Provident Fund News: প্রভিডেন্ট ফান্ড (PF) সম্পর্কে ধারণা থাকলেও অনেকেই জানেন না এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি। আজ আমরা আপনাকে জানাবো GPF, VPF-এ আদতে কী সুবিধা ?


Provident Fund: পিএফ কী এবং কেন ?
কর্মীদের বার্ধ্যক্য বা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে প্রভিডেন্ট ফান্ড বা PF অ্যাকাউন্টের ব্যবস্থা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই ভবিষ্য নিধি বা PF অ্যাকাউন্টে প্রতি মাসে বেতন থেকে টাকা কাটে কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যেও রয়েছে প্রকারভেদ। প্রভিডেন্ট ফান্ডে রয়েছে দুটি ভাগ। এক EPF বা Employee Provident Fund দুই PPF বা Public Provident Fund।


EPF ও PPF-এ পার্থক্য কী ?
কোনও প্রতিষ্ঠান যেখানে ২০ জনের বেশি কর্মী রয়েছেন, সেখানে EPF কাটা বাধ্যতামূলক। সেই নিয়ম অনুসারে, বেতনের ১২ শতাংশ EPF কাটবে নিয়োগকারী সংস্থা। কেবল সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের এই EPF কাটা হয়। ঠিক একইভাবে সাধারণ জনগণের জন্য রয়েছে Public Provident Fund অ্যাকাউন্ট। এটি বাধ্যতামূলক নয়। কোনও ব্যবসায়ী, পেশাদার বা সাধারণ নাগরিক এই অ্যাকাউন্টে ভবিষ্যেতের কথা ভেবে টাকা রাখতে পারেন। একে সাধারণত PPF অ্যাকাউন্ট বলা হয়। ব্যাঙ্ক বা পোস্ট অফিসে খোলা যায় এই অ্যাকাউন্ট। এখানে কোনও ব্যক্তি বছরে ৫০০ টাকা থেকে ১.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত রাখতে পারেন। ইপিএফ-এর ক্ষেত্রে কর্মী ৮-৯ শতাংশ সুদ পেয়ে থাকেন। সেখানে পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ডের অ্যাকাউন্ট হোল্ডার ৭-৮ শতাংশ সুদ পান। এই সুদের পরিমাণ সময়ে সময়ে পরিবর্তিত হয়।


GPF, VPF আসলে কী ?
যদি কোনও সরকারি কর্মী ভবিষ্যতের জন্য ১২ শতাংশের বেশি টাকা কাটাতে চান তাহলে তাঁকে অন্য একটি প্রভিডেন্ট ফান্ডে টাকা রাখতে হয়। যার নাম GPF বা জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ড। যার প্রথম থেকেই ইপিএফ রয়েছে, তারাই GPF খোলার সুযোগ পাবেন। ঠিক একইভাবে কোনও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী ১২ শতাংশের বেশি পিএফে টাকা রাখতে পারেন। সেই ক্ষেত্রে ওই প্রভিডেন্ট ফান্ডকে বলা হয় VPF বা ভলেন্টারি প্রভিডেন্ট ফান্ড। এই দুইয়ের মাধ্যমে রিটায়ারমেন্টের সময় সাধারণ ইপিএফের থেকে অনেক বেশি টাকা পেতে পারেন কোনও কর্মী।