Continues below advertisement

 

 

Continues below advertisement

Swami Ramdev : দেশে বদলে যাচ্ছে কৃষি ব্যবস্থা। কৃষিকাজকে সংরক্ষিত ও দীর্ঘমেয়াদি করতে নিত্য নতুন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। যাতে অগ্রণী ভূমিকা নিচ্ছে পতঞ্জলি বিশ্ববিদ্যালয়। রবিবার হরিদ্বারে শেষ হয়েছে ‘মাটির স্বাস্থ্য পরীক্ষার মাধ্যমে মানসম্পন্ন ঔষধি ভেষজের দীর্ঘমেয়াদি চাষ’ শীর্ষক দুই দিনের জাতীয় সম্মেলন।

কী কাজ করেছে পতঞ্জলি

‘স্বাস্থ্য ধারা’ (স্বাস্থ্যকর পৃথিবী) উদ্যোগের আওতায় ২৭-২৮ অক্টোবর আয়ুষ মন্ত্রক, পতঞ্জলি জৈব গবেষণা ইনস্টিটিউট, আরসিএসসিএনআর-১, জাতীয় কৃষি ও গ্রামীণ উন্নয়ন ব্যাঙ্ক (নাবার্ড) এবং ভারুয়া কৃষিবিজ্ঞান যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।

দীর্ঘমেয়াদি কৃষিকাজকে শক্তিশালী করতে নাবার্ড-পতঞ্জলি গাঁটছড়া

বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সমাবেশে ভাষণ দিয়ে নাবার্ডের চেয়ারম্যান ও প্রধান অতিথি শাজি কেভি পতঞ্জলির সঙ্গে সংগঠনের গাঁটছড়াকে দীর্ঘমেয়াদি কৃষি ও গ্রামীণ উন্নয়নের প্রচারের দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসাবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, “নাবার্ডের লক্ষ্য হল-দীর্ঘমেয়াদি কৃষি ও গ্রামীণ উন্নয়নকে উৎসাহিত করে এমন উদ্যোগের জন্য ঋণ দেওয়া। এই সহযোগিতা উদ্ভাবনী প্রকল্পগুলিকে আরও কার্যকরভাবে বাস্তবায়নে সাহায্য় করবে।”

এই ধরনের কৃষিকাজে হচ্ছে ক্ষতি

নাবার্ডের দীর্ঘমেয়াদি দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে শাজি কেভি বলেন, উন্নত ভারত ২০২৭ লক্ষ্য অর্জনের জন্য এই বছরটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি একমুখী চাষ পদ্ধতির প্রতিকূল প্রভাবের দিকেও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। তিনি বলেছেন, এই ধরনের চাষাবাদ মাটির উর্বরতা হ্রাস ও জীববৈচিত্র্যের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে

'ফসলের স্বাস্থ্য মানব স্বাস্থ্যের মূল চাবিকাঠি', বলছেন আচার্য বালকৃষ্ণ

এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পতঞ্জলি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আচার্য বালকৃষ্ণ মাটি ও মানুষের কল্যাণের পারস্পরিক নির্ভরতার উপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, "মানব স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য ফসল রক্ষা করা অপরিহার্য।" তিনি এই অনুষ্ঠানে মাটিকে তার আসল, প্রাকৃতিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানান। তিনি 'সয়েল ম্যানেজমেন্ট'কে সময়ের প্রয়োজন বলে অভিহিত করেছেন। তিনি 'স্বাস্থ্য ধারা' অর্জনের জন্য পৃথিবীর অন্তর্নিহিত ও সর্বজনীন সম্পদ পুনরুজ্জীবিত করার গুরুত্বের উপর জোর দেন।

'পৃথিবীর ডাক্তার' যন্ত্র দৃষ্টি আকর্ষণ করে

সম্মেলনের প্রধান আকর্ষণ ছিল পতঞ্জলির স্বয়ংক্রিয় মাটি-পরীক্ষা যন্ত্র, 'ধর্তি কা ডাক্তার (DKD)', যা আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছিল। আচার্য বালকৃষ্ণ ব্যাখ্যা করে বলেছেন, এই উদ্ভাবন মাটি সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সহায়তা করে ও পৃথিবীকে রোগমুক্ত করতে অগ্রণী ভূমিকা নেবে।

কী কাজ করে যন্ত্র

ডিকেডি পরীক্ষার কিট ব্যবহার করে নাইট্রোজেন, ফসফরাস, পটাসিয়াম, পিএইচ স্তর, জৈব কার্বন ও বৈদ্যুতিক পরিবাহিতা সহ মাটির মূল পুষ্টি উপাদানগুলি মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যে সঠিকভাবে বিশ্লেষণ করা যেতে পারে। ভারুয়া এগ্রিসায়েন্সের পরিচালক ডঃ কেএন শর্মা বলেন, ডিকেডি মেশিন কৃষকদের উচ্চমানের ফসল উৎপাদনের সঙ্গে সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জগুলি কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করে। অনুষ্ঠান চলাকালীন, 'স্বাস্থ্য ধারা' ও 'মেডিসিনাল প্ল্যান্টস: ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ ফাইটোমেডিসিনস অ্যান্ড রিলেটেড ইন্ডাস্ট্রিজ' নামে দুটি জার্নাল প্রকাশিত হয়েছিল