Digital Banking : এবার ব্য়াঙ্ক জালিয়াতি রুখতে বড় পদক্ষেপ নিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (Reserve Bankk Of India) । যার ফলে আপনার ব্যাঙ্ক অ্য়াকাউন্টে (Bank Fraud) প্রতারণা আর সহজ হবে না। ডিজিটাল ব্যাঙ্কিংয়ের (Digital Banking) নিত্য়দিনের প্রতারণার ঘটনায় বেড়ি পরাতেই এই উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক(RBI)।
আরবিআই নতুন নিয়ম তৈরি করেছেডিজিটাল ব্যাঙ্কিংয়ের সুবিধার পাশাপাশি রয়েছে নানা সমস্যা। যার মধ্য়ে সবার আগে রয়েছে প্রতারণার মতো ঘটনা। দেশের দ্রুত বর্ধনশীল জনপ্রিয়তার মধ্যে যে ধরনের জালিয়াতি সামনে আসছে তা আজ অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়। প্রতারকরা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা চুরি করছে। যে কারণে ডিজিটাল লেনদেন নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই। কিন্তু এখন আরবিআই এই ধরনের জালিয়াতি বন্ধে পদক্ষেপ নিয়েছে।
আরবিআই এখন নতুন নিয়ম তৈরি করেছে, যা সকলের জন্য ডিজিটাল ব্যাঙ্কিং ব্যবহার করা নিরাপদ করে তুলবে। ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিং থেকে শুরু করে মোবাইল ব্যাঙ্কিং পর্যন্ত, ব্যাঙ্ক কর্তৃক প্রদত্ত সব অনলাইন পরিষেবা আরবিআইয়ের এই নতুন নির্দেশিকাতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
কী বলা হয়েছে আরবিআইয়ের নতুন নিয়মেRBI-এর নতুন নিয়মে ব্যাঙ্ককে গ্রাহকদের কেবল তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট অনলাইনে দেখার বা সম্পূর্ণ লেনদেন পরিষেবা চাওয়ার বিকল্প দিতে হবে। যদি তারা কেবল ডেবিট কার্ড ব্যবহার করতে চায়, তবে ব্যাঙ্ক কাউকে ডিজিটাল ব্যাঙ্কিং পরিষেবা ব্যবহার করতে বাধ্য করতে পারে না।
আরবিআই আরও চাইছে, ডিজিটাল পরিষেবার জন্য সাইন আপ করার আগে ব্যাংকগুলিকে গ্রাহকের অনুমতি নিতে হবে। প্রতিটি গ্রাহককে স্পষ্টভাবে বলা হবে যে এর জন্য তার কাছ থেকে কত টাকা নেওয়া হবে। যদি কোনও সমস্যা হয় তবে এটি কীভাবে সমাধান করা হবে এবং প্রতিটি লেনদেনের তথ্য তাকে ইমেল বা এসএমএসের মাধ্যমে জানাতে হবে।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, ব্যাঙ্ক আপনাকে আরবিআইয়ের অনুমতি ছাড়া কোনও তৃতীয় পক্ষের প্রোডাক্ট যেমন বিনিয়োগ পরিকল্পনা বা বিমা কিনতে বা তাদের ওয়েবসাইটে দেখতে বাধ্য করতে পারবে না।
এবার ব্যাঙ্ককে এই কাজটি করতে হবেঅনলাইন জালিয়াতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সমস্ত ব্যাঙ্ককে জালিয়াতি সনাক্তকরণ সরঞ্জাম ব্যবহার করতে হবে, যাতে যেকোনও সন্দেহজনক লেনদেন নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা যায়। তাদের গ্রাহকদের দৈনন্দিন খরচও দেখতে হবে, যাতে এর থেকে ভিন্ন যেকোনো লেনদেন সহজেই সনাক্ত করা যায়। সোমবার আরবিআই এই খসড়াটি শেয়ার করেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক ১১ আগস্ট, ২০২৫ সালের মধ্যে এই বিষয়ে ব্যাঙ্ক, বিশেষজ্ঞ ও জনগণের কাছ থেকে পরামর্শ চেয়েছে।