Stairs: সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে চাইলে নিয়মিত শরীরচর্চা (Work Out) করা প্রয়োজন। হয়তো সকলের পক্ষে জিমে (Gym) গিয়ে ওয়ার্ক আউট করা সম্ভব হয় না। বাড়িতে যোগাসন (Yoga) করারও সময় পান না অনেকেই। সেক্ষেত্রে প্রতিদিন নিয়ম করে কিছুটা সিঁড়ি (Staircase) আপনি ভাঙতে পারেন। সিঁড়ি ভাঙার বেশ কিছু উপকারিতা রয়েছে। হয়তো অনেকেই এইসব উপকারিতা জানেন। সিঁড়ি ভাঙার ক্ষেত্রে কোনও যন্ত্রপাতি প্রয়োজন হয় না। খুব বেশি মুশকিলেরও নয়। অথচ আপনার শরীরচর্চা হয়ে যাবে। সিঁড়ি ভাঙার কী কী উপকারিতা রয়েছে, দেখে নেওয়া যাক।



  • সিঁড়ি ভাঙার ফলে আপনার সারা শরীরে রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া খুব ভালভাবে সম্পন্ন হয়। এর ফলে হৃদযন্ত্র সংক্রান্ত রোগ হওয়ার ঝুঁকি কমে।

  • সিঁড়ি ভাঙার মাধ্যমে বেশ ভালভাবেই শরীরচর্চা করা সম্ভব। অ্যারোবিক্সের মতো উপকারিতা পাওয়া যায় সিঁড়ি ভাঙার মাধ্যমে। এর ফলে ওজন কমাও সম্ভব হয়।

  • যখন আপনি সিঁড়ি ভাঙেন সেই সময়ে আপনার হার্টের মাধ্যমে পর্যাপ্ত পরিমাণ রক্ত পাম্প হয়। এর পাশাপাশি অক্সিজেন এবং পুষ্টি উপকরণ ঠিকভাবে পৌঁছে যায় পেশী বা মাসল এবং দেহের অন্যায় অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে।

  • আপনার পেশীকে শক্ত, মজবুত এবং সুদৃঢ় করার জন্য নিয়মিত ভাবে সিঁড়ি ভেঙে শরীরচর্চা করতে পারবেন।

  • আপনার মানসিক অবসাদ অর্থাৎ স্ট্রেস কমাতেও সাহায্য করবে সিঁড়ি ভাঙার প্রক্রিয়া। এই পদ্ধতিতে শরীরচর্চা করলে এন্ডরফিনস উৎপাদন হয় আমাদের দেহে। এর ফলে আমাদের স্ট্রেস কমে, অ্যাংজাইটিও দূর হয়ে।


সিঁড়ি ভাঙার ব্যাপারে কেন এবং কীভাবে সতর্ক থাকবেন



  • তবে সিঁড়ি ভাঙার সময় খুব সাবধানে চলাফেরা করতে হবে। তাড়াহুড়ো করতে গেলে বিপদে পড়তে পারেন আপনি। চোট-আঘাত লাগতে পারে।

  • সিঁড়ি ভাঙার মাধ্যমে শরীরচর্চা করবেন কিনা, আদৌ এটা আপনার স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল কিনা সেই প্রসঙ্গে চিকিৎসকের থেকে পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।

  • নিজের ক্ষমতার বাইরে গিয়ে কিংবা অত্যধিক দ্রুত গতিতে সিঁড়ি ভাঙতে যাবেন না। এর ফলে হিতে বিপরীত হতে পারে। শ্বাসকষ্টের সমস্যা বা হাঁটু এবং পায়ে কোনও সমস্যা থাকলে এই অভ্যাস থেকে দূরে থাকাই মঙ্গলের।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন। 


আরও পড়ুন- 'সারা বিশ্বে ডেঙ্গি বাড়ার অন্যতম কারণ উষ্ণায়ন', মত চিকিৎসক অরুণাচল দত্ত চৌধুরীর