JM Financial: পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্কের (Paytm Payments Bank) পর গতকালই বড় পদক্ষেপ নিয়েছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক(RBI)। আইআইএফএল ফিন্যান্সের (IIFL Finance) ওপর একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে RBI। আজ আরও একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের (NBFC) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিল কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক (Reserve Bank Of India)।


কোন সংস্থার বিরুদ্ধ নতুন নিষেধাজ্ঞা
এবার জেএম ফিন্যান্সিয়ালের (JM Financial) বিরুদ্ধে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। অবিলম্বে কোম্পানিকে শেয়ার, ডিবেঞ্চারের ভিত্তিতে ঋণ দেওয়ার কাজ বন্ধ করতে বলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। 


যদিও এই কাজগুলি করতে পারবে সংস্থা


এই নির্দেশের মধ্যে জেএম ফিন্যান্সিয়ালকে তার বর্তমান ঋণ সংগ্রহ ও পুনরুদ্ধার পদ্ধতির মাধ্যমে পরিষেবা চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
জেএম ফিন্যান্সিয়াল প্রোডাক্টস লিমিটেড হল একটি গুরুত্বপূর্ণ  এনবিএফসি যা পুঁজিবাজারে নগদ, খুচরো বন্ধকী ঋণ, রিয়েল এস্টেট লোন ইত্যাদিতে জড়িত।


রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ


কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক বলেছে, আইপিও ফাইন্যান্সিং এবং নন-কনভার্টেবল ডিবেঞ্চার (এনসিডি) সাবস্ক্রিপশনের জন্য কোম্পানির অনুমোদিত ঋণগুলিতে "কিছু গুরুতর ঘাটতি" দেখা গেছে। তাই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া (SEBI)-র তথ্যেও এই বিষয়টি ফুটে উঠেছে। দেখা গেছে, কোম্পানি বারবার তার গ্রাহকদের একটি গ্রুপকে ঋণ দেওয়া তহবিল ব্যবহার করে বিভিন্ন আইপিও এবং এনসিডি অফারগুলির জন্য বিড করতে সাহায্য় করেছে।


 রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পর্যবেক্ষণ


আরবিআই-এর পর্যবেক্ষণ অনুসারে, এই আর্থিক সংস্থায় ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে অল্প মার্জিনের সুবিধা দেওয়া হচ্ছিল। যেখানে সাবস্ক্রিপশনের আবেদন, ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সবই কোম্পানি একটি পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি ব্যবহার করে পরিচালনা করত। যদিও পরবর্তীকালে মাস্টার এগ্রিমেন্টের মধ্যে গ্রাহকদের না জানিয়েই সব করে ফেলছিল সংস্থা।  কোম্পানি এইভাবে একই সঙ্গে ঋণদাতা এবং ঋণগ্রহীতা উভয় পার্টি হিসাবে কাজ করছিল। কোম্পানি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার ব্যবস্থাকারীর পাশাপাশি অ্যাকাউন্টের অপারেটর হিসাবেও কাজ করত।  


গ্রাহকদের উদ্বেগ


নিয়ন্ত্রক নির্দেশিকা লঙ্ঘন করা ছাড়াও, কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক উল্লেখ করেছে যে গভর্নেন্স সংক্রান্ত সমস্যাগুলি নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ রয়েছে এই সংস্থায়। যা গ্রাহকদের স্বার্থের জন্য ক্ষতিকর। এই নিয়ম-নীতির ঘাটতি ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে আলাদাভাবে পরীক্ষা করা হচ্ছে। RBI প্রতিষ্ঠিত একটি বিশেষ অডিট শেষ হওয়ার পরে এবং RBI-এর সন্তুষ্টির জন্য ঘাটতিগুলি সংশোধন করার পরে ব্যবসায়িক বিধিনিষেধগুলি পর্যালোচনা করা হবে।


BHEL Gets Big Order: সরকারি এই সংস্থায় দারুণ খবর, দ্রুত এগোবে স্টক,এখন বিনিয়োগ করবেন ?