিয়াকরণের জন্য প্রতিদিন প্রায় 800 টন কমলার প্রয়োজন। এই প্লান্ট আসার ফলে লো-গ্রেডের কমলার চাহিদা বেড়েছে। আগে যা প্রায়শই কম দামে বিক্রি হত। দাগ বা ছোট আকারের কারণে অনেক ক্ষেত্রে অবিক্রিত থেকে যেত এই কমলালেবুগুলি।
'বি' ও 'সি' গ্রেড কমলা কৃষকদের অতিরিক্ত আয় দেবে
রিপোর্ট বলছে, প্রতি বছর বিদর্ভের কমলার ফলনের প্রায় ১৫-২০ শতাংশ গাছ থেকে অকালে ঝরে যায়। যা প্রিমিয়াম বাজারের জন্য কমলালেবুগুলিকে অনুপযুক্ত করে তোলে। এই কারণে কৃষকদের প্রায়ই কম দামে লেবু বিক্রি করতে হতো বা ফেলে দিতে হতো। তারা বলেছে, এই কমলালেবু এখন আয়ের একটি অতিরিক্ত উৎস হিসেবে কাজ করবে। নতুন প্রক্রিয়াকরণ সুবিধার সঙ্গে সঙ্গে প্রতি কেজি কমলার জন্য কৃষক ১৮-২২ টাকা পাবে।
কী কী তৈরি হচ্ছে প্লান্টে
কমলালেবুর রস উৎপাদন ছাড়াও প্ল্যান্টে কমলার খোসা থেকে নিষ্কাশিত কোল্ড-প্রেসড অয়েল (সিপিও) তৈরি করা হবে, যার বাজারে বেশ চাহিদা রয়েছে। এটি নাগপুরের বিখ্যাত কমলা বরফি, প্রয়োজনীয় তেল ও কসমেটিক পণ্যগুলিতে ব্যবহৃত শুকনো খোসার পাউডারের জন্যও কাজে লাগবে।
ইতিমধ্যেই বিদর্ভের কৃষকরা এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে। তারা আশা প্রকাশ করেছে, এই উদ্যোগ আগামী দিনেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, শিল্প ও সরকারের সমর্থন পাবে। যার ফলে তাদের পণ্যগুলির জন্য ধারাবাহিক চাহিদা বাজায় থাকবে।
আরও পড়ুন : Best Stocks To Buy: সলমন খানের সঙ্গে নাম জুড়তেই দুরন্ত গতি, এই স্টক লাফাল ৮ শতাংশ