Warren Buffet Of India: নাম এক হলেও একাধিক তকমা দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। ভারতের শেয়ারবাজারের 'বিগ বুল' ছাড়াও দালাল স্ট্রিটের আলেকজান্ডার বলা হত রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালাকে। তবে বিনিয়োগকারীরা তাঁকে দিয়েছিলেন অন্য নাম। ভারতের 'ওয়ারেন বাফে' বলা হত ঝুনঝুনওয়ালাকে। কেন এই অঘোষিত শিরোপা পেয়েছিলেন তিনি ?


Rakesh Jhunjhunwala: কেন ওয়ারেন বাফের সঙ্গে তুলনা ?
রবিবারই মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে মারা যান ঝুনঝুনওয়ালা।  ৫ হাজার টাকা বিনিয়োগ থেকে থেকে ৫.৮ বিলিয়ন ডলারেরে বিশাল সাম্রাজ্য তৈরি করেন তিনি। ফোর্বসের ২০২১ সালের তালিকা অনুসারে, তিনি ছিলেন ভারতের ধনী ব্যক্তিত্বের নিরিখে ৩৬ নম্বরে। কম পুঁজি থেকে এই বিপুল পরিমাণ সম্পদের কারণেই তাঁকে ওয়ারেন বাফের সঙ্গে তুলনা করে বিনিয়োগ বিশ্ব।


Warren Buffet: কে এই ওয়ারেন বাফে ?
বিশ্বের বিনিয়োগ জগতের পরিসংখ্যান বলছে, আমেরিকান কোম্পানি বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ের সিইও ওয়ারেন বাফে। শেয়ারবাজারে তিনি একজন অভিজ্ঞ বিনিয়োগকারী হিসেবে পরিচিত। বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় তিনি রয়েছেন ৭ নম্বরে। ফোর্বস রিয়েল টাইম বিলিয়নেয়ার্স ইনডেক্স অনুসারে, ওয়ারেন বাফের বর্তমানে নেট সম্পদের মূল্য ৯৯.৮ বিলিয়ন ডলার । অক্সিডেন্টাল পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের অতিরিক্ত শেয়ার কেনার পর, এই তেল কোম্পানিতে হ্যাথওয়ে ইনকর্পোরেটেডের ২০ শতাংশের বেশি শেয়ার রয়েছে। এই বছরের প্রথমার্ধে, বার্কশায়ার ১৬  বিলিয়নের ডলারের বেশি অপারেটিং প্রফিট পেয়েছে । নিজেই যা নিশ্চিত করেছে কোম্পানি।


Warren Buffet Of India: ওয়ারেন বাফের সম্পত্তি দান
বিশ্বের বিখ্যাত ধনকুবের বিনিয়োগকারী ওয়ারেন বাফের বর্তমান বয়স ৯২ বছর।  ২০১০ সালে ওয়ারেন বাফে তার সম্পদের ৯৯ শতাংশ দাতব্য প্রতিষ্ঠানে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এমন পরিস্থিতিতে বার্কশায়ারে তার ৯০ ডলারের শেয়ারের মধ্যে প্রায় ৫৬ বিলিয়ন ডলার গেটস ফাউন্ডেশনকে দেওয়া হবে। বাফের বিশ্বাস, এই অর্থ থেকে আর্থিকভাবে দুর্বল শিশুরা ব্যাপকভাবে উপকৃত হবে। এটি বিশ্বে অর্থনৈতিক ও সামাজিক ভারসাম্য রক্ষায় অনেক সাহায্য করবে।


Rakesh Jhunjhunwala's Early life: কীভাবে শুরু করেছিলেন শেয়ার বাজারে ?
দেশের অন্যতম ধনী ব্যক্তির শুরুটা মসৃণ ছিল না। শেয়ার বাজারে অনেক 'ঠেকে শিখেছেন' তিনি। অনেক ইন্টারভিউতে নিজেই সেই কথা বলেছেন ঝুনঝুনওয়ালা। বড় শিল্পপতির মতো 'সোনার চামচ' মুখে নিয়ে জন্মাননি তিনি। ১৯৬০ সালের ৫ জুলাই মধ্যবিত্ত ঘরে জন্ম হয়েছিল তাঁর। তবে শেয়ার বাজারের প্রতি আগ্রহটা জন্মেছিল তাঁর বাবার কথা শুনে। বাবার মুখে দালাল স্ট্রিটের উত্থান-পতন মনে ধরেছিল তরুণ রাকেশের। সেই থেকেই ঝুঁকি নেওয়ার একটা প্রবণতা কাজ করতে শুরু করে ঝুনঝুনওয়ালার মনে। কলেজ জীবনেই মাত্র ৫০০০ টাকা নিয়ে শেয়ার বাজারে হাতেখড়ি। সেই আমানত দেখতে দেখতে বদলে যায় ৫.৫ বিলিয়নে। অন্তত সেই কথাই বলছে ফোর্বস ম্যাগাজিন। 


Rakesh Jhunjhunwala : কোন স্টক বদলে দেয় জীবন ? 
১৯৮৫ সালে শেয়ার বাজারে হাতেখড়ি হলেও ঝুনঝুনওয়াল স্টক মার্কেটে উত্থান ঠিক তার পরের বছর। শোনা যায়, ১০৮৬-তে টাটা টি-এর স্টকে নজর যায় তাঁর। কোম্পানির ভবিষ্য বুঝতে অসুবিধা হয়নি রাকেশের। মাত্র ৪৩ টাকার টাটা টি-র শেয়ার কিনতেই বদলে যায় সবকিছু। তিম মাসের মধ্যে সেই শেয়ার পৌঁছে যায় ১৪৩ টাকায়। তিন গুণ লাভের মুখে দেখেন ঝুনঝুনওয়ালা। পরের তিন বছরে যা তাঁকে ২০-২৫ লক্ষ টাকা আয়ের পথ দেখায়। এরপর থেকেই ঘুরে যায় ভাগ্যের চাকা।