নয়াদিল্লি: নোট বাতিলের ঘোষণা হয়েছিল আগেই। তার পরও ২০০০ টাকার নোটের ব্যবহার বৈধ রাখা হয়ে ছিল। নোট বদলে নিতে সময় দেওয়া হয়েছিল ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এবার সেই সময়সীমা আরও বাড়াল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI). আগামী ৭ অক্টোবর পর্যন্তজ ২০০০ টাকার নোট বদলে নেওয়া যাবে বলে জানাল তারা। শনিবার সেই ঘোষণা করা হল RBI-এর তরফে। 


শনিবার নোট বদলে নেওয়ার বর্ধিত সময়সীমার ঘোষণা করল RBI. জানাল, ৭ অক্টোবর পর্যন্ত ব্যাঙ্কে গিয়ে নোট বদলে নেওয়া যাবে। ৮ অক্টোবর থেকে আর গৃহীত হবে না ২০০০ টাকার নোট। অর্থাৎ আগামী ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ২০০০ টাকার নোটে লেনদেন বৈধ থাকবে। RBI-এর ১৯টি দফতরে গিয়ে নোট পাল্টে নেওয়া যাবে। ডাকযোগে RBI-এর দফতরে পাঠিয়েও পুরনো নোট বদলে নিতে পারবেন সাধারণ মানুষ। 


RBI-এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছরের ১৯ মে পর্যন্ত বাজারে চালু ২০০০ টাকার নোটের ৯৬ শতাংশই ফেরত পেয়েছে তারা। ১৯ মে পর্যন্ত বাজারে ৩.৫৬ লক্ষ কোটি টাকা মূল্যের ২০০০ টাকার নোট চালু ছিল। এর মধ্যে ৩.৪২ লক্ষ কোটি টাকা মূল্যের নোট ফেরত পেয়েছে তারা। অর্থাৎ ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাজারে আর ০.১৪ লক্ষ কোটি টাকা মূল্যের ২০০০ টাকার নোট পড়েছিল।


আরও পড়ুন: Plaza Wires IPO: ১ দিনে ২৬ বারের বেশি বুক হয়েছে এই আইপিও


২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর পুরনো ১০০ এবং ৫০০ টাকার নোটকে বাতিল বলে ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ওই দিন মধ্যরাত থেকেই ওই মূল্যের নোট বাতিল হয়ে যায়। তার পর বাজারে নতুন ২০০০ টাকার নোট আনা হয়। নোটবন্দির পর বাজারে অর্থের জোগান দিতেই বড় অঙ্কের ওই নোট চালু করে সরকার।


চলতি বছরের ১৯ মে আবার ২০০০ টাকার নোটও বাতিল করা হবে বলে ঘোষণা করে RBI. ১ অক্টোবর থেকে ২০০০ টাকার নোট বেআইনি বলে ঘোষিত হবে বলে জানানো হয়। সেই নিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয় কেন্দ্রকে। কালো টাকা রোখার দোহাই দিয়ে প্রথমে নোটবন্দি, তার পর বড় অঙ্কের ২০০০ টাকার নোট চালু এবং পরবর্তীতে তা-ও বাতিল করা নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে খামখেয়ালি আচরণের অভিযোগ ওঠে।  নোটবন্দির সিদ্ধান্ত ব্যর্থ বলেও উঠে আসে পরিসংখ্যান। তার পরও নোট বদলে নেওয়ার প্রক্রিয়া চালু ছিল। এবার তার মেয়াদ আরও বাড়াল RBI.